নেত্রকোনা ০২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিটি ধর্মই পারস্পরিক সম্পর্ককে শান্তিময় করে

  • আপডেট : ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • ১১১

প্রতিটি ধর্মই শান্তি-সৌহার্দ্য আর ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। যার যার ধর্ম স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ইসলাম হচ্ছে হীরকসদৃশ স্বচ্ছ সুন্দর এক শান্তি। যে কোনো আঙ্গিক থেকেই এটাকে দেখা হোক না কেন, এটা হচ্ছে অবিমিশ্র শান্তি, খাঁটি শান্তি এবং শান্তি ভিন্ন আর কিছুই নয়।,

ধর্মের সার্বিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইসলামের যথার্থ নামটিই হচ্ছে অনুপম, ধর্মটির এমন একটি নাম দেওয়া হয়েছে, আক্ষরিকভাবেই যার অর্থ হচ্ছে ‘শান্তি’। এর আরেকটি অর্থও রয়েছে, যা হচ্ছে, খোদার ইচ্ছা ও আদেশের ওপর পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ। যে ব্যক্তি প্রকৃত অর্থেই ইসলামে বিশ্বাস করে, তাকে মুসলমান বলে। একজন খাঁটি-মুসলমানের একটি সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা প্রদান করেছেন মহানবি ও বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।,

তিনি (সা.) বলেন, ‘একজন মুসলমান হচ্ছে সে ব্যক্তি, যার হাত এবং যার জিহ্বা থেকে সব মানুষই সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ’ (সুনান নিসাই, ৮ম খণ্ড, কিতাবুল ঈমান)। ইসলামের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং পবিত্র নবি ও শ্রেষ্ঠনবি (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তির বাণী বিস্তারকারী। ইসলাম যে প্রকৃতপক্ষেই ‘শান্তির বার্তাবাহক, ঘৃণা, সন্ত্রাস, হিংস্রতা অথবা রক্তপাতের বার্তা হওয়ার চাইতে বহু যোজন দূরে, তা বুঝতে পবিত্র কোরআন আমাদের সাহায্য করবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআন সর্বপ্রথম এ জোরালো বিবৃতি দান করে যে, ‘ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই’ (সুরা আল বাকারা, আয়াত: ২৫৬)।,

এ আয়াত স্পষ্টভাবে এ ঘোষণা দেয়, সমগ্র বিশ্বের সব মানুষই তাদের নিজ ধর্ম পছন্দ করতে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন, তারা যে ধর্মই পছন্দ করবে, যে ধর্মের আজ্ঞানুবতীর হয়ে তারা সুখী হবে, সে ধর্মই তারা প্রতিপালন করবে। পৃথিবীর বুকে এমন ব্যক্তি নেই, যে কোনভাবে কাউকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করবে অথবা সেজন্য শক্তি প্রয়োগ করবে। পবিত্র কোরআনই এ ঘোষণা দেয় যে, বিশ্বাসের স্বাধীনতা হচ্ছে সব মানুষের মৌলিক অধিকার। পছন্দমাফিক যেকোনো ধর্মেই তারা বিশ্বাসস্থাপন করতে পারে এবং তাদের পছন্দ মোতাবেক তারা যে কোনো ধর্মেরই আজ্ঞাবাহী সদস্য হতে পারে।,’

পবিত্র কোরআন এই ঘোষণা করে, ‘এবং বল, এটা হচ্ছে তোমার প্রভুর কাছ থেকে আগত সত্য, সে কারণে যে চায়, এতে বিশ্বাস করুক এবং যে চায়, অবিশ্বাস করুক’ (সুরা কাহফ, আয়াত: ২৯)। এই আয়াত থেকে এ শিক্ষাই পাওয়া যায়, যারা এতে বিশ্বাস করতে পছন্দ করে, তাদের তা করতে দাও এবং যারা এতে বিশ্বাস করতে চায় না, তাদের সেটা অগ্রাহ্য করতে দাও। ধর্মের বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটাকে পছন্দ করার ব্যাপারে মানুষকে স্বাধীনতা দান করা হয়েছে। ইসলামের এমন কোনো অস্ত্র নেই, যা দিয়ে কোন মানুষকে জবরদস্তি করে ধর্মান্তরিত করা যায়। অন্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে আচরণের বিষয়ে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে অন্য আরেকটি প্রশ্ন অনেকের মনে পীড়া দেয়। ইসলাম কি মুসলমানদের অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি ঘৃণা করতে না’কি সম্মান ও দয়া প্রদর্শন করতে শিক্ষা দেয়?,

এ বিষয়ের ওপর পবিত্র কোরআন প্রচুর পথনির্দেশনা দান করে। পবিত্র কোরআন বর্ণনা করে, ‘বল, হে আহলে কিতাব! আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে সমশিক্ষাপূর্ণ একটি নির্দেশের দিকে এসো যা হচ্ছে, আমরা কেবল এক আল্লাহর ইবাদত করি এবং আমরা তার সাথে আর কাউকেই শরিক করি না, এবং তাকে ছাড়া আমরা আর কাউকেই প্রভুপ্রতিপালক বলে মান্য করি না’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪)।,

একই বিষয়ে পবিত্র কোরআন আরও বর্ণনা করে, ‘এবং ন্যায়পরায়ণতা ও ধার্মিকতায় পরস্পরকে সাহায্য কর, কিন্তু পাপ ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরকে সাহায্য করো না’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ২)। ধর্মের কোনো উল্লেখ এখানে করা হয়নি।’

পবিত্র কোরআন বলে, তোমাদের উচিত, সর্বদাই প্রত্যেক সৎকর্ম ও মহৎ উদ্দেশ্যের আহ্বানে যোগদান করা, সে আহ্বান যদি কোন ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ অথবা যে কোন ধর্মের অনুসারী, এমনকি নাস্তিকের তরফ থেকেও আসে, ইসলাম মুসলমানদের এ ধরনের লোকদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং তাদের সাথে সহযোগিতা করারও আবশ্যকতা বোধ করে। তাদের উচিত কেবল সেই কারণটির প্রতিই তাকানো, যে জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, কে আহ্বান করছে, সেদিকে নয়।,

ইসলাম সোনালি এক নীতিনির্ধারণ করেছে, যা সব মানুষই অনুসরণ করতে সক্ষম এবং তা থেকে সবাই উপকৃত হতে পারে। ইসলাম এ শিক্ষা দান করে যে, সব আচরণের ভিত্তি সর্বদাই ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। পবিত্র কোরআন বর্ণনা করে, ‘হে যারা ঈমান এনেছো, আল্লাহর ব্যাপারে স্থির সংকল্প হও, সাক্ষ্যদানে নিরপেক্ষতা বজায় রাখো এবং মানুষের শত্রুতা যেন তোমাদের ন্যায়বিচারহীন কোন কাজে প্ররোচিত না করে। সর্বদাই ন্যায়পরায়ণ হও, সেটাই হচ্ছে সততার অধিকতর নিকটবতীর এবং আল্লাহ্কে ভয় কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ্ অবশ্যই অবগত আছেন’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৮)।,’

একথা এটাকে পর্যাপ্তভাবে খোলাসা করেছে যে, ইসলামের প্রকৃত অনুসারীদের ওপর এটা নির্ধারিত করা হয়েছে, শত্রুদের সাথেও তারা ন্যায্যতার নিরিখে আচরণ করবে। ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যা ঐক্য ও সহযোগিতার অনুপম শিক্ষার বিস্তার ঘটায়, সেই ধর্মের এমন কোন সম্ভাবনা আছে কি যে, অন্য লোকদের বিরুদ্ধে কখনো সহিংসতা অথবা ঘৃণার বিস্তার ঘটাবে?

দুর্ভাগ্যক্রমে কতিপয় লোক আজকাল ইসলামের নামে অনেক ধরনের সন্ত্রাসমূলক কাজ করে থাকে। সংখ্যায় তারা সামান্য ক’জনই, যারা তাদের নিজ ধর্মের সাথে প্রতারণা করে। ইসলামের নামে যারা অন্য লোকদের বিরুদ্ধে এসব নৃশংসতা ঘটায় এবং সন্ত্রাসী কর্ম করে, তাদের কখনোই ইসলামের সুন্দর নামটি ছিনিয়ে নিতে দেওয়া অথবা ইসলামের দূত এবং প্রতিনিধি হতে দেওয়া যায় না। তারা হচ্ছে তাদের নিজ ধর্মের অমান্যকারী এবং সেজন্য তারা কঠোরভাবে নিন্দার যোগ্য। আসুন, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করি।,’

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

প্রতিটি ধর্মই পারস্পরিক সম্পর্ককে শান্তিময় করে

আপডেট : ০২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

প্রতিটি ধর্মই শান্তি-সৌহার্দ্য আর ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। যার যার ধর্ম স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে, এটাই ইসলামের শিক্ষা। ইসলাম হচ্ছে হীরকসদৃশ স্বচ্ছ সুন্দর এক শান্তি। যে কোনো আঙ্গিক থেকেই এটাকে দেখা হোক না কেন, এটা হচ্ছে অবিমিশ্র শান্তি, খাঁটি শান্তি এবং শান্তি ভিন্ন আর কিছুই নয়।,

ধর্মের সার্বিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইসলামের যথার্থ নামটিই হচ্ছে অনুপম, ধর্মটির এমন একটি নাম দেওয়া হয়েছে, আক্ষরিকভাবেই যার অর্থ হচ্ছে ‘শান্তি’। এর আরেকটি অর্থও রয়েছে, যা হচ্ছে, খোদার ইচ্ছা ও আদেশের ওপর পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ। যে ব্যক্তি প্রকৃত অর্থেই ইসলামে বিশ্বাস করে, তাকে মুসলমান বলে। একজন খাঁটি-মুসলমানের একটি সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা প্রদান করেছেন মহানবি ও বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।,

তিনি (সা.) বলেন, ‘একজন মুসলমান হচ্ছে সে ব্যক্তি, যার হাত এবং যার জিহ্বা থেকে সব মানুষই সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ’ (সুনান নিসাই, ৮ম খণ্ড, কিতাবুল ঈমান)। ইসলামের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং পবিত্র নবি ও শ্রেষ্ঠনবি (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তির বাণী বিস্তারকারী। ইসলাম যে প্রকৃতপক্ষেই ‘শান্তির বার্তাবাহক, ঘৃণা, সন্ত্রাস, হিংস্রতা অথবা রক্তপাতের বার্তা হওয়ার চাইতে বহু যোজন দূরে, তা বুঝতে পবিত্র কোরআন আমাদের সাহায্য করবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআন সর্বপ্রথম এ জোরালো বিবৃতি দান করে যে, ‘ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই’ (সুরা আল বাকারা, আয়াত: ২৫৬)।,

এ আয়াত স্পষ্টভাবে এ ঘোষণা দেয়, সমগ্র বিশ্বের সব মানুষই তাদের নিজ ধর্ম পছন্দ করতে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন, তারা যে ধর্মই পছন্দ করবে, যে ধর্মের আজ্ঞানুবতীর হয়ে তারা সুখী হবে, সে ধর্মই তারা প্রতিপালন করবে। পৃথিবীর বুকে এমন ব্যক্তি নেই, যে কোনভাবে কাউকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করবে অথবা সেজন্য শক্তি প্রয়োগ করবে। পবিত্র কোরআনই এ ঘোষণা দেয় যে, বিশ্বাসের স্বাধীনতা হচ্ছে সব মানুষের মৌলিক অধিকার। পছন্দমাফিক যেকোনো ধর্মেই তারা বিশ্বাসস্থাপন করতে পারে এবং তাদের পছন্দ মোতাবেক তারা যে কোনো ধর্মেরই আজ্ঞাবাহী সদস্য হতে পারে।,’

পবিত্র কোরআন এই ঘোষণা করে, ‘এবং বল, এটা হচ্ছে তোমার প্রভুর কাছ থেকে আগত সত্য, সে কারণে যে চায়, এতে বিশ্বাস করুক এবং যে চায়, অবিশ্বাস করুক’ (সুরা কাহফ, আয়াত: ২৯)। এই আয়াত থেকে এ শিক্ষাই পাওয়া যায়, যারা এতে বিশ্বাস করতে পছন্দ করে, তাদের তা করতে দাও এবং যারা এতে বিশ্বাস করতে চায় না, তাদের সেটা অগ্রাহ্য করতে দাও। ধর্মের বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটাকে পছন্দ করার ব্যাপারে মানুষকে স্বাধীনতা দান করা হয়েছে। ইসলামের এমন কোনো অস্ত্র নেই, যা দিয়ে কোন মানুষকে জবরদস্তি করে ধর্মান্তরিত করা যায়। অন্য ধর্মের অনুসারীদের সাথে আচরণের বিষয়ে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে অন্য আরেকটি প্রশ্ন অনেকের মনে পীড়া দেয়। ইসলাম কি মুসলমানদের অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি ঘৃণা করতে না’কি সম্মান ও দয়া প্রদর্শন করতে শিক্ষা দেয়?,

এ বিষয়ের ওপর পবিত্র কোরআন প্রচুর পথনির্দেশনা দান করে। পবিত্র কোরআন বর্ণনা করে, ‘বল, হে আহলে কিতাব! আমাদের এবং তোমাদের মধ্যে সমশিক্ষাপূর্ণ একটি নির্দেশের দিকে এসো যা হচ্ছে, আমরা কেবল এক আল্লাহর ইবাদত করি এবং আমরা তার সাথে আর কাউকেই শরিক করি না, এবং তাকে ছাড়া আমরা আর কাউকেই প্রভুপ্রতিপালক বলে মান্য করি না’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪)।,

একই বিষয়ে পবিত্র কোরআন আরও বর্ণনা করে, ‘এবং ন্যায়পরায়ণতা ও ধার্মিকতায় পরস্পরকে সাহায্য কর, কিন্তু পাপ ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরকে সাহায্য করো না’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ২)। ধর্মের কোনো উল্লেখ এখানে করা হয়নি।’

পবিত্র কোরআন বলে, তোমাদের উচিত, সর্বদাই প্রত্যেক সৎকর্ম ও মহৎ উদ্দেশ্যের আহ্বানে যোগদান করা, সে আহ্বান যদি কোন ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ অথবা যে কোন ধর্মের অনুসারী, এমনকি নাস্তিকের তরফ থেকেও আসে, ইসলাম মুসলমানদের এ ধরনের লোকদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া এবং তাদের সাথে সহযোগিতা করারও আবশ্যকতা বোধ করে। তাদের উচিত কেবল সেই কারণটির প্রতিই তাকানো, যে জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, কে আহ্বান করছে, সেদিকে নয়।,

ইসলাম সোনালি এক নীতিনির্ধারণ করেছে, যা সব মানুষই অনুসরণ করতে সক্ষম এবং তা থেকে সবাই উপকৃত হতে পারে। ইসলাম এ শিক্ষা দান করে যে, সব আচরণের ভিত্তি সর্বদাই ন্যায়বিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। পবিত্র কোরআন বর্ণনা করে, ‘হে যারা ঈমান এনেছো, আল্লাহর ব্যাপারে স্থির সংকল্প হও, সাক্ষ্যদানে নিরপেক্ষতা বজায় রাখো এবং মানুষের শত্রুতা যেন তোমাদের ন্যায়বিচারহীন কোন কাজে প্ররোচিত না করে। সর্বদাই ন্যায়পরায়ণ হও, সেটাই হচ্ছে সততার অধিকতর নিকটবতীর এবং আল্লাহ্কে ভয় কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ্ অবশ্যই অবগত আছেন’ (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৮)।,’

একথা এটাকে পর্যাপ্তভাবে খোলাসা করেছে যে, ইসলামের প্রকৃত অনুসারীদের ওপর এটা নির্ধারিত করা হয়েছে, শত্রুদের সাথেও তারা ন্যায্যতার নিরিখে আচরণ করবে। ইসলাম এমন একটি ধর্ম, যা ঐক্য ও সহযোগিতার অনুপম শিক্ষার বিস্তার ঘটায়, সেই ধর্মের এমন কোন সম্ভাবনা আছে কি যে, অন্য লোকদের বিরুদ্ধে কখনো সহিংসতা অথবা ঘৃণার বিস্তার ঘটাবে?

দুর্ভাগ্যক্রমে কতিপয় লোক আজকাল ইসলামের নামে অনেক ধরনের সন্ত্রাসমূলক কাজ করে থাকে। সংখ্যায় তারা সামান্য ক’জনই, যারা তাদের নিজ ধর্মের সাথে প্রতারণা করে। ইসলামের নামে যারা অন্য লোকদের বিরুদ্ধে এসব নৃশংসতা ঘটায় এবং সন্ত্রাসী কর্ম করে, তাদের কখনোই ইসলামের সুন্দর নামটি ছিনিয়ে নিতে দেওয়া অথবা ইসলামের দূত এবং প্রতিনিধি হতে দেওয়া যায় না। তারা হচ্ছে তাদের নিজ ধর্মের অমান্যকারী এবং সেজন্য তারা কঠোরভাবে নিন্দার যোগ্য। আসুন, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করি।,’