আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গেলাম পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুজনই উচ্চ রক্তচাপের রোগী। টিকিট কাউন্টারে দাঁড়ালে যিনি টিকিট বিক্রি করেন উনি ফোনে ব্যস্ত থাকায় টিকিট করতে বিলম্ব হলো । টিকিট নিয়ে ১০৪ নাম্বার রুমে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।
পাশের রুমে 103 নাম্বার কক্ষে প্রেসার মাপার জন্য পাঠালেন ।103 নম্বর কক্ষে দায়িত্ব রতা নার্স লাইট , ফ্যান অফ করে বের হচ্ছেন। অনেকটা জোর করেই নিজেদের প্রেসার মাপলাম। এসে দেখি ডাক্তার চলে গেছেন। কারণ একটা বেজে গেছে। একটা কিন্তু বাজে নি আমাদের প্রেসারে ডকুমেন্টে এখনো এক মিনিট বাকি আছে একটা বাঁজতে। বিষয়টি শেয়ার করার জন্য গেলাম THA মহোদয়ের রুমে। রুম খোলা আছে কিন্তু উনি নেই।
আসলাম জরুরী বিভাগে একজন মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের সাথে কথা হল, তিনি জানালেন শনিবার বন্ধ ঐদিন THA আসেন না। উনিRMO স্যারের সাথে দেখা করতে বললেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও RMO স্যারের দেখা পেলাম না। মনের দুঃখে চলে এলাম। মেডিকেল এসিস্টেন্ট কে জিজ্ঞেস করলাম আউটডোর কয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তিনি বললেন টিকেট কাউন্টার একটা পর্যন্ত। আর যতক্ষণ রোগী থাকে ততক্ষণ আউটডোর ডাক্তার থাকেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল আমার প্রেসার মাপার কাগজ ও আমার স্ত্রীর কাগজে আপনারা লক্ষ্য করবেন১২:৫৯ মিনিট ১২:৫৮ মিনিট একটা তো বাজে নি । তিনি যে আমাদেরকে পাশের রুমে পাঠালন প্রেসার মাপার জন্য এক মিনিট পূর্বেই কি করে তিনি চলে গেলেন। 103 নাম্বার রুমের ডাক্তার আগেই চলে গেছেন । নার্স তো কথা বলতেই চান না তিন চার বার কথা বলে কোন রকম উত্তর দিয়েছেন। বয়সে আমাদের অর্ধেক হবে সেই কি দেমাগ, মনে হয় যেন আমাদের সাথে কথা বললে জাত যাবে। ডাক্তারের বয়সও এমনই হবে।,
নৈতিকতার অবক্ষয় বললাম এই জন্য অর্ধেক বয়স নার্স আমাদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেননি ডাক্তার ও আমাদেরকে পাশের রুমে পাঠিয়ে এভাবে চলে যেতে পারেন না । তখন ডাক্তারের সামনে তিন চারটা রোগীও ছিল। তিনি এক মিনিটের মধ্যে চারটা রোগী কি করে দেখলেন। নাকি না দেখেই চলে গেলেন বুঝতে পারলাম না। দোষ দিয়ে কি লাভ আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই শিক্ষক । আমাদের মত কোন না কোন শিক্ষকের স্টুডেন্ট ওরা। হয়তো বলবে আপনারা যে রকম শিখিয়েছেন আমরা সেরকমই শিখেছি।,
টিকিট কাউন্টার ওনার মোবাইলের জন্য টিকিট দিতে দেরি হলেও প্রেশার মেপে একটার পূর্বেই ডাক্তারের রুমে ঢুকেছি তারপরেও ডাক্তার নেই নার্সের দুর্ব্যবহার সর্বোপরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হলাম। বর্ণনা অনুযায়ী ডাক্তার ও নার্স যদি অনিয়ম কিছু করে থাকে তাহলে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।,
লেখক : মো. বজলুল কাদের/ শিক্ষক