নেত্রকোনা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৈতিকতার অবক্ষয় ‌

  • আপডেট : ১০:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৭০

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গেলাম পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুজনই উচ্চ রক্তচাপের রোগী। টিকিট কাউন্টারে দাঁড়ালে যিনি টিকিট বিক্রি করেন উনি ফোনে ব্যস্ত থাকায় টিকিট করতে বিলম্ব হলো । টিকিট নিয়ে ১০৪ নাম্বার রুমে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।

পাশের রুমে 103 নাম্বার কক্ষে প্রেসার মাপার জন্য পাঠালেন ।103 নম্বর কক্ষে দায়িত্ব রতা নার্স লাইট , ফ্যান অফ করে বের হচ্ছেন। অনেকটা জোর করেই নিজেদের প্রেসার মাপলাম। এসে দেখি ডাক্তার চলে গেছেন। কারণ একটা বেজে গেছে। একটা কিন্তু বাজে নি আমাদের প্রেসারে ডকুমেন্টে এখনো এক মিনিট বাকি আছে একটা বাঁজতে। বিষয়টি শেয়ার করার জন্য গেলাম THA মহোদয়ের রুমে। রুম খোলা আছে কিন্তু উনি নেই।

আসলাম জরুরী বিভাগে একজন মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের সাথে কথা হল, তিনি জানালেন শনিবার বন্ধ ঐদিন THA আসেন না। উনিRMO স্যারের সাথে দেখা করতে বললেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও RMO স্যারের দেখা পেলাম না। মনের দুঃখে চলে এলাম। মেডিকেল এসিস্টেন্ট কে জিজ্ঞেস করলাম আউটডোর কয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তিনি বললেন টিকেট কাউন্টার একটা পর্যন্ত। আর যতক্ষণ রোগী থাকে ততক্ষণ আউটডোর ডাক্তার থাকেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল আমার প্রেসার মাপার কাগজ ও আমার স্ত্রীর কাগজে আপনারা লক্ষ্য করবেন১২:৫৯ মিনিট ১২:৫৮ মিনিট একটা তো বাজে নি । তিনি যে আমাদেরকে পাশের রুমে পাঠালন প্রেসার মাপার জন্য এক মিনিট পূর্বেই কি করে তিনি চলে গেলেন। 103 নাম্বার রুমের ডাক্তার আগেই চলে গেছেন । নার্স তো কথা বলতেই চান না তিন চার বার কথা বলে কোন রকম উত্তর দিয়েছেন। বয়সে আমাদের অর্ধেক হবে সেই কি দেমাগ, মনে হয় যেন আমাদের সাথে কথা বললে জাত যাবে। ডাক্তারের বয়সও এমনই হবে।,

নৈতিকতার অবক্ষয় বললাম এই জন্য অর্ধেক বয়স নার্স আমাদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেননি ডাক্তার ও আমাদেরকে পাশের রুমে পাঠিয়ে এভাবে চলে যেতে পারেন না । তখন ডাক্তারের সামনে তিন চারটা রোগীও ছিল। তিনি এক মিনিটের মধ্যে চারটা রোগী কি করে দেখলেন। নাকি না দেখেই চলে গেলেন বুঝতে পারলাম না। দোষ দিয়ে কি লাভ আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই শিক্ষক । আমাদের মত কোন না কোন শিক্ষকের স্টুডেন্ট ওরা। হয়তো বলবে আপনারা যে রকম শিখিয়েছেন আমরা সেরকমই শিখেছি।,

টিকিট কাউন্টার ওনার মোবাইলের জন্য টিকিট দিতে দেরি হলেও প্রেশার মেপে একটার পূর্বেই ডাক্তারের রুমে ঢুকেছি তারপরেও ডাক্তার নেই নার্সের দুর্ব্যবহার সর্বোপরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হলাম। বর্ণনা অনুযায়ী ডাক্তার ও নার্স যদি অনিয়ম কিছু করে থাকে তাহলে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।,

লেখক : মো. বজলুল কাদের/ শিক্ষক

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

নৈতিকতার অবক্ষয় ‌

আপডেট : ১০:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ শনিবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গেলাম পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দুজনই উচ্চ রক্তচাপের রোগী। টিকিট কাউন্টারে দাঁড়ালে যিনি টিকিট বিক্রি করেন উনি ফোনে ব্যস্ত থাকায় টিকিট করতে বিলম্ব হলো । টিকিট নিয়ে ১০৪ নাম্বার রুমে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।

পাশের রুমে 103 নাম্বার কক্ষে প্রেসার মাপার জন্য পাঠালেন ।103 নম্বর কক্ষে দায়িত্ব রতা নার্স লাইট , ফ্যান অফ করে বের হচ্ছেন। অনেকটা জোর করেই নিজেদের প্রেসার মাপলাম। এসে দেখি ডাক্তার চলে গেছেন। কারণ একটা বেজে গেছে। একটা কিন্তু বাজে নি আমাদের প্রেসারে ডকুমেন্টে এখনো এক মিনিট বাকি আছে একটা বাঁজতে। বিষয়টি শেয়ার করার জন্য গেলাম THA মহোদয়ের রুমে। রুম খোলা আছে কিন্তু উনি নেই।

আসলাম জরুরী বিভাগে একজন মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের সাথে কথা হল, তিনি জানালেন শনিবার বন্ধ ঐদিন THA আসেন না। উনিRMO স্যারের সাথে দেখা করতে বললেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও RMO স্যারের দেখা পেলাম না। মনের দুঃখে চলে এলাম। মেডিকেল এসিস্টেন্ট কে জিজ্ঞেস করলাম আউটডোর কয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তিনি বললেন টিকেট কাউন্টার একটা পর্যন্ত। আর যতক্ষণ রোগী থাকে ততক্ষণ আউটডোর ডাক্তার থাকেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল আমার প্রেসার মাপার কাগজ ও আমার স্ত্রীর কাগজে আপনারা লক্ষ্য করবেন১২:৫৯ মিনিট ১২:৫৮ মিনিট একটা তো বাজে নি । তিনি যে আমাদেরকে পাশের রুমে পাঠালন প্রেসার মাপার জন্য এক মিনিট পূর্বেই কি করে তিনি চলে গেলেন। 103 নাম্বার রুমের ডাক্তার আগেই চলে গেছেন । নার্স তো কথা বলতেই চান না তিন চার বার কথা বলে কোন রকম উত্তর দিয়েছেন। বয়সে আমাদের অর্ধেক হবে সেই কি দেমাগ, মনে হয় যেন আমাদের সাথে কথা বললে জাত যাবে। ডাক্তারের বয়সও এমনই হবে।,

নৈতিকতার অবক্ষয় বললাম এই জন্য অর্ধেক বয়স নার্স আমাদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেননি ডাক্তার ও আমাদেরকে পাশের রুমে পাঠিয়ে এভাবে চলে যেতে পারেন না । তখন ডাক্তারের সামনে তিন চারটা রোগীও ছিল। তিনি এক মিনিটের মধ্যে চারটা রোগী কি করে দেখলেন। নাকি না দেখেই চলে গেলেন বুঝতে পারলাম না। দোষ দিয়ে কি লাভ আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই শিক্ষক । আমাদের মত কোন না কোন শিক্ষকের স্টুডেন্ট ওরা। হয়তো বলবে আপনারা যে রকম শিখিয়েছেন আমরা সেরকমই শিখেছি।,

টিকিট কাউন্টার ওনার মোবাইলের জন্য টিকিট দিতে দেরি হলেও প্রেশার মেপে একটার পূর্বেই ডাক্তারের রুমে ঢুকেছি তারপরেও ডাক্তার নেই নার্সের দুর্ব্যবহার সর্বোপরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হলাম। বর্ণনা অনুযায়ী ডাক্তার ও নার্স যদি অনিয়ম কিছু করে থাকে তাহলে নেত্রকোনা সিভিল সার্জন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।,

লেখক : মো. বজলুল কাদের/ শিক্ষক