নেত্রকোনা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী হালে তালমাতাল ১৬১, নেত্রকোনা-৫

  • আপডেট : ০১:২৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২৮৩

দু’দিন ধরে একটি অনলাইন প্রকাশনার সাক্ষাৎকারে দেশের প্রথিতযশা রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ড. আনোয়ার হোসেন স্যারের একটি সাক্ষাৎকার ভেসে বেড়াচ্ছে, সেখানে তিনি বলেছেন “স্বতন্ত্র নির্বাচনী প্রচারণা এবং লক্ষ্য অর্জন একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ”। স্যার আরও একটি কথা বলেছেন,”আমিতো কোনভাবে এখানে প্রচার করতে পারছি আর অনত্র হয়তো অন্যান্যদের বেলায় সেটিও হচ্ছে না”।

আমার বুঝাটা যদি ভূল না হয়ে থাকে তাহলে বিষটি এমনই মীন করছেন স্যার। সেখানে শ্রদ্ধেয় স্যার আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে দু’একটি ছোটখাটো অভিযোগও উত্থাপন করেছেন। এখানে দেশের একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসি স্যার নির্বাচনী প্রার্থী হিসাবে প্রচারমাধ্যমে আচরণ বিধি নিয়ে উত্থাপিত এহেন অভিযোগকে যদি ন্যায় সঙ্গত ধরেই নেওয়া হয় তাহলে আইনীপ্রক্রিয়ায় সেটি কতটুকু সঠিক ? সেটি স্যার ভালো করেই বুঝেন এবং জানেন । আমি বারবার বলে নিচ্ছি, ড. আনোয়ার স্যারের জ্ঞানের পরিধি আমাকে বারংবার বিব্রত করছে। তারপরও নির্বাচনী হালের তাল এতটাই মাতাল যে,সত্যের কাছে মিথ্যা,না মিথ্যার কাছে সত্য ? কোনটা পরাস্ত ?

এবার আসা যাক,ড. আনোয়ার স্যারের সাক্ষাৎকারের মুল জায়গায় প্রগতিশীল চিন্তার যে ক’জন মানুষ বাংলাদেশের আদর্শিক চিন্তাজগতকে প্রশারিত করে তাদের অন্যতম একজন ড. আনোয়ার হোসেন।
আপনাদের চিন্তা-চেতনা গুলো বিকাশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশটি বড়”। সত্যিই স্যার উক্তিগুলোর প্রচারণা,প্রশারতায় আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য হলেও সন্দেহাতীত যৌক্তিকতার প্রয়োগিক পর্যবেক্ষণ আপনাকে প্রমান করে দিল একটি দলের কাছে একজন ব্যক্তি কতটা অসহায় ! বাকী কথাগুলো শুধুই কথার কথা, হালে তাল দেওয়া (রাজনীতি)।

তাই এটিই সত্য যারা পাঁচদিন আগে আপনার জন্য (কাপাশিয়া বাজারে) উচ্ছ্বসিত আর উল্লসিত হয়ে আপন মনে আশা-ভরসায় বিশাল মিছিলে আপনার সাথে সারিবদ্ধ হয়েছিল, তারাই এখন পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনাকে চেড়ে আপনার প্রচারণায় বাধা প্রদান করেছে।

এরা সত্যিকারে কোন দলের বা প্রার্থীর লোক নয় স্যার। সরাজনীতির মাঠে নির্বাচনী অংশগ্রহনে এটিই বাস্তব পর্যবেক্ষন। যা পরবর্তী প্রজন্মকে শিখাতে আপনার সহায়ক হয়ে কাজ করবে স্যার। পরিশেষঃ ব্যক্তির বিনীত আহবান আপনাকে স্পর্শ না করলেও অনুরোধের স্বরেই বলছি রাজনীতির নির্বাচনী হালে ব্যক্তির স্বাতন্ত্রিক ভূমিকায় নিজেকে সংকীর্ণ না করে উদার চিত্তে যা শিখিয়েছেন সেটিকে উর্ধ্বে তোলে ধরে মহত্বের পরিচয় দিন।

বলে দিন “স্যার,”কোনো প্রার্থীর কাছে নয় বরং দলীয় প্রতীকের কাছে আমার সমর্থন ব্যক্ত করে নির্বাচনী মাঠ থেকে এবারকার মতো বিদায় নিলাম”। এতে করে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে সংশ্লিষ্ট জনপদের জনগনও গর্বিত হবে।

 

লেখক: মো. এমদাদুল হক বাবুল
  সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন
      পূর্বধলা উপজেলা শাখা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

নির্বাচনী হালে তালমাতাল ১৬১, নেত্রকোনা-৫

আপডেট : ০১:২৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

দু’দিন ধরে একটি অনলাইন প্রকাশনার সাক্ষাৎকারে দেশের প্রথিতযশা রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ড. আনোয়ার হোসেন স্যারের একটি সাক্ষাৎকার ভেসে বেড়াচ্ছে, সেখানে তিনি বলেছেন “স্বতন্ত্র নির্বাচনী প্রচারণা এবং লক্ষ্য অর্জন একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ”। স্যার আরও একটি কথা বলেছেন,”আমিতো কোনভাবে এখানে প্রচার করতে পারছি আর অনত্র হয়তো অন্যান্যদের বেলায় সেটিও হচ্ছে না”।

আমার বুঝাটা যদি ভূল না হয়ে থাকে তাহলে বিষটি এমনই মীন করছেন স্যার। সেখানে শ্রদ্ধেয় স্যার আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে দু’একটি ছোটখাটো অভিযোগও উত্থাপন করেছেন। এখানে দেশের একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসি স্যার নির্বাচনী প্রার্থী হিসাবে প্রচারমাধ্যমে আচরণ বিধি নিয়ে উত্থাপিত এহেন অভিযোগকে যদি ন্যায় সঙ্গত ধরেই নেওয়া হয় তাহলে আইনীপ্রক্রিয়ায় সেটি কতটুকু সঠিক ? সেটি স্যার ভালো করেই বুঝেন এবং জানেন । আমি বারবার বলে নিচ্ছি, ড. আনোয়ার স্যারের জ্ঞানের পরিধি আমাকে বারংবার বিব্রত করছে। তারপরও নির্বাচনী হালের তাল এতটাই মাতাল যে,সত্যের কাছে মিথ্যা,না মিথ্যার কাছে সত্য ? কোনটা পরাস্ত ?

এবার আসা যাক,ড. আনোয়ার স্যারের সাক্ষাৎকারের মুল জায়গায় প্রগতিশীল চিন্তার যে ক’জন মানুষ বাংলাদেশের আদর্শিক চিন্তাজগতকে প্রশারিত করে তাদের অন্যতম একজন ড. আনোয়ার হোসেন।
আপনাদের চিন্তা-চেতনা গুলো বিকাশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশটি বড়”। সত্যিই স্যার উক্তিগুলোর প্রচারণা,প্রশারতায় আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য হলেও সন্দেহাতীত যৌক্তিকতার প্রয়োগিক পর্যবেক্ষণ আপনাকে প্রমান করে দিল একটি দলের কাছে একজন ব্যক্তি কতটা অসহায় ! বাকী কথাগুলো শুধুই কথার কথা, হালে তাল দেওয়া (রাজনীতি)।

তাই এটিই সত্য যারা পাঁচদিন আগে আপনার জন্য (কাপাশিয়া বাজারে) উচ্ছ্বসিত আর উল্লসিত হয়ে আপন মনে আশা-ভরসায় বিশাল মিছিলে আপনার সাথে সারিবদ্ধ হয়েছিল, তারাই এখন পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনাকে চেড়ে আপনার প্রচারণায় বাধা প্রদান করেছে।

এরা সত্যিকারে কোন দলের বা প্রার্থীর লোক নয় স্যার। সরাজনীতির মাঠে নির্বাচনী অংশগ্রহনে এটিই বাস্তব পর্যবেক্ষন। যা পরবর্তী প্রজন্মকে শিখাতে আপনার সহায়ক হয়ে কাজ করবে স্যার। পরিশেষঃ ব্যক্তির বিনীত আহবান আপনাকে স্পর্শ না করলেও অনুরোধের স্বরেই বলছি রাজনীতির নির্বাচনী হালে ব্যক্তির স্বাতন্ত্রিক ভূমিকায় নিজেকে সংকীর্ণ না করে উদার চিত্তে যা শিখিয়েছেন সেটিকে উর্ধ্বে তোলে ধরে মহত্বের পরিচয় দিন।

বলে দিন “স্যার,”কোনো প্রার্থীর কাছে নয় বরং দলীয় প্রতীকের কাছে আমার সমর্থন ব্যক্ত করে নির্বাচনী মাঠ থেকে এবারকার মতো বিদায় নিলাম”। এতে করে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে সংশ্লিষ্ট জনপদের জনগনও গর্বিত হবে।

 

লেখক: মো. এমদাদুল হক বাবুল
  সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন
      পূর্বধলা উপজেলা শাখা।