শহিদুল আলম মামুন: সুন্দর জীবন গঠনে প্রয়োজন শুধু সুন্দর একটা কর্মপরিকল্পনা। তারপর থেকেই সেই কাঙ্খিত জিনিসটা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। এজন্য প্রয়োজন একক মনন মেধা ও পরিশ্রম তাহলেই সফলতা নিশ্চিত। মা, বাবার দোয়া আর আল্লাহর রহমত তা সঠিক জিনিসে সবসময়ই থাকে।
আমরা নিজেকে ক’জন ভালোবাসি? আগে নিজেকে ভালোবাসুন নিজে ভালো থাকুন। আপনি, আমি ভালো থাকলেইতো এ সমাজ ভালো থাকবে। আমরা সবসময় কারোও না কারোও রেফারেন্স নেই, পরিবার সমাজ কিংবা আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেউ সফল থাকলে গর্ব করে তাদের পরিচয় দেই। কিংবা রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙ্গায়, এটাই হয়ে গেছে আমাদের মানসিকতা। নিজেকে কিছু করতে হবে সেটাই ভূলে যাচ্ছি আমরা।,
মোট কথা আমরা পরনির্ভশীলক্রম জাতি আর অলস জাতিতে পরিণত হচ্ছি দিনদিন। দশ কেজি চাল কিংবা একটা সরকারি কম্বল পাওয়ার আশায় সারাদিন মাটি করে ইউনিয়ন পরিষদে লম্বা লাইনে দাড়াতেও দ্বিধাবোধ করছিনা। জাতি হিসেবে যখন আমরা উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি তখন আমরা সামান্য বিষয় নিয়ে খুনখারাবি করতেও কুন্ঠাবোধ করছিনা।,
নিজের খেয়ে নিজের পরে দিব্যি অলস সময় কাটিয়ে সমালোচনা করছি অন্যের। আমাদের বডি, মন, দেহ আজ অলসতায় ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগ শোগে আমাদের কাবু করে ফেলছে। আগে শুনতাম বড়লোকের ডায়াবেটিস রোগ হয় এখন সকল শ্রেনীর মানুষেরই এই ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগ হচ্ছে।
আমরা আসলে নিজেকে কখনও ভালোবাসিনা আমরা জাতিকে কি উপহার দিব? কখনও কি সখের বশে একটা আপেল কিংবা দশটা টাকা দিয়ে একটা ডিম কিনে খেয়েছি? অথচ সাজসকালে খালি পেটে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরম চা পান, আর ধুঁমপান দিব্যি করছি।,’
অসাবধানতায় আমরা নষ্ট করে দিচ্ছি কত কোমল জীবন। কিসের মোহ? কিসের আশায়? শান্তি সূখ সফলতা এগুলো আপেক্ষিক। রিযিকে থাকলে আসবেই ইনশাআল্লাহ। শুধু প্রয়োজন সঠিক চেষ্টা। সেটা কজনই বা করছি?
ছোটবেলায় tense পড়িনি কারণ সিলেবাসে ছিলোনা অনেক গ্রামার আইটেম আমাদের পরীক্ষায় আসতোনা তাই শিখিনি আজ এই বুড়ো বয়সেও গ্রামার শিখি যা সত্যিই দুঃখজনক। মেধা থাকা সত্বেও কাজে লাগাইনি কিন্তু আজ জং ধরে গেছে মেধায়। রেডিওতে কত পুরুনো গান শুনে আসছি যেমন ধরেন মুক্তিযুদ্ধের গান, পল্লীগীতি সহ কত আধুনিক গান আজও তা বহমান। তখন সময়টুকু কর্মপরিকল্পনায় ব্যয় করিনি। গান না শুনলেও লস ছিলোনা কারণ আর্কাইভে গানগুলো দিব্যি আছে।
আমরা আত্মপ্রচার আর অর্থের মোহে চুটছি সবাই এগুলো এমনিতেই আসবে। অর্থ সম্পদ ধন দৌলত মহান আল্লাহ পাকের দান। এগুলো ক্ষণস্থায়ী তাই সঠিক পথে থাকলে এগুলো আসবেই।,
দেশপ্রেম অনেকভাবেই করা যায় শুধু কায়িক শ্রম দিয়েই দেশপ্রেমিক হওয়া যায়না, কিছু ইতিহাস বিরল এগুলো শতাব্দিতে দুএকটাই ঘটে। জাতিকে কিছু দেওয়ার মানসিকতা থাকলে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে হবে। এবার আপনিই বুঝেন কি করবেন?
আপনি নিজেকে ভালোবাসুন আর আপনার কর্মপরিকল্পনায় নিজ যোগ্যতায় স্থায়ী কিছু করেন যাতে আমরা সারাজীবন নৈতিকতার মাঝে থেকে এ দেশ সমাজ ও জাতিকে কিছু দিতে পারি। স্বাধীনতার সার্ভভৌমত্য রক্ষায় আমরা সর্বসেক্টরেই যেনো রাখতে পারি অবদান। শুধু কয়েকটা দিবস পালনে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমার আমিত্বটাকে ভালোবেসে সফল হয়ে ভূমিকা রাখতে পারি দেশমাতৃকার সেবায়।,
সময়ের কাজটুকু করে নিতে হবে সময়েইরে ভাই। তা না হলে একবার ভূল করে দেখুন প্রস্তাবেন সারাজীবন হয়তোবা জাতি হিসেবে নগন্য হবেন এ সমাজ বাস্তবতায়। সকলের জন্যই রইলো শুভকামনা।’