বুধবার ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালী ব্যাংক পূর্বধলা শাখায় স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে বিড়ম্বনার অবসান হবে কি ?

মো. এমদাদুল হক বাবুল, প্রভাষক-পূর্বধলা সরকারি কলেজ:  |  আপডেট ৮:০২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট  | 970

সোনালী ব্যাংক পূর্বধলা শাখায় স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খুলতে বিড়ম্বনার অবসান হবে কি ?

বিস্ময়ঃস্কুল ব্যাংকিং ! ব্যাংক বলতে আমরা সাধারনতঃ অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়কেই বুঝি। যেহেতু একটি দেশের মুল চালিকা শক্তি হচ্ছে অর্থনীতি সেইহেতু সরকার অর্থনৈতিক লেনদেন পরিচালনা, ব্যাংকিং পদ্বতির সাথে পরিচয় এবং লেনদেনকে দূর্নীতি মুক্ত করার জন্য স্কুল ব্যাংকিং পদ্বতি চালু করেছে। এবারই প্রথম, বৃত্তির ক্ষেত্রে স্কুল ব্যাংকিং পদ্বতিতে টাকা উত্তোলন, আর উপবৃত্তির ক্ষেত্রে আগে থেকেই টাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে স্কুল ব্যাংকিং এর ব্যাবহার বাধ্যতামুলক করা হয়েছিল।বিপত্তি আর বিড়ম্বনা, ভাগ্য আর দুভাগ্য, যেটাই হউক এর মুখোমুখি আজ আমি।

যেহেতু স্বচ্ছ, সুন্দর একটি নতুন পদ্বতির সাথে পরিচিতি হবে আমার মেয়ে, সেহেতু উৎসাহী এবং বাধ্য হয়েই আমি আজ সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় সোনালী ব্যাংক পুর্বধলা শাখায় উপস্হিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে পড়েছি এক বিড়ম্বনায়। প্রথমেই ম্যানেজার বাবু বলে পাঠালেন দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার হাবিবুর রহমানের নিকট, সেখানে যেয়ে শুনলাম এই সিস্টেম তার জানা নাই, তারপর ম্যানেজার বাবুর তাগিদ, সিস্টেমটি আছে করে দেন, একটি ফরম সরবরাহ করে ফরমায়েশ করলেন হাবিব সাব, ফটোকপি করে নিয়ে আসেন, তারপর এখানে কেন আসলেন ? অন্য ব্যাংকে গেলেন না কেন ? বাধ্য হলাম আরো একবার নিয়মটি সঠিক কিনা,জানার জন্য তাই ফোন করলাম মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে, উনি খুব সুন্দর করে নিশ্চিত করলেন, এটা আপনার মেয়ের সাফল্যের অর্জন এটা কারো দয়ায় নয়, তাই, মাত্র ১০০/টাকা জমা দিয়ে যেকোন ব্যাংক থেকে হিসাব খুলতে পারেন। সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষে এবং কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদানের মধ্যদিয়ে ব্যাংকিং সিস্টেমের সাথে পরিচয় করাতে চায়।


এবার ফরম ফটোকপি করে এনে পুরন করে গেলাম দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার সাহেবের নিকট কিন্তু উনিতো নেই তাই আরেকজন ভদ্রলোককে বলে কয়ে রাজি করিয়ে একটি হিসাবের কার্ড সংগ্রহ করে ফরমের কাজ সমাপ্ত করলাম। এবারে অপেক্ষার পালা, দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার কখন আসবেন ! অবশেষে দেখা মিললো, উনাকে ফরম দেখানোর চেষ্টা, অতঃপর উনি বললেন, আগামীকাল আসেন, হতাশ হয়ে আবার ম্যানেজার বাবুর দারস্ত হলাম, ভদ্রলোক আন্তরিকতার সাথেই ফরম দেখলেন এবং স্বাক্ষর সম্পন্ন করে হাবিব সাবের নিকট জমা দিতে বলেন। যথারীতি জমা দিতে গিয়ে আবারও বিড়ম্বনা, অনেক কথা,,, সরকারের আর কাজ নেই যতসব আজেবাজে কাজ আমাদেরকে চাপিয়ে দেয়।

তখন আমি তাকে বললাম এটা করে আপনি কি সরকারের এই পদ্বতির অসারতা প্রমান করছেন ? একই সাথে আমার মেয়ের সরকারের প্রতি যে বিশ্বাস আর প্রেরনা, সেটাও নষ্ট করে দিচ্ছেন -তাই নয় কি ? তখন ফরম নিয়ে স্বাক্ষর করে আরেকজনকে দিয়ে বললো রেখো দাও। প্রশ্ন করলাম, আমি কি করবো, উনি বললেন চলে যান কাল আসবেন ,! শুনে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়েই রইলাম, ততক্ষনে আমার ছোট মেয়েটি আমাকে বলেই ফেললো, আব্বু চলো দরকার নেই হিসাবের, দরকার নেই বৃত্তির। মেয়ের কথা আমলে না এনে আরেকজনকে টাকাটা দিয়ে অনুরোধ করলাম হিসাবটা খুলে আমাকে হিসাব নাম্বারটা পৌছে দেওয়ার জন্য।

বিকাল ৪.৫৬মিঃআমাকে জানানো হলো আজ হিসাব খোলা সম্ভব হলো না। আমি বললাম তাহলে কি করবো, উত্তরে বললো কালকে আসেন। এই বিড়ম্বনায় বিস্মিত হওয়া ছাড়া আর কিছু করার আছে কি ?যদি কতৃপক্ষের নজরে পড়ে তাহলে যারা আগামীকাল থেকে হিসাব খুলতে আসবেন তাদের বিড়ম্বনা কমবে বলে আমার বিশ্বাস। একই সাথে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যকে যারা ব্যার্থ করতে চায় তাদের চিন্হত করে বিচারের আওতায় আনা উচিত নয় কি ?

লেখক: মো. এমদাদুল হক বাবুল, প্রভাষক-পূর্বধলা সরকারি কলেজ।

advertisement
advertisement
advertisement
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
মোঃ শফিকুল আলম শাহীন প্রকাশক ও সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

স্টেশন রোড, পূর্বধলা, নেত্রকোনা।

হেল্প লাইনঃ ০১৭১৩৫৭৩৫০২

E-mail: info@purbakantho.com