নেত্রকোনা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের মধ্যে হতাশা

  • আপডেট : ১১:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩৪৪

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা একটি হাওর অধ্যুষিত এলাকা। এখানকার বেশিরভাগ লোক কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। একমাত্র বোর ফসলই তাদের বাঁচার প্রধান অবলম্বন। বিগত মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছিল, সেইসাথে এলাকাবাসীর মনে সুখের অনুভূতি জেগেছিল প্রবল ভাবে।

কিন্তু ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় সেই আনন্দ বেশীদিন টিকেনি। অনেক গৃহস্থ ই তাদের কৃষি কাজে যে পরিমাণে ব্যয় করেছিলেন তা ফেরত পাননি। চরম হতাশার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে তাদের দিন। ফলে এবার কৃষি কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। উৎপাদন করে যদি লোকসান গুনতে হয় এধরনের গৃহস্থী করেতো কোন লাভ নেই।

তাছাড়া শ্রমিক সংকট আগের চেয়ে আরও তীব্র হয়েছে। এলাকার অধিকাংশ লোক পেশা বদল করে ঝুঁকছে অন্য পেশায়। ছুটে যাচ্ছে কল-কারখানার দিকে। তাছাড়া যারা একসনা জমি বর্গা দিতেন তারাও কোনো বর্গাচাষী খুঁজে পাচ্ছেন না। ধানের মূল্য না থাকায় তারাও কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই এলাকার অনেক অনেক কৃষি জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং কৃষকদের মধ্যে হতাশার ছাপ দিনদিন পুঞ্জীভূত হচ্ছে। ভবিষ্যতের চিন্তায় সকলেই এখন দিশেহারা।

 

কাজল তালুকদার,সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

কৃষকদের মধ্যে হতাশা

আপডেট : ১১:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯

নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা একটি হাওর অধ্যুষিত এলাকা। এখানকার বেশিরভাগ লোক কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। একমাত্র বোর ফসলই তাদের বাঁচার প্রধান অবলম্বন। বিগত মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছিল, সেইসাথে এলাকাবাসীর মনে সুখের অনুভূতি জেগেছিল প্রবল ভাবে।

কিন্তু ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় সেই আনন্দ বেশীদিন টিকেনি। অনেক গৃহস্থ ই তাদের কৃষি কাজে যে পরিমাণে ব্যয় করেছিলেন তা ফেরত পাননি। চরম হতাশার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে তাদের দিন। ফলে এবার কৃষি কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। উৎপাদন করে যদি লোকসান গুনতে হয় এধরনের গৃহস্থী করেতো কোন লাভ নেই।

তাছাড়া শ্রমিক সংকট আগের চেয়ে আরও তীব্র হয়েছে। এলাকার অধিকাংশ লোক পেশা বদল করে ঝুঁকছে অন্য পেশায়। ছুটে যাচ্ছে কল-কারখানার দিকে। তাছাড়া যারা একসনা জমি বর্গা দিতেন তারাও কোনো বর্গাচাষী খুঁজে পাচ্ছেন না। ধানের মূল্য না থাকায় তারাও কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাই এলাকার অনেক অনেক কৃষি জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং কৃষকদের মধ্যে হতাশার ছাপ দিনদিন পুঞ্জীভূত হচ্ছে। ভবিষ্যতের চিন্তায় সকলেই এখন দিশেহারা।

 

কাজল তালুকদার,সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী।