মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আলী আসগর। গত ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এক চিঠির মাধ্যমে লিখিতভাবে এ আবেদন করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগর রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেন, অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-৪ ব্যবহারিক পরীক্ষা হর্টিকালচার-৪ ও এগ্রোফরেস্ট্রি কোর্সের ফলাফল শিটে কোর্স শিক্ষকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেননি। এছাড়া অধ্যাপক যুুগোল কুমার সরকার ২০১৭ সালের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-১ও ২ ব্যবহারিক পরীক্ষায় দেরিতে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। আবার ব্যবহারিক পরীক্ষার নমুনা প্রস্তুতকরণ, মৌখিক পরীক্ষা, নোট বই মূল্যায়ন ও পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মূল্যায়নের
সময়ও তিনি বিভাগে ছিলেন না। ফলে এই দুটি পরীক্ষার কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হয়। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, র্যাগিং এ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছাত্র তত্ত¡ীয় পরীক্ষা দিলেও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পাস না করালে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর দিবেন না বলে জানান অধ্যাপক যুগোল কুমার সরকার। এছাড়া ২০১৮ সালের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষায় কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হলে তাদের পাস করানোর জন্য আমাকে জোর করেন। এতে রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।
জানতে চাইলে এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণাদিসহ আমি একটি চিঠি দিয়েছি। যাতে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস ছুটি। ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে আমি কথা বলতে রাজি নই। অফিস চলাকালে আমার দপ্তরে আসলে নথি দেখে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো।