নেত্রকোনা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে ছিনতাইকারীকে গণধোলাই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পরে গণধোলাই খান ওই ছিনতাইকারী।

গণধোলাইয়ের এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলে পুলিশের সহায়তায় সেটি ভুক্তভোগী নারী ভর্তিচ্ছুর হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।,

ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন, পূর্ণীমা অধিকারী। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।,

অপরদিকে অভিযুক্ত ছিনতাইকারী হলেন অনিক (২২)। তিনি নগরীর তালাইমারী এলাকার সুমনের ছেলে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের পরিচয় দেন। এছাড়া তার সঙ্গে রবীন নামের আরেকজন ছিনতাইকারী ছিলেন বলে জানান তিনি।,

ছিনতাইকারীকে ধরার প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি দেখছিলাম একটা মেয়ে শেখ রাসেল মাঠে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে করতে একজন লোকের পেছনে দৌড়াচ্ছিল। এসময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমি সেই ছিনতাইকরীকে আটক করি। এসময় আমার সঙ্গে অনেক ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল, তারাও আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। ধরার পর আমরা বুঝতে পারি তারা দুজন ছিল। ‌‘তবে আরেকজনকে আমরা ধরতে পারিনি।,

তিনি বলেন, ছিনতাইকারী একটি গাড়ি নিচে ফোনটি ফেলে রেখেছিল। তার তথ্য অনুযায়ী গাড়ির নিচ থেকে আমরা ফোনটি বের করে নিয়ে এসে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিই। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে জানাই। এরপরে সেই ছিনতাইকারীকে আমরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।,

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকায় ওই ছিনতাইকারীকে সরাসরি পুলিশে সোপর্দ করেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।,’

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

রাবিতে ছিনতাইকারীকে গণধোলাই

আপডেট : ০৩:১১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালানোর সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পরে গণধোলাই খান ওই ছিনতাইকারী।

গণধোলাইয়ের এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী মোবাইল ফোনটি ফেরত দিলে পুলিশের সহায়তায় সেটি ভুক্তভোগী নারী ভর্তিচ্ছুর হাতে তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।,

ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন, পূর্ণীমা অধিকারী। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথমবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।,

অপরদিকে অভিযুক্ত ছিনতাইকারী হলেন অনিক (২২)। তিনি নগরীর তালাইমারী এলাকার সুমনের ছেলে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের পরিচয় দেন। এছাড়া তার সঙ্গে রবীন নামের আরেকজন ছিনতাইকারী ছিলেন বলে জানান তিনি।,

ছিনতাইকারীকে ধরার প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি দেখছিলাম একটা মেয়ে শেখ রাসেল মাঠে ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে করতে একজন লোকের পেছনে দৌড়াচ্ছিল। এসময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমি সেই ছিনতাইকরীকে আটক করি। এসময় আমার সঙ্গে অনেক ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিল, তারাও আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। ধরার পর আমরা বুঝতে পারি তারা দুজন ছিল। ‌‘তবে আরেকজনকে আমরা ধরতে পারিনি।,

তিনি বলেন, ছিনতাইকারী একটি গাড়ি নিচে ফোনটি ফেলে রেখেছিল। তার তথ্য অনুযায়ী গাড়ির নিচ থেকে আমরা ফোনটি বের করে নিয়ে এসে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিই। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে জানাই। এরপরে সেই ছিনতাইকারীকে আমরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।,

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকায় ওই ছিনতাইকারীকে সরাসরি পুলিশে সোপর্দ করেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।,’