রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি একটি আলোচিত বিষয়।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘এবারে আমরা এমনকিছু প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি, যদি কেউ জালিয়াতি করার উদ্যোগ নেয়, তাহলে সে নিজে নিজের পায়ে কুড়াল মারবে।,
সে অবশ্যই আইনের আওতায় ধরা পড়বে। ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে মামলাই শুধু নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিরজীবনের জন্য তার ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবে।’
রাবিতে আজ (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হতে যাওয়া ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে পূর্বকন্ঠকে এসব কথা বলেন তিনি।,
উপ-উপাচার্য বলেন, ‘গত তিনবছর যাবত আমরা জালজালিয়াতি রোধে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে সর্বাত্মক তৎপর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।
গত দুই বছরে সকলে দেখেছে, যেখানে জালিয়াতি হয়েছে, সেখানেই আমরা ধরার চেষ্টা করেছি।,
গতবছর প্রথমে সাতজন এবং তাদের মাধ্যমে আরও ১৪জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারও আমি সকলকে এ ব্যাপারে সাবধান করে দিচ্ছি, শাস্তি দেয়া আমাদের মূল উদ্দ্যেশ্য না, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো ভর্তি পরীক্ষা নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ হওয়া। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতা চাই। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।,
আমরা আশা করছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে এবং এখানে সকলেই নিরাপদে আসবে এবং নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যাবে।’
উল্লেখ্য, রাবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হচ্ছে। ‘এ’, ‘বি’, এবং ‘সি’ তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত এই ভর্তি পরীক্ষা চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত।
এবছর বিশেষ কোটাসহ ৪ হাজার ৪৩৮টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৮০টি চূড়ান্ত আবেদন জমা হয়েছে। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ৪২ জন পরীক্ষার্থী। এবারে ‘এ’ ইউনিটে ৭৪ হাজার ৭৮৫টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩৪ হাজার ৫৪১টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৬ হাজার ৩৫৪টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন হয়েছে।,
এবারও ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি-পরীক্ষায় ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকবে ১.২৫। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ করে কাটা যাবে। পরীক্ষায় নূন্যতম পাশ নম্বর থাকবে ৪০। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা ভবনের গেট ও ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষের প্রবেশগেট খুলে দেয়া হবে।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সীমিত আবাসন ও চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।