নেত্রকোনা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবি প্রশাসনের কাছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরেক শিক্ষকের চিঠি

  • আপডেট : ০৭:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩৩৫

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদাতা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আলী আসগর। গত ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এক চিঠির মাধ্যমে লিখিতভাবে এ আবেদন করেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগর রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেন, অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-৪ ব্যবহারিক পরীক্ষা হর্টিকালচার-৪ ও এগ্রোফরেস্ট্রি কোর্সের ফলাফল শিটে কোর্স শিক্ষকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেননি। এছাড়া অধ্যাপক যুুগোল কুমার সরকার ২০১৭ সালের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-১ও ২ ব্যবহারিক পরীক্ষায় দেরিতে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। আবার ব্যবহারিক পরীক্ষার নমুনা প্রস্তুতকরণ, মৌখিক পরীক্ষা, নোট বই মূল্যায়ন ও পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মূল্যায়নের

সময়ও তিনি বিভাগে ছিলেন না। ফলে এই দুটি পরীক্ষার কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হয়। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, র‌্যাগিং এ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছাত্র তত্ত¡ীয় পরীক্ষা দিলেও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পাস না করালে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর দিবেন না বলে জানান অধ্যাপক যুগোল কুমার সরকার। এছাড়া ২০১৮ সালের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষায় কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হলে তাদের পাস করানোর জন্য আমাকে জোর করেন। এতে রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণাদিসহ আমি একটি চিঠি দিয়েছি। যাতে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস ছুটি। ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে আমি কথা বলতে রাজি নই। অফিস চলাকালে আমার দপ্তরে আসলে নথি দেখে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

রাবি প্রশাসনের কাছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরেক শিক্ষকের চিঠি

আপডেট : ০৭:০৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদাতা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আলী আসগর। গত ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর এক চিঠির মাধ্যমে লিখিতভাবে এ আবেদন করেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগর রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেন, অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম ইচ্ছাকৃতভাবে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-৪ ব্যবহারিক পরীক্ষা হর্টিকালচার-৪ ও এগ্রোফরেস্ট্রি কোর্সের ফলাফল শিটে কোর্স শিক্ষকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেননি। এছাড়া অধ্যাপক যুুগোল কুমার সরকার ২০১৭ সালের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-১ও ২ ব্যবহারিক পরীক্ষায় দেরিতে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। আবার ব্যবহারিক পরীক্ষার নমুনা প্রস্তুতকরণ, মৌখিক পরীক্ষা, নোট বই মূল্যায়ন ও পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মূল্যায়নের

সময়ও তিনি বিভাগে ছিলেন না। ফলে এই দুটি পরীক্ষার কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হয়। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, র‌্যাগিং এ জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া এক ছাত্র তত্ত¡ীয় পরীক্ষা দিলেও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পাস না করালে ফলাফল শিটে স্বাক্ষর দিবেন না বলে জানান অধ্যাপক যুগোল কুমার সরকার। এছাড়া ২০১৮ সালের বি.এসসি.এজি (অনার্স) পার্ট-১ ব্যবহারিক পরীক্ষায় কয়েকজন ছাত্র অকৃতকার্য হলে তাদের পাস করানোর জন্য আমাকে জোর করেন। এতে রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণাদিসহ আমি একটি চিঠি দিয়েছি। যাতে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস ছুটি। ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে আমি কথা বলতে রাজি নই। অফিস চলাকালে আমার দপ্তরে আসলে নথি দেখে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো।