নেত্রকোনা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙামাটির রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু

  • আপডেট : ১০:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৯

মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
বেইন ঘর আর চরকায় সুতা কাটার মধ্য দিয়ে রাঙামাটির রাজবন বিহারে বাংলাদেশের প্রধান এ বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর (গেরুয়া বস্ত্র) তৈরি শেষ করে তা দান করার মধ্য দিয়ে এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পুণ্যার্থীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে বেইনঘর উদ্বোধন করেন মহাপরিনির্বাণলাভী বৌদ্ধ আর্যপুরুষ সর্বজনপূজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের উত্তরসূরি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্য শিষ্যমণ্ডলী।

এরপর চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ফিতা কেটে বেইনঘরে বুনন এবং চরকায় সুতা কাটা উদ্বোধন করেন। এ সময় রাঙামটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির রাজবন বিহার বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত। এ বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছর আয়োজিত কঠিন চীবর দানোৎসবে সমাগম ঘটে লাখো পুণ্যার্থীর। এবারও ঢল নামছে অসংখ্য নারী-পুরুষের।

রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, চীবর দানোৎসবের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে শান্তির বার্তা বয়ে আসবে। কারণ এ উৎসবে পাহাড়ি-বাঙালী জাতিগোষ্ঠী কোন ভেদাবেদ থাকে না। সকল সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে এ উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রতি বছর এ উৎসবে এটা দৃশ্যমান চিত্র। এবারও তার ভিন্নতা হবে না। বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাজবন বিহারে এবার ৪৬তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ উৎসবকে যোগ দিতে দেশের ভিন্নস্থান থেকে পূর্ণ্যার্থীরা আসছেন। আসছেন দর্শনার্থীরাও। তাই ধারণা করা হচ্ছে এ বছরও লাখো মানুষের সমাগম ঘটেবে এ রাজবন বিহারে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

রাঙামাটির রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু

আপডেট : ১০:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৯

মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
বেইন ঘর আর চরকায় সুতা কাটার মধ্য দিয়ে রাঙামাটির রাজবন বিহারে বাংলাদেশের প্রধান এ বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর (গেরুয়া বস্ত্র) তৈরি শেষ করে তা দান করার মধ্য দিয়ে এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পুণ্যার্থীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে বেইনঘর উদ্বোধন করেন মহাপরিনির্বাণলাভী বৌদ্ধ আর্যপুরুষ সর্বজনপূজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের উত্তরসূরি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্য শিষ্যমণ্ডলী।

এরপর চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ফিতা কেটে বেইনঘরে বুনন এবং চরকায় সুতা কাটা উদ্বোধন করেন। এ সময় রাঙামটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির রাজবন বিহার বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত। এ বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছর আয়োজিত কঠিন চীবর দানোৎসবে সমাগম ঘটে লাখো পুণ্যার্থীর। এবারও ঢল নামছে অসংখ্য নারী-পুরুষের।

রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, চীবর দানোৎসবের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে শান্তির বার্তা বয়ে আসবে। কারণ এ উৎসবে পাহাড়ি-বাঙালী জাতিগোষ্ঠী কোন ভেদাবেদ থাকে না। সকল সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে এ উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রতি বছর এ উৎসবে এটা দৃশ্যমান চিত্র। এবারও তার ভিন্নতা হবে না। বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাজবন বিহারে এবার ৪৬তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ উৎসবকে যোগ দিতে দেশের ভিন্নস্থান থেকে পূর্ণ্যার্থীরা আসছেন। আসছেন দর্শনার্থীরাও। তাই ধারণা করা হচ্ছে এ বছরও লাখো মানুষের সমাগম ঘটেবে এ রাজবন বিহারে।