নেত্রকোনা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে’…

  • আপডেট : ০৯:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৩

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে পূর্ণা রুদ্র (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রুদ্র পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি ইংরেজি পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে আত্মহত্যা করেছে ওই পরীক্ষার্থী।

আত্মহননকারী পূর্ণা ওই পল্লীর মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী সরোজ রুদ্রের মেজো কন্যা। সে চলতি বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে স্থানীয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বেলাল উদ্দিন।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মো. মশিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পূর্ণা রুদ্রের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) মর্গে প্রেরণ করেছেন।

মেয়ের মরদেহের সঙ্গে থানায় ছুটে আসা পূর্ণা রুদ্রের মা পার্বতী রুদ্র অশ্রুসিক্ত নয়নে জানান, আমি পার্শ্ববর্তী মন্দিরে প্রার্থনা করার জন্য যাই। এ সময় আমার মেয়ে পূর্ণা রুদ্র তার শয়ন কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। মন্দির থেকে ফিরে এসে দেখি সে (পূর্ণা রুদ্র) ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।

তবে তার আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি (পার্বতী রুদ্র) পূর্বকন্ঠকে বলেন, গত দুই বছর আগে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের (বর্তমানে তারা চৌধুরীহাট এলাকায় বসবাস করে) এক ছেলের সঙ্গে গড়ে ওঠে তার প্রেমের সম্পর্ক। তাদের এই সম্পর্ক আমরা পারিবারিকভাবে মেনে নেয়েছিলাম। তবে গত ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় সে সর্বশেষ হিসাববিজ্ঞান ২য় পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছিল। কিন্তু তার ইংরেজি পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে চিন্তায় নাওয়া-খাওয়ায় অনিয়ম করছিল।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রুহুল আমীন সবুজ জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থী পূর্ণা রুদ্রর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।

‘এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে’…

আপডেট : ০৯:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে পূর্ণা রুদ্র (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (২১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রুদ্র পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি ইংরেজি পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে আত্মহত্যা করেছে ওই পরীক্ষার্থী।

আত্মহননকারী পূর্ণা ওই পল্লীর মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী সরোজ রুদ্রের মেজো কন্যা। সে চলতি বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে স্থানীয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বেলাল উদ্দিন।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মো. মশিউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পূর্ণা রুদ্রের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) মর্গে প্রেরণ করেছেন।

মেয়ের মরদেহের সঙ্গে থানায় ছুটে আসা পূর্ণা রুদ্রের মা পার্বতী রুদ্র অশ্রুসিক্ত নয়নে জানান, আমি পার্শ্ববর্তী মন্দিরে প্রার্থনা করার জন্য যাই। এ সময় আমার মেয়ে পূর্ণা রুদ্র তার শয়ন কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। মন্দির থেকে ফিরে এসে দেখি সে (পূর্ণা রুদ্র) ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।

তবে তার আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে তিনি (পার্বতী রুদ্র) পূর্বকন্ঠকে বলেন, গত দুই বছর আগে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের (বর্তমানে তারা চৌধুরীহাট এলাকায় বসবাস করে) এক ছেলের সঙ্গে গড়ে ওঠে তার প্রেমের সম্পর্ক। তাদের এই সম্পর্ক আমরা পারিবারিকভাবে মেনে নেয়েছিলাম। তবে গত ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় সে সর্বশেষ হিসাববিজ্ঞান ২য় পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছিল। কিন্তু তার ইংরেজি পরীক্ষা খারাপ হয়েছে বলে চিন্তায় নাওয়া-খাওয়ায় অনিয়ম করছিল।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রুহুল আমীন সবুজ জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থী পূর্ণা রুদ্রর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।