| আপডেট ১০:৩৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 198
মহুয়া জান্নাত মনি,রাঙামাটি প্রতিনিধি:
বেইন ঘর আর চরকায় সুতা কাটার মধ্য দিয়ে রাঙামাটির রাজবন বিহারে বাংলাদেশের প্রধান এ বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চীবর (গেরুয়া বস্ত্র) তৈরি শেষ করে তা দান করার মধ্য দিয়ে এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পুণ্যার্থীদের পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্য দিয়ে বেইনঘর উদ্বোধন করেন মহাপরিনির্বাণলাভী বৌদ্ধ আর্যপুরুষ সর্বজনপূজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের উত্তরসূরি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরসহ অন্য শিষ্যমণ্ডলী।
এরপর চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ফিতা কেটে বেইনঘরে বুনন এবং চরকায় সুতা কাটা উদ্বোধন করেন। এ সময় রাঙামটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটির রাজবন বিহার বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত। এ বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছর আয়োজিত কঠিন চীবর দানোৎসবে সমাগম ঘটে লাখো পুণ্যার্থীর। এবারও ঢল নামছে অসংখ্য নারী-পুরুষের।
রাঙামাটি রাজবন বিহারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, চীবর দানোৎসবের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে শান্তির বার্তা বয়ে আসবে। কারণ এ উৎসবে পাহাড়ি-বাঙালী জাতিগোষ্ঠী কোন ভেদাবেদ থাকে না। সকল সম্প্রদায়ের উপস্থিতিতে এ উৎসব মিলন মেলায় পরিণত হয়। প্রতি বছর এ উৎসবে এটা দৃশ্যমান চিত্র। এবারও তার ভিন্নতা হবে না। বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে রাজবন বিহারে এবার ৪৬তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ উৎসবকে যোগ দিতে দেশের ভিন্নস্থান থেকে পূর্ণ্যার্থীরা আসছেন। আসছেন দর্শনার্থীরাও। তাই ধারণা করা হচ্ছে এ বছরও লাখো মানুষের সমাগম ঘটেবে এ রাজবন বিহারে।
.
.