নেত্রকোনা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘২ বছর আগে দায়িত্বে নিলে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট দিতাম’

  • আপডেট : ১২:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ২৪

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আমরা আরও দুবছর আগে দায়িত্বে নিলে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট দিতাম। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএম কেনার জন্য টাকা নেই। আবার এই সময়ের মধ্যে ইভিএম ব্যবহার করতে ট্রেনিং সম্পন্ন করা যাবে না। ফলে ৩০০ আসরে ইভিএমে নির্বাচন করতে পারছি না। ভোটাররা ইভিএম নিয়ে বিশ্বাস করে। কোথাও ভোটাররা ইভিএম নিয়ে প্রতিবাদ করছে না, মিছিল করছে না।,

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।,

মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। এখানে ওভাররাইটের বিষয়ও নেই। কারও আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। তার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচিতি এনআইডি নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হয়। অথচ টক শোতে অনেকে বলছেন ওভাররাইট করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এটাকে (ওভাররাইট) ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারেন। কিন্তু আপনারা এসে দেখেন, যে ইভিএম চাইবেন আপনাদের সেটাই পরীক্ষা করতে দেবো। দেশে-বিদেশের এক্সপার্ট নিয়ে আসেন, দেখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবার বলা হয়, মামলা হলে কীসের ভিত্তিতে হবে। ভিপি ট্রেইল তো নেই। আমাদের ইভিএমের চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আছে। নির্বাচনের পর এক বছর পর্যন্ত সিলগালা অবস্থায় থাকবে। এখান থেকে কোন মার্কায় কখন কত ভোট পড়েছে সব প্রিন্ট করা যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ইসির এই কমিশনার বলেন, ‘আমাদের টার্গেট সুষ্ঠু নির্বাচন করা। ইভিএমে ছিনতাই, জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। যেখানে ব্যালট পেপারে ভোট হবে, সেখানে ফোর্স বেশি মোতায়েন করব। ইভিএমের আসনগুলোতে এত ফোর্স লাগবে না। সেগুলো আমরা ব্যালটের আসনগুলোতে ভাগ করে দেবো।’

তিনি বলেন, ‘যারা ইভিএম নিয়ে লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে ফেলছেন।’

ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থাহীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১২ কোটি ভোটারের পরিপূর্ণ আস্থা আছে। হয়তো দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল আছে। তবে তাদেরও অন্তরে বিশ্বাস আছে, মুখে নেই। কারণ অনেক দলই বিপক্ষে কথা বলছে। কিন্তু আমাদের কাছে এসে পক্ষে বলেছেন। একটি দলের একজন সংসদ সদস্য আমাদের কাছে এসে লিখিত দরখাস্ত করেছেন তার এলাকায় ইভিএম দেওয়ার জন্য। কাজেই এটা বলা যায়, উনারা অন্তরে ইভিএম বিশ্বাস করেন।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমের ভোটে সবাই নির্বাচনে আসবে। ২০২৩ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সবদল অংশ নেবে বলে আমরা আশাবাদী। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে আসবে বলে আশা করি। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে অন্যদলের সঙ্গে নির্বাচন করবে অথবা অন্য একটি দলকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেবে না, এমনটাও তো হতে পারে।’

from  Sarabangla https://ift.t
t/4MVSIic

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

‘২ বছর আগে দায়িত্বে নিলে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট দিতাম’

আপডেট : ১২:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আমরা আরও দুবছর আগে দায়িত্বে নিলে ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট দিতাম। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএম কেনার জন্য টাকা নেই। আবার এই সময়ের মধ্যে ইভিএম ব্যবহার করতে ট্রেনিং সম্পন্ন করা যাবে না। ফলে ৩০০ আসরে ইভিএমে নির্বাচন করতে পারছি না। ভোটাররা ইভিএম নিয়ে বিশ্বাস করে। কোথাও ভোটাররা ইভিএম নিয়ে প্রতিবাদ করছে না, মিছিল করছে না।,

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।,

মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। এখানে ওভাররাইটের বিষয়ও নেই। কারও আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। তার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচিতি এনআইডি নম্বর দিয়ে শনাক্ত করা হয়। অথচ টক শোতে অনেকে বলছেন ওভাররাইট করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এটাকে (ওভাররাইট) ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারেন। কিন্তু আপনারা এসে দেখেন, যে ইভিএম চাইবেন আপনাদের সেটাই পরীক্ষা করতে দেবো। দেশে-বিদেশের এক্সপার্ট নিয়ে আসেন, দেখেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবার বলা হয়, মামলা হলে কীসের ভিত্তিতে হবে। ভিপি ট্রেইল তো নেই। আমাদের ইভিএমের চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আছে। নির্বাচনের পর এক বছর পর্যন্ত সিলগালা অবস্থায় থাকবে। এখান থেকে কোন মার্কায় কখন কত ভোট পড়েছে সব প্রিন্ট করা যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ইসির এই কমিশনার বলেন, ‘আমাদের টার্গেট সুষ্ঠু নির্বাচন করা। ইভিএমে ছিনতাই, জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। যেখানে ব্যালট পেপারে ভোট হবে, সেখানে ফোর্স বেশি মোতায়েন করব। ইভিএমের আসনগুলোতে এত ফোর্স লাগবে না। সেগুলো আমরা ব্যালটের আসনগুলোতে ভাগ করে দেবো।’

তিনি বলেন, ‘যারা ইভিএম নিয়ে লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে ফেলছেন।’

ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থাহীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১২ কোটি ভোটারের পরিপূর্ণ আস্থা আছে। হয়তো দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল আছে। তবে তাদেরও অন্তরে বিশ্বাস আছে, মুখে নেই। কারণ অনেক দলই বিপক্ষে কথা বলছে। কিন্তু আমাদের কাছে এসে পক্ষে বলেছেন। একটি দলের একজন সংসদ সদস্য আমাদের কাছে এসে লিখিত দরখাস্ত করেছেন তার এলাকায় ইভিএম দেওয়ার জন্য। কাজেই এটা বলা যায়, উনারা অন্তরে ইভিএম বিশ্বাস করেন।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমের ভোটে সবাই নির্বাচনে আসবে। ২০২৩ বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, তাতে সবদল অংশ নেবে বলে আমরা আশাবাদী। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে আসবে বলে আশা করি। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে অন্যদলের সঙ্গে নির্বাচন করবে অথবা অন্য একটি দলকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেবে না, এমনটাও তো হতে পারে।’

from  Sarabangla https://ift.t
t/4MVSIic