‘পলিমারিক উপাদান মুক্ত সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের সম্পৃক্তায়ণ’ এ প্রতিপাদ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। ষষ্ঠ বারের মত এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনাইটেড নেশন্স ইয়ুথ এ্যান্ড স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব)।
সম্মেলনে চলমান আন্তর্জাতিক বিষয় ও সমস্যাগুলো নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা পাঁচটি কমিটিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করেন। কমিটিগুলোর মধ্যে- জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ‘কার্বন প্রবণতার তীব্রতার উপর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প কাঠামো ও নগরায়নের প্রভাব, কার্যকরী জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় প্রশাসন, শান্তি, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্ত সমাজ নিশ্চিতকরণ’, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) ‘জম্মু ও কাশ্মির সংকটে মানবকেন্দ্রিক বিশ্লেষণ’, জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি) ‘দূষণমুক্ত বিশ্বায়ণ: বিশ্বকে দূষণমুক্ত করার জন্য একটি চুক্তি সরবরাহকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাস করার জন্য টেকসই কৃষি সংস্কৃতির অনুশীলনকে বাস্তবে রূপায়ণ’ এবং বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষায়িত কমিটি (এসসিবিএ) ‘মৎস ও প্রাণিসম্পদে বিনিয়োগ: টেকসই উন্নয়ন ও ভারসাম্য পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ও বনভূমি সংরক্ষণ’ আলোচ্যসূচিতে সমস্যাবলির সম্ভাব্য সমাধান বের করেন প্রতিনিধিরা।
সম্মেলনে শ্যামী ওয়াদুদ বলেন, চলমান বিশ্বে যে আলোচিত সমস্যা রয়েছে সেই বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের ভাবনাগুলো বিকাশের জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ সম্মেলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাদের মধ্যে এক ধরনের নেটওয়ার্কিং তৈরি হবে এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
ইউনিস্যাব-বাংলাদেশের সভাপতি ও সম্মেলনের মহাসচিব শ্যামী ওয়াদুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকুল আরেফিন, বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লাইলা আরজুমান বানু ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসসহ ইউনিস্যাবের বর্তমান ও সাবেক সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।