রিংকু রায়, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) ঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল বিএড সনদ দিয়ে উচ্চতর স্কেলে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর সনদ যাচাই করে সেটি জাল প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।,
মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে ২০০৭ সালে প্রাপ্ত জাল বিএড সনদ দিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ২০০৮ সাল থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন নিচ্ছেন।,
একই উপজেলা মোহনগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাদিছ মিয়া গত ২৬ অক্টোবর জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টির তদন্ত করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী জানান, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃপক্ষ আমাকে ই-মেইল করে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের বিএড সনদটি জাল বলে জানিয়েছে।,
মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী রফিকুর রহমান পূর্বকন্ঠকে বলেন, রবিবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃক জাল সনদের প্রমাণ পেয়ে তার নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশা উচ্চতর স্কেলে বেতন ভাতার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।,
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পূর্বকন্ঠকে জানান, আমার কাগজ বৈধ রয়েছে। যারা আমাকে ওই সনদ দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।,