নেত্রকোনা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহনগঞ্জে এক শিক্ষকের বিএড সনদ জাল প্রমাণিত

  • আপডেট : ০২:১৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
  • ১৬৫

রিংকু রায়, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা)  ঃ

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল বিএড সনদ দিয়ে উচ্চতর স্কেলে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর সনদ যাচাই করে সেটি জাল প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।,



মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে ২০০৭ সালে প্রাপ্ত জাল বিএড সনদ দিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ২০০৮ সাল থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন নিচ্ছেন।,

একই উপজেলা মোহনগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাদিছ মিয়া গত ২৬ অক্টোবর জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টির তদন্ত করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী জানান, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃপক্ষ আমাকে ই-মেইল করে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের বিএড সনদটি জাল বলে জানিয়েছে।,



মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী রফিকুর রহমান পূর্বকন্ঠকে বলেন, রবিবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃক জাল সনদের প্রমাণ পেয়ে তার নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশা উচ্চতর স্কেলে বেতন ভাতার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।,

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পূর্বকন্ঠকে জানান, আমার কাগজ বৈধ রয়েছে। যারা আমাকে ওই সনদ দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।,

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

মোহনগঞ্জে এক শিক্ষকের বিএড সনদ জাল প্রমাণিত

আপডেট : ০২:১৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

রিংকু রায়, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা)  ঃ

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন নামে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল বিএড সনদ দিয়ে উচ্চতর স্কেলে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর সনদ যাচাই করে সেটি জাল প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।,



মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত। রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে ২০০৭ সালে প্রাপ্ত জাল বিএড সনদ দিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ২০০৮ সাল থেকে উচ্চতর স্কেলে বেতন নিচ্ছেন।,

একই উপজেলা মোহনগঞ্জ পাবলিক হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাদিছ মিয়া গত ২৬ অক্টোবর জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টির তদন্ত করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রহমান আনছারী জানান, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃপক্ষ আমাকে ই-মেইল করে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের বিএড সনদটি জাল বলে জানিয়েছে।,



মোহনগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী রফিকুর রহমান পূর্বকন্ঠকে বলেন, রবিবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তৃক জাল সনদের প্রমাণ পেয়ে তার নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশা উচ্চতর স্কেলে বেতন ভাতার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।,

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পূর্বকন্ঠকে জানান, আমার কাগজ বৈধ রয়েছে। যারা আমাকে ওই সনদ দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।,