নেত্রকোনা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট : ১০:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ২০

ঢাকা: বিভিন্ন সেক্টরে সম্ভাবনা এবং উদার বিনিয়োগ নীতির কথা তুলে ধরে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।,

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।,

সম্ভবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ,অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারি যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, জাহাজ নির্মাণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।,

বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিটেন্স; অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি; প্রস্থানের উপর লভ্যাংশ এবং মূলধনের সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ।’

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দক্ষ কর্মীর সহজলভ্যতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’(SEZ) এবং বেশ কিছু হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে। যদি প্রয়োজন হয় আমরা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবো। ছয় লাখেরও বেশি ফ্রি-ল্যান্সিং আইটি পেশাদার থাকার কারণে বাংলাদেশ আইটি বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ একটি অতিরিক্ত সুবিধা।,

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তরণ ঘটবে, তাই আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং রফতানি বাড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। এই চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে।’

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব হওয়ার জন্য প্রচুর সম্ভাবনার দাবি রাখে। ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবস্থান ও ৪ বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারের মাঝখানে বাংলাদেশের অবস্থান।,

from Sarabangla https://ift.tt/GFUYO6W

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ১০:০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকা: বিভিন্ন সেক্টরে সম্ভাবনা এবং উদার বিনিয়োগ নীতির কথা তুলে ধরে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।,

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের হোটেল লোটে প্যালেসে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।,

সম্ভবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ,অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, ভারি যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, জাহাজ নির্মাণ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।,

বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিটেন্স; অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি; প্রস্থানের উপর লভ্যাংশ এবং মূলধনের সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তনের সুযোগ।’

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দক্ষ কর্মীর সহজলভ্যতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’(SEZ) এবং বেশ কিছু হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে। যদি প্রয়োজন হয় আমরা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেবো। ছয় লাখেরও বেশি ফ্রি-ল্যান্সিং আইটি পেশাদার থাকার কারণে বাংলাদেশ আইটি বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ একটি অতিরিক্ত সুবিধা।,

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তরণ ঘটবে, তাই আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এবং রফতানি বাড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। এই চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে।’

বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব হওয়ার জন্য প্রচুর সম্ভাবনার দাবি রাখে। ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবস্থান ও ৪ বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারের মাঝখানে বাংলাদেশের অবস্থান।,

from Sarabangla https://ift.tt/GFUYO6W