নেত্রকোনা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবেশ দূষণের দায়ে ডিএনসিসিকে জরিমানার সুপারিশ

  • আপডেট : ০৯:১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৪৬৮

আমিনবাজারে ডাম্পিং স্টেশনে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) সর্বোচ্চ অর্থদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। আমিনবাজারে ডিএনসিসির ওই বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ল্যান্ডফিলটি পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে বলে কমিটিকে জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আইন সবার জন্য সমান। ডিএনসিসি পরিবেশ দূষণ করছে। তাদের ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তর আগেও এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে, তারা কর্ণপাত করেনি। ওই বর্জ্য স্টেশন বন্ধ করার জন্যও তাদের চিঠি দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শুরতে এই প্রকল্পের জন্য স্থানগত ছাড়পত্র পায় সিটি করপোরেশন। তখন ঢাকায় অবিভক্ত সিটি করপোরেশন ছিল। ‘স্থানগত ছাড়পত্র’ হল কোনো এলাকায় কাজ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ছাড়পত্র। এই ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট’ করে প্রতিবেদন দিতে হয়। সেই প্রতবেদন মূল্যায়ন করে কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বর্তমানে কাজ চলছে ৭৩ একর জমির ওপর। এতে জমির মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য- পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার, মোজাম্মেল হোসেন, দীপংকর তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, রেজাউল করিম বাবলু ও খোদেজা নাসরিন আক্তার অংশ নেন।

 

সুত্র: ইত্তেফাক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

পরিবেশ দূষণের দায়ে ডিএনসিসিকে জরিমানার সুপারিশ

আপডেট : ০৯:১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আমিনবাজারে ডাম্পিং স্টেশনে বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণের দায়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) সর্বোচ্চ অর্থদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। আমিনবাজারে ডিএনসিসির ওই বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ল্যান্ডফিলটি পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে বলে কমিটিকে জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, আইন সবার জন্য সমান। ডিএনসিসি পরিবেশ দূষণ করছে। তাদের ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তর আগেও এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে, তারা কর্ণপাত করেনি। ওই বর্জ্য স্টেশন বন্ধ করার জন্যও তাদের চিঠি দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শুরতে এই প্রকল্পের জন্য স্থানগত ছাড়পত্র পায় সিটি করপোরেশন। তখন ঢাকায় অবিভক্ত সিটি করপোরেশন ছিল। ‘স্থানগত ছাড়পত্র’ হল কোনো এলাকায় কাজ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ছাড়পত্র। এই ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট’ করে প্রতিবেদন দিতে হয়। সেই প্রতবেদন মূল্যায়ন করে কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বর্তমানে কাজ চলছে ৭৩ একর জমির ওপর। এতে জমির মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য- পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার, মোজাম্মেল হোসেন, দীপংকর তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, রেজাউল করিম বাবলু ও খোদেজা নাসরিন আক্তার অংশ নেন।

 

সুত্র: ইত্তেফাক।