নেত্রকোনা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে আসামী পক্ষের হুমকি

  • আপডেট : ০১:৪৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯
  • ২১৪

এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা ঃ মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামী পক্ষের অব্যাহত চাপ, নানা ধরণের অত্যাচার নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাশের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটছে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের কাকুরিয়া মাছিম গ্রামে।

কাকুরিয়া মাছিম গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র শ্যামপুর নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে সোনা মিয়ার (৫০) সাথে পল্লী বিদ্যুতের খুটি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়াকে কেন্দ্র করে তারই বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের পুত্র মাছুম বিল্লাহ্র বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে ২৭ আগষ্ট বিকাল ৩টার দিকে আমিনুল ইসলাম সোনা মিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা তারই ভাতিজা মাছুম বিল্লাহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে ভোগাই নদীর পাড়ে তার পথরোধ করে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আশংকাজনক অবস্থায় সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী কাকুরিয়া মাছিম উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মাছুম বিল্লাহ্র নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে কলমাকান্দায় থানায় ৩০ আগষ্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মাছুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সোনা মিয়া হত্যাকান্ডের প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার অন্যান্য আসামীদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতার করতে না পারায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে নিহতের পরিবারে এক ধরনের হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে হত্যা মামলার আসামী পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও তার ছোট ছোট ছেলে মেয়ের উপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাঁশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী মরিয়ম বেগম নিজের ও তার পরিবারের লোকজনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কয়েকদিন আগে কলমাকান্দায় থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) দায়ের করেছে। তারপরও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারটি কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না। বর্তমানে পরিবারটি এক ধরনের চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। অসহায় পরিবারটি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

নেত্রকোনায় হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে আসামী পক্ষের হুমকি

আপডেট : ০১:৪৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা ঃ মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামী পক্ষের অব্যাহত চাপ, নানা ধরণের অত্যাচার নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাশের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটছে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নের কাকুরিয়া মাছিম গ্রামে।

কাকুরিয়া মাছিম গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র শ্যামপুর নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ওরফে সোনা মিয়ার (৫০) সাথে পল্লী বিদ্যুতের খুটি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়াকে কেন্দ্র করে তারই বড় ভাই সিরাজুল ইসলামের পুত্র মাছুম বিল্লাহ্র বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে ২৭ আগষ্ট বিকাল ৩টার দিকে আমিনুল ইসলাম সোনা মিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা তারই ভাতিজা মাছুম বিল্লাহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে সাথে নিয়ে ভোগাই নদীর পাড়ে তার পথরোধ করে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আশংকাজনক অবস্থায় সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী কাকুরিয়া মাছিম উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মাছুম বিল্লাহ্র নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে কলমাকান্দায় থানায় ৩০ আগষ্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মাছুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সোনা মিয়া হত্যাকান্ডের প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার অন্যান্য আসামীদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতার করতে না পারায় ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে নিহতের পরিবারে এক ধরনের হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে হত্যা মামলার আসামী পক্ষের লোকজন মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী ও তার ছোট ছোট ছেলে মেয়ের উপর অব্যাহত চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি নানা ধরনের অত্যাচার নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাঁশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী মরিয়ম বেগম নিজের ও তার পরিবারের লোকজনের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কয়েকদিন আগে কলমাকান্দায় থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) দায়ের করেছে। তারপরও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারটি কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছেন না। বর্তমানে পরিবারটি এক ধরনের চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। অসহায় পরিবারটি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।