নেত্রকোনা ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেয়নি রাবি প্রশাসন

  • আপডেট : ০২:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২০০

নিবন্ধন করেও এক গ্র্যাজুয়েটকে একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে দেয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সমাবর্তনের সুভ্যেনিয়রে নাম ও ছবি থাকা সত্তে¡ও গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি এই গ্র্যাজুয়েট।

ভুক্তভোগী গ্র্যাজুয়েট মো. জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে একটি গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় একটি গণমাধ্যমে চাকরি করছেন। সমাবর্তনে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পেয়েছিলেন বলেও জানান এই গ্র্যাজুয়েট ।

জাকির হোসেন জানান, সমাবর্তনে অংশ নিতে গত শুক্রবার ঢাকা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। বিকেলে নিজ বিভাগে গাউন ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি সেখানে আমার নাম নেই। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও কেন সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানতে পারিনি। স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁস হওয়া নিয়ে সংবাদ করেছেন। এ কারণে হয়তো তাকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে তার ধারণা।
জাকির আরো জানান, বিকেলে ক্যাম্পাসে এসে এই ঘটনা জানার পরপরই রেজিস্ট্রার দপ্তরে যান। রেজিস্ট্রার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে যেতে বললে তিনি উনার কাছে জানতে পারেন যে, প্রক্টর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। পরে তিনি প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো গ্র্যাজুয়েটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি তিনি ভালো বলতে পারেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় জাকির হোসেনের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য তাকে আগেই অবগত করা হয়েছে। সেই সমস্যা সমাধান হয়নি বলে হয়তো তিনি সমাবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন না।’

এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে আগে জানানো হয়নি। আর গত প্রশাসনের যদি কোন অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে তখন আমি কীভাবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুললাম? আসলে প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে নিউজ করেছি বলেই তারা আমাকে সমাবর্তন করতে দিচ্ছে না।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেয়নি রাবি প্রশাসন

আপডেট : ০২:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

নিবন্ধন করেও এক গ্র্যাজুয়েটকে একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে দেয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সমাবর্তনের সুভ্যেনিয়রে নাম ও ছবি থাকা সত্তে¡ও গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি এই গ্র্যাজুয়েট।

ভুক্তভোগী গ্র্যাজুয়েট মো. জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে একটি গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় একটি গণমাধ্যমে চাকরি করছেন। সমাবর্তনে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পেয়েছিলেন বলেও জানান এই গ্র্যাজুয়েট ।

জাকির হোসেন জানান, সমাবর্তনে অংশ নিতে গত শুক্রবার ঢাকা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। বিকেলে নিজ বিভাগে গাউন ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি সেখানে আমার নাম নেই। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও কেন সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানতে পারিনি। স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁস হওয়া নিয়ে সংবাদ করেছেন। এ কারণে হয়তো তাকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে তার ধারণা।
জাকির আরো জানান, বিকেলে ক্যাম্পাসে এসে এই ঘটনা জানার পরপরই রেজিস্ট্রার দপ্তরে যান। রেজিস্ট্রার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে যেতে বললে তিনি উনার কাছে জানতে পারেন যে, প্রক্টর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। পরে তিনি প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো গ্র্যাজুয়েটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি তিনি ভালো বলতে পারেন।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় জাকির হোসেনের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য তাকে আগেই অবগত করা হয়েছে। সেই সমস্যা সমাধান হয়নি বলে হয়তো তিনি সমাবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন না।’

এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে আগে জানানো হয়নি। আর গত প্রশাসনের যদি কোন অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে তখন আমি কীভাবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুললাম? আসলে প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে নিউজ করেছি বলেই তারা আমাকে সমাবর্তন করতে দিচ্ছে না।