নিবন্ধন করেও এক গ্র্যাজুয়েটকে একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে দেয়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। সমাবর্তনের সুভ্যেনিয়রে নাম ও ছবি থাকা সত্তে¡ও গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত একাদশ সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেনি এই গ্র্যাজুয়েট।
ভুক্তভোগী গ্র্যাজুয়েট মো. জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে একটি গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় একটি গণমাধ্যমে চাকরি করছেন। সমাবর্তনে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পেয়েছিলেন বলেও জানান এই গ্র্যাজুয়েট ।
জাকির হোসেন জানান, সমাবর্তনে অংশ নিতে গত শুক্রবার ঢাকা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। বিকেলে নিজ বিভাগে গাউন ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি সেখানে আমার নাম নেই। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও কেন সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানতে পারিনি। স¤প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁস হওয়া নিয়ে সংবাদ করেছেন। এ কারণে হয়তো তাকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে তার ধারণা।
জাকির আরো জানান, বিকেলে ক্যাম্পাসে এসে এই ঘটনা জানার পরপরই রেজিস্ট্রার দপ্তরে যান। রেজিস্ট্রার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরে যেতে বললে তিনি উনার কাছে জানতে পারেন যে, প্রক্টর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। পরে তিনি প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো গ্র্যাজুয়েটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি তিনি ভালো বলতে পারেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় জাকির হোসেনের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য তাকে আগেই অবগত করা হয়েছে। সেই সমস্যা সমাধান হয়নি বলে হয়তো তিনি সমাবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন না।’
এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে আগে জানানো হয়নি। আর গত প্রশাসনের যদি কোন অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে তখন আমি কীভাবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুললাম? আসলে প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে নিউজ করেছি বলেই তারা আমাকে সমাবর্তন করতে দিচ্ছে না।