নেত্রকোনা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকসু কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে সন্ত্রাস ও নিপীড়ণ বিরোধী মঞ্চ। সোমবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক মুর্শেদুল আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডাকসু কার্যালয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তান আমলেও ডাকসুতে এমন নৃশংস হামলা হয়নি। এর আগে ভিপি নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ৮ বার হামলা করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেনি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হওয়ায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ঘটেই চলেছে।

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একজন ছাত্রের জন্য সবচেয় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হওয়া উচিত কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ ও আতঙ্কের জায়গা। যখন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য অনিরাপদ হয় তখন সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না।

যখন মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ঘটানো হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিচারহীনতার মনোভাব লক্ষণীয়।

বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন পরপর সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ঘটিয়ে চলেছে। যা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে ক্ষুন্ন করছে। মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের সৃষ্টি এই চেতনার যারা অবমানা করছে এর দায় তাদের নিতে হবে।

মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.সালেহ হাসান নাকীব, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহŸায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

ডাকসু কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ০৬:০১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে সন্ত্রাস ও নিপীড়ণ বিরোধী মঞ্চ। সোমবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক মুর্শেদুল আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডাকসু কার্যালয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তান আমলেও ডাকসুতে এমন নৃশংস হামলা হয়নি। এর আগে ভিপি নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ৮ বার হামলা করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেনি বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হওয়ায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ঘটেই চলেছে।

বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একজন ছাত্রের জন্য সবচেয় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হওয়া উচিত কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ ও আতঙ্কের জায়গা। যখন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য অনিরাপদ হয় তখন সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকে না।

যখন মুক্তিযুদ্ধের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ঘটানো হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিচারহীনতার মনোভাব লক্ষণীয়।

বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন পরপর সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ঘটিয়ে চলেছে। যা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে ক্ষুন্ন করছে। মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের সৃষ্টি এই চেতনার যারা অবমানা করছে এর দায় তাদের নিতে হবে।

মানববন্ধনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.সালেহ হাসান নাকীব, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন, রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহŸায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।