ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দল অংশ না নিলে তার দায় ইসির নয়।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।,
সংবাদ সম্মেলনে ইসি আলমগীর জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘোষণা করা হবে। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।,
ইসি সূত্র জানায়, ঘোষিত রোডম্যাপে চলতি মাস থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ইসি কী কী কার্যক্রম চলবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। গত সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর।,
ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এজন্য আগের নীতিমালা পর্যালোচনা করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের মার্চে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ৩০০ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে তার খসড়া প্রকাশ করবে ইসি।,
অন্যদিকে, নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এছাড়া একই বছরের আগস্টে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকার ওপর দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করবে ইসি। ওই বছরের জুনেই নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।,
ইসি সূত্র আরও জানায়, ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা, বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ নেওয়া, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ করা হবে।,
এছাড়াও রোডম্যাপে বিধিবিধান অনুসরণ করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চালু, অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ নির্বাচনি কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন কার্যক্রম, নির্বাচনি কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে আইনি কাঠামোর আওতায় সম্পৃক্তকরণ ও ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।,
ইসির পরিকল্পনার মধ্যে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে সেগুলো হলো- ভোটার সংখ্যা, জনশুমারি ও ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে জিআইএস পদ্ধতিতে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ডাটাবেজ ও অ্যাপ্লিকেশন প্রণয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী মাসে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ হবে। একই মাসে নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপ ও আগামী নভেম্বরে নারী নেত্রীদের সঙ্গেও সংলাপ হবে। এছাড়া ওই মাসেই সুপারিশমালার খসড়া চূড়ান্তকরণ ও ডিসেম্বরে সুপারিশমালা চূড়ান্তকরণ করা হবে।,
from Sarabangla https://ift.tt/O4FlPQh