নেত্রকোনা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংঙ্কাকান্ড

  • আপডেট : ০৪:১৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯
  • ৪০৩

নাঈম আলী, কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  প্রতিপক্ষের হামলায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুহিদ মিয়া (৩১) নামে এক সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা তার বাড়িঘরও ভাঙচুর করেছে। আহত মুহিদ মিয়া মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হেরেংগাবাজার এলাকায়।

এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় আহত মুহিদ মিয়া,তার মা আকারুন বেগম ও বাবা পুতুল মিয়া অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতেই মুহিদ মিয়াকে বনগাঁও গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, জুবেল মিয়া, জুয়েল মিয়া তাদের সহযোগী রুবেল মিয়া,আছকির মিয়া, ময়না মিয়া, আখলিছ মিয়া, সোবহান মিয়া, শামীম মিয়া,ফুল মিয়া, মোস্তাকীন মিয়া সহ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দা ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রযোগে মুহিদ মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ সময় আকারুন বেগম ছেলেকে বাঁচাতে ইউপি সদস্য আছকর খাঁনের পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করলেও তিনি কর্নপাত করেননি।এক পর্যায়ে মুহিদ আত্মরক্ষার্থে ঘরে গিয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়লেও সেখান থেকে তারা তাকে টেনে হিচড়ে বের করে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরে সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত মুহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য আছকর খাঁন প্রথমেই তার মাথায় আঘাত করেন পরে সবাই মিলে তাকে দৌড়িয়ে মারপিট করে। সরজমিন গিয়ে এলাকাবাসী ও মুহিদ মিয়ার আত্বীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ঘটনার দিন বিকালে টমেটো বাগানে বাঁশের খুঁটি সংক্রান্ত বিষয়ে হেরেংগাবাজার আবু তাহেরের দোকানে মুহিদের সাথে বাক বিতন্ডার মাধ্যমেই ঘটনার সূত্রপাত।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আছকর খাঁন, সোহেল মিয়ার পিতা চান্দু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রথমে মুহিদ মিয়া সোহেল মিয়ার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে সোহেল মিয়ার অন্যান্য ভাই ও আত্বীয় স্বজন ছুটে আসে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আছকর খাঁন হামলার সাথে কোনভাবেই সরাসরি জড়িত নন।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শহীদুর রহমান জানান, তদন্তক্রমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কমলগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংঙ্কাকান্ড

আপডেট : ০৪:১৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯

নাঈম আলী, কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  প্রতিপক্ষের হামলায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুহিদ মিয়া (৩১) নামে এক সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা তার বাড়িঘরও ভাঙচুর করেছে। আহত মুহিদ মিয়া মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের হেরেংগাবাজার এলাকায়।

এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় আহত মুহিদ মিয়া,তার মা আকারুন বেগম ও বাবা পুতুল মিয়া অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতেই মুহিদ মিয়াকে বনগাঁও গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, জুবেল মিয়া, জুয়েল মিয়া তাদের সহযোগী রুবেল মিয়া,আছকির মিয়া, ময়না মিয়া, আখলিছ মিয়া, সোবহান মিয়া, শামীম মিয়া,ফুল মিয়া, মোস্তাকীন মিয়া সহ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দা ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রযোগে মুহিদ মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ সময় আকারুন বেগম ছেলেকে বাঁচাতে ইউপি সদস্য আছকর খাঁনের পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করলেও তিনি কর্নপাত করেননি।এক পর্যায়ে মুহিদ আত্মরক্ষার্থে ঘরে গিয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়লেও সেখান থেকে তারা তাকে টেনে হিচড়ে বের করে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরে সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত মুহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য আছকর খাঁন প্রথমেই তার মাথায় আঘাত করেন পরে সবাই মিলে তাকে দৌড়িয়ে মারপিট করে। সরজমিন গিয়ে এলাকাবাসী ও মুহিদ মিয়ার আত্বীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ঘটনার দিন বিকালে টমেটো বাগানে বাঁশের খুঁটি সংক্রান্ত বিষয়ে হেরেংগাবাজার আবু তাহেরের দোকানে মুহিদের সাথে বাক বিতন্ডার মাধ্যমেই ঘটনার সূত্রপাত।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আছকর খাঁন, সোহেল মিয়ার পিতা চান্দু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রথমে মুহিদ মিয়া সোহেল মিয়ার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে সোহেল মিয়ার অন্যান্য ভাই ও আত্বীয় স্বজন ছুটে আসে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আছকর খাঁন হামলার সাথে কোনভাবেই সরাসরি জড়িত নন।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক শহীদুর রহমান জানান, তদন্তক্রমে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।