নেত্রকোনা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হামলায় জামাই নিহত !

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে জামাই রুবেল আহমেদকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। মৃত রুবেল উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে মনরাজ গ্রামের সাবেক মেম্বার ওহাব মিয়ার ছেলে।

নিহত রুবেল আহমদের পরিবারের দাবি, কর্মধা ইউনিয়নে পূর্ব কর্মধা গ্রামের রুবেল আহমদের শ্বশুর মবু মিয়া ও চাচাশ্বশুর আব্দুল মান্নানের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ,

এই বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে স্থানীয় রবিরবাজারে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এর পর রুবেল মিয়া শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে যাওয়ার পর চাচাশ্বশুর আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে আজাদ মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় জামাই রুবেল মিয়ার ওপর। হামলাকারীরা প্রথমে তার চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে কুপিয়ে মারাত্মক জখম ফেলে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ,

খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ,

নিহতের ভাই সোহেল মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আব্দুল মান্নান, আব্দুছ ছালাম, সানুর, আব্দুল মান্নানের স্ত্রী চন্দ্রবান ও ছেলের বউ রেহানা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। ,

কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান, মৃতের ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। , সূত্র: যুগান্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হামলায় জামাই নিহত !

আপডেট : ১২:০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে শ্বশুরবাড়িতে জামাই রুবেল আহমেদকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। মৃত রুবেল উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নে মনরাজ গ্রামের সাবেক মেম্বার ওহাব মিয়ার ছেলে।

নিহত রুবেল আহমদের পরিবারের দাবি, কর্মধা ইউনিয়নে পূর্ব কর্মধা গ্রামের রুবেল আহমদের শ্বশুর মবু মিয়া ও চাচাশ্বশুর আব্দুল মান্নানের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ,

এই বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে স্থানীয় রবিরবাজারে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এর পর রুবেল মিয়া শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে যাওয়ার পর চাচাশ্বশুর আব্দুল মান্নান ও তার ছেলে আজাদ মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় জামাই রুবেল মিয়ার ওপর। হামলাকারীরা প্রথমে তার চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে কুপিয়ে মারাত্মক জখম ফেলে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ,

খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ,

নিহতের ভাই সোহেল মিয়া বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আব্দুল মান্নান, আব্দুছ ছালাম, সানুর, আব্দুল মান্নানের স্ত্রী চন্দ্রবান ও ছেলের বউ রেহানা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। ,

কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান, মৃতের ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। , সূত্র: যুগান্তর