নেত্রকোনা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটপাড়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নেত্রকোনার আটপাড়া কান্দিপাড়া এ.এম.এস.আর ইনষ্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক মো: আইনুল হকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় এম.পি.ও ঘোষণার পর হতে বিভিন্ন শিক্ষকের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আবেদা খাতুন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে পৃথক অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৯ সনে বিদ্যালয়টি এম.পি.ও ভূক্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়। এম.পি.ও ভূক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক প্রায় ২০ বৎসর পূর্বের নিয়োগকৃত অভিযোগকারী ও অন্যান্য শিক্ষকগণকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা করছে। প্রধান শিক্ষক কৌশলে অভিযোগকারীর নিকট থেকে তার মূল নিয়োগ ও যোগদানপত্র নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষিকা তার মূল কাগজ ফেরত চাইলে তা না দিয়ে প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির আশ্রয়ে জাল স্বাক্ষরে নতুন যোগদান ও নিয়োগপত্র প্রদান করে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ও তার স্বামী ঐ বিদ্যালয়ের সৃষ্টি লগ্ন থেকেই বৈধভাবে সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছেন। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জমি, ঘর নির্মাণ, দাপ্তরিক খরচ বাবদ ভূক্ত ভোগী ও তার স্বামীর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা নিয়েছেন। এম.পি.ও ভূক্তির পর প্রধান শিক্ষক পুনঃরায় তাদের নিকট থেকে আরো ১০ লক্ষ টাকা দাবী করলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর স্বামী সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল লতিফ চাকুরী হারানোর ভয়ে আরও ১০ লক্ষ টাকা দিতে অক্ষমতায় রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির মৃত্যুতে তার স্বাক্ষর জাল করে নতুন করে নিয়োগের পাঁয়াতায় রত আছে। কাগজ কলমে বিদ্যালয়টি চালু দেখালেও বর্তমানে শিক্ষার্থীবিহীন আছে। প্রধান শিক্ষককে বিগত সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো: আইনুল হকের সঙ্গে মোবাইলে বার বার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আতিকুর রহমান খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

আটপাড়ায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আপডেট : ০৯:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

নেত্রকোনার আটপাড়া কান্দিপাড়া এ.এম.এস.আর ইনষ্টিটিউট এর প্রধান শিক্ষক মো: আইনুল হকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় এম.পি.ও ঘোষণার পর হতে বিভিন্ন শিক্ষকের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আবেদা খাতুন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে পৃথক অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৯ সনে বিদ্যালয়টি এম.পি.ও ভূক্তির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়। এম.পি.ও ভূক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক প্রায় ২০ বৎসর পূর্বের নিয়োগকৃত অভিযোগকারী ও অন্যান্য শিক্ষকগণকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগের পাঁয়তারা করছে। প্রধান শিক্ষক কৌশলে অভিযোগকারীর নিকট থেকে তার মূল নিয়োগ ও যোগদানপত্র নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষিকা তার মূল কাগজ ফেরত চাইলে তা না দিয়ে প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির আশ্রয়ে জাল স্বাক্ষরে নতুন যোগদান ও নিয়োগপত্র প্রদান করে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ও তার স্বামী ঐ বিদ্যালয়ের সৃষ্টি লগ্ন থেকেই বৈধভাবে সুনামের সাথে চাকুরী করে আসছেন। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জমি, ঘর নির্মাণ, দাপ্তরিক খরচ বাবদ ভূক্ত ভোগী ও তার স্বামীর নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা নিয়েছেন। এম.পি.ও ভূক্তির পর প্রধান শিক্ষক পুনঃরায় তাদের নিকট থেকে আরো ১০ লক্ষ টাকা দাবী করলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর স্বামী সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল লতিফ চাকুরী হারানোর ভয়ে আরও ১০ লক্ষ টাকা দিতে অক্ষমতায় রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতির মৃত্যুতে তার স্বাক্ষর জাল করে নতুন করে নিয়োগের পাঁয়াতায় রত আছে। কাগজ কলমে বিদ্যালয়টি চালু দেখালেও বর্তমানে শিক্ষার্থীবিহীন আছে। প্রধান শিক্ষককে বিগত সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো: আইনুল হকের সঙ্গে মোবাইলে বার বার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আতিকুর রহমান খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।