নেত্রকোনা ১২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবি শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত,বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

  • আপডেট : ০৫:১৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ২০৯

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদাতাঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেয় ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক আবু সাদেক মো. কামরুজ্জামান। তবে আজ রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বাতিল না করলে আগামীকাল থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবিগুলো- সোহরাবকে মারধরকারী নাহিদ ও আসিফসহ যারা জড়িত ছিল তাদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, হল প্রশাসন নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ, গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

ভূক্তভোগী সোহরাব হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। তারা দুইজনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
হল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে আসিফ লাকের নেতৃতে কয়েজন ছাত্রলীগ কর্মী সোহরাবকে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে হলের তৃতীয় বøকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে তারা দুইজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে আসিফ লাক ও হুমায়ন কবির নাহিদ। মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে তার বন্ধুরা। সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে ও মাথায় মোট ১৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু তনয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

রাবি শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত,বিচারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

আপডেট : ০৫:১৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদাতাঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নেয় ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক আবু সাদেক মো. কামরুজ্জামান। তবে আজ রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বাতিল না করলে আগামীকাল থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবিগুলো- সোহরাবকে মারধরকারী নাহিদ ও আসিফসহ যারা জড়িত ছিল তাদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার, হল প্রশাসন নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ, গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

ভূক্তভোগী সোহরাব হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক ছাত্র। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। তারা দুইজনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
হল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে আসিফ লাকের নেতৃতে কয়েজন ছাত্রলীগ কর্মী সোহরাবকে ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে হলের তৃতীয় বøকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যায়।

একপর্যায়ে তারা দুইজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে আসিফ লাক ও হুমায়ন কবির নাহিদ। মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে তার বন্ধুরা। সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে ও মাথায় মোট ১৫ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার বন্ধু তনয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।