নেত্রকোনা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

  • আপডেট : ০৯:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৫২

মোতাহার আলম চৌধুরী ,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাণী। সে মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের আরাধনের মেয়ে। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পারেন যে, কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী মৃত্তিকা রাণীর বিয়ের আয়োজন চলছে।

এমন সংবাদে ইউএনও, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় বিয়ের আয়োজন চলছে তখন বর এসে পৌছেঁনি। এ সময় কনের বাবা ও মাকে ডেকে এনে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে বলেন। তখন অসহায় প্রতিবন্ধি মেয়ের বাবা আরাধন অর্থনৈতিক অনটনের কারণে মেয়েকে পড়াতে পারছে না বলে বিয়ে দিচ্ছে জানায়। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মেয়ের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব নিলে বাবা- মা বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই ছাত্রী মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে জেএসসি মডেল টেস্ট পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কি না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল জানান, সোমবার রাতে কেশজানি গ্রামে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও স্যারসহ আমি বিয়ে বাড়িতে যাই। বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে তাদের কে বুঝিয়ে মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলে মা-বাবা বিবাহ বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার ওই ছাত্রী জেএসসি মডেল টেস্ট পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান বলেন, বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে সোমবার রাতে কেশজানি গ্রামের আরাধেনের বাড়িতে যাই। তাদের কে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবগত করলে তারা বিয়ে বন্ধ করে দেয়। মেয়েটির পড়া লেখা ও বিয়ের দায়িত্ব ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল নিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

মদনে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

আপডেট : ০৯:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

মোতাহার আলম চৌধুরী ,মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাণী। সে মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানি গ্রামের আরাধনের মেয়ে। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানতে পারেন যে, কেশজানি বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী মৃত্তিকা রাণীর বিয়ের আয়োজন চলছে।

এমন সংবাদে ইউএনও, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় বিয়ের আয়োজন চলছে তখন বর এসে পৌছেঁনি। এ সময় কনের বাবা ও মাকে ডেকে এনে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে বলেন। তখন অসহায় প্রতিবন্ধি মেয়ের বাবা আরাধন অর্থনৈতিক অনটনের কারণে মেয়েকে পড়াতে পারছে না বলে বিয়ে দিচ্ছে জানায়। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মেয়ের লেখাপড়ার খরচের দায়িত্ব নিলে বাবা- মা বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই ছাত্রী মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে জেএসসি মডেল টেস্ট পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কি না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল জানান, সোমবার রাতে কেশজানি গ্রামে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও স্যারসহ আমি বিয়ে বাড়িতে যাই। বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে তাদের কে বুঝিয়ে মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলে মা-বাবা বিবাহ বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার ওই ছাত্রী জেএসসি মডেল টেস্ট পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও মোঃ ওয়ালীউল হাসান বলেন, বাল্য বিয়ের সংবাদ পেয়ে সোমবার রাতে কেশজানি গ্রামের আরাধেনের বাড়িতে যাই। তাদের কে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবগত করলে তারা বিয়ে বন্ধ করে দেয়। মেয়েটির পড়া লেখা ও বিয়ের দায়িত্ব ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল নিয়েছেন।