নেত্রকোনা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরল রোগে আক্রান্ত সাংবাদিক জাকির প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান

  • আপডেট : ০৫:৩১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০
  • ২২৩
দিনাজপুরের বিরামপুরে সাংবাদিক জাকিরুল ইসলাম অর্থঅভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।

এবিষয়ে তার খালাতো ভাই নূরে আলম সিদ্দিকী নূর জানান, গত জুলাই মাসে বিরামপুর উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহকালে হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব হলে তার সহকর্মীরা বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এমতঅবস্থায় তার দুটি হাতের মাংস শুকিয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে যায় এবং পা দুটি ধীরে ধীরে অবশ হতে থাকে।

টানা ১৮ দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ডাক্তাদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্য ভারতে যায়। সেখানে নিমহ্যান্স হসপিটাল ও ন্যাশনাল নিউরো সাইন্স সেন্টারের চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার ব্যানার্জী ও ডা. এ কে পাল সহ ১৬ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকিল বোর্ড গঠন করেন।
মেডিকেল বোর্ড তার শরীরে বিশ্বের বিরল দুটি রোগ Hirayama Disease সহ Ankylosing Spondylitis Diseases রোগ নির্ণয় করেন। এবং Hirayama Disease এর জন্য একটি মেজর অপারেশন করতে বলেন ও Ankylosing Spondylitis Diseases এর জন্য ১২ টি ইনজেকশন করতে বলেন যার একেকটি ইনজেকশন খরচসহ ৭০ হাজার টাকা। চিকিৎসকগণ আরও জানান, ইহা ছাড়া এই রোগের চিকিৎসা নেই, তার এই রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যায়বহুল-র্নিমূল করতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।

হাসপাতালের আরএমও নিউরোমেডিসিন ডা. আহসান হাবিব বকুল জানান, তার নার্ভগুলো ধীরে ধীরে ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে ও মেরুদন্ড ও ঘাড়ের অবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে। এই ধরনের রোগীকে সাধারণত আইসিইউতে রাখতে হয়। এবং অতিদ্রত তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।

তার স্ত্রী জানান, জমি জমা বিক্রি করে ও মাথা গুজার শেষ সম্বল বসতবাড়িটি ব্যাংকে বন্ধক রেখে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ করি। এখন ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে এমতাবস্থায় অর্থঅভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারায় সরকরি হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।

তিনি আরো জানান, আমার স্বামী সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হওয়াই এবং ছোট্ট দুটি ছেলে মেয়ের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যর আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

বিরল রোগে আক্রান্ত সাংবাদিক জাকির প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান

আপডেট : ০৫:৩১:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০
দিনাজপুরের বিরামপুরে সাংবাদিক জাকিরুল ইসলাম অর্থঅভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।

এবিষয়ে তার খালাতো ভাই নূরে আলম সিদ্দিকী নূর জানান, গত জুলাই মাসে বিরামপুর উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহকালে হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব হলে তার সহকর্মীরা বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এমতঅবস্থায় তার দুটি হাতের মাংস শুকিয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে যায় এবং পা দুটি ধীরে ধীরে অবশ হতে থাকে।

টানা ১৮ দিন চিকিৎসা গ্রহণ শেষে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে ডাক্তাদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্য ভারতে যায়। সেখানে নিমহ্যান্স হসপিটাল ও ন্যাশনাল নিউরো সাইন্স সেন্টারের চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার ব্যানার্জী ও ডা. এ কে পাল সহ ১৬ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকিল বোর্ড গঠন করেন।
মেডিকেল বোর্ড তার শরীরে বিশ্বের বিরল দুটি রোগ Hirayama Disease সহ Ankylosing Spondylitis Diseases রোগ নির্ণয় করেন। এবং Hirayama Disease এর জন্য একটি মেজর অপারেশন করতে বলেন ও Ankylosing Spondylitis Diseases এর জন্য ১২ টি ইনজেকশন করতে বলেন যার একেকটি ইনজেকশন খরচসহ ৭০ হাজার টাকা। চিকিৎসকগণ আরও জানান, ইহা ছাড়া এই রোগের চিকিৎসা নেই, তার এই রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যায়বহুল-র্নিমূল করতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।

হাসপাতালের আরএমও নিউরোমেডিসিন ডা. আহসান হাবিব বকুল জানান, তার নার্ভগুলো ধীরে ধীরে ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে ও মেরুদন্ড ও ঘাড়ের অবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে। এই ধরনের রোগীকে সাধারণত আইসিইউতে রাখতে হয়। এবং অতিদ্রত তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।

তার স্ত্রী জানান, জমি জমা বিক্রি করে ও মাথা গুজার শেষ সম্বল বসতবাড়িটি ব্যাংকে বন্ধক রেখে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ করি। এখন ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে এমতাবস্থায় অর্থঅভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারায় সরকরি হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।

তিনি আরো জানান, আমার স্বামী সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হওয়াই এবং ছোট্ট দুটি ছেলে মেয়ের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যর আকুল আবেদন জানাচ্ছি।