এবিষয়ে তার খালাতো ভাই নূরে আলম সিদ্দিকী নূর জানান, গত জুলাই মাসে বিরামপুর উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহকালে হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব হলে তার সহকর্মীরা বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এমতঅবস্থায় তার দুটি হাতের মাংস শুকিয়ে বিকলাঙ্গ হয়ে যায় এবং পা দুটি ধীরে ধীরে অবশ হতে থাকে।
হাসপাতালের আরএমও নিউরোমেডিসিন ডা. আহসান হাবিব বকুল জানান, তার নার্ভগুলো ধীরে ধীরে ড্যামেজ হয়ে যাচ্ছে ও মেরুদন্ড ও ঘাড়ের অবস্থা খুবই খারাপ পর্যায়ে। এই ধরনের রোগীকে সাধারণত আইসিইউতে রাখতে হয়। এবং অতিদ্রত তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
তার স্ত্রী জানান, জমি জমা বিক্রি করে ও মাথা গুজার শেষ সম্বল বসতবাড়িটি ব্যাংকে বন্ধক রেখে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা খরচ করি। এখন ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে এমতাবস্থায় অর্থঅভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারায় সরকরি হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি।
তিনি আরো জানান, আমার স্বামী সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হওয়াই এবং ছোট্ট দুটি ছেলে মেয়ের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যর আকুল আবেদন জানাচ্ছি।