নেত্রকোনা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনায় মগড়া নদী দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে

অবৈধ দখলে এক সময়ের খরস্রোতা মগড়া নদী এখন শীর্ণকায়। সরকার নদী বাচাঁতে দেশব্যাপী দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে একযোগে। এরই অংশ হিসেবে নেত্রকোনাতেও গত ২৩ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শহরের সাতপাই সওদাগরপাড়া ও থানার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের মনিটরিংয়ে শুরু হয়েছিলো ভাংচুর কার্যক্রম।

পৌরশহরের মগড়া নদীর ৬ কিলোমিটারের প্রায় ৫৪টি পয়েন্টের প্রায় আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা তালিকা করে যৌথভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন ঘটা করে ভাংচুর শুরু করে।
কিন্তু এর দুদিন বাদেই সরকারি ভাবে ভাংচুর বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ভাংচুর অব্যাহত রাখলেও আবার কিছু কিছু স্থাপনার ভাংচুর বন্ধ রয়েছে। থানার মোড় এলাকায় এসকেভেটরটি পড়ে আছে।

বৃহস্পতিবার রোদের দেখা মিললেও থানার মোড়ে বা সওদাগড় পাড়ায় কাজের পাশে পাওয়া যায়নি সরকারি কোন তদারক কর্মকর্তা বা কমর্ংচারীকে। সাধারণ জনগন আশংকা করছেন অনেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। জসিম মিয়া ও জাহিদ মাস্টার জানান, ভাংচুর শুরু করে আবার বন্ধ রাখা এতে করে আসলে কতখানি উচ্ছেদ অভিযান সফল হবে এ নিয়ে ভাবছেন তারা।

প্রশাসনের এই ভালো উদ্যোগটি অব্যাহত রেখে সীমানা নিধারণ করে দিলে কেউ পুনরায় দখল করতে পারবে না। সাধারণ মানুষের জোর দাবী এমন উদ্যোগ যেনো প্রভাবশালী বা কোন মাধ্যমে বন্ধ হয়ে না যায়। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে আজ নদীটি রক্ষা হতে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকুক।

এসকেভটর চালক হৃদয় ভৌমিক জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টার হিসাবে পনেরোশ করে টাকা পায় তারা। ঠিকাদার বললে চালায়।

উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনা সদরের সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বুলবুল আহমেদের সাথে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

নেত্রকোনায় মগড়া নদী দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে

আপডেট : ১১:১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

অবৈধ দখলে এক সময়ের খরস্রোতা মগড়া নদী এখন শীর্ণকায়। সরকার নদী বাচাঁতে দেশব্যাপী দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে একযোগে। এরই অংশ হিসেবে নেত্রকোনাতেও গত ২৩ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শহরের সাতপাই সওদাগরপাড়া ও থানার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের মনিটরিংয়ে শুরু হয়েছিলো ভাংচুর কার্যক্রম।

পৌরশহরের মগড়া নদীর ৬ কিলোমিটারের প্রায় ৫৪টি পয়েন্টের প্রায় আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা তালিকা করে যৌথভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন ঘটা করে ভাংচুর শুরু করে।
কিন্তু এর দুদিন বাদেই সরকারি ভাবে ভাংচুর বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ভাংচুর অব্যাহত রাখলেও আবার কিছু কিছু স্থাপনার ভাংচুর বন্ধ রয়েছে। থানার মোড় এলাকায় এসকেভেটরটি পড়ে আছে।

বৃহস্পতিবার রোদের দেখা মিললেও থানার মোড়ে বা সওদাগড় পাড়ায় কাজের পাশে পাওয়া যায়নি সরকারি কোন তদারক কর্মকর্তা বা কমর্ংচারীকে। সাধারণ জনগন আশংকা করছেন অনেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। জসিম মিয়া ও জাহিদ মাস্টার জানান, ভাংচুর শুরু করে আবার বন্ধ রাখা এতে করে আসলে কতখানি উচ্ছেদ অভিযান সফল হবে এ নিয়ে ভাবছেন তারা।

প্রশাসনের এই ভালো উদ্যোগটি অব্যাহত রেখে সীমানা নিধারণ করে দিলে কেউ পুনরায় দখল করতে পারবে না। সাধারণ মানুষের জোর দাবী এমন উদ্যোগ যেনো প্রভাবশালী বা কোন মাধ্যমে বন্ধ হয়ে না যায়। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে আজ নদীটি রক্ষা হতে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকুক।

এসকেভটর চালক হৃদয় ভৌমিক জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টার হিসাবে পনেরোশ করে টাকা পায় তারা। ঠিকাদার বললে চালায়।

উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনা সদরের সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বুলবুল আহমেদের সাথে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।