অবৈধ দখলে এক সময়ের খরস্রোতা মগড়া নদী এখন শীর্ণকায়। সরকার নদী বাচাঁতে দেশব্যাপী দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে একযোগে। এরই অংশ হিসেবে নেত্রকোনাতেও গত ২৩ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শহরের সাতপাই সওদাগরপাড়া ও থানার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের মনিটরিংয়ে শুরু হয়েছিলো ভাংচুর কার্যক্রম।
পৌরশহরের মগড়া নদীর ৬ কিলোমিটারের প্রায় ৫৪টি পয়েন্টের প্রায় আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা তালিকা করে যৌথভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন ঘটা করে ভাংচুর শুরু করে।
কিন্তু এর দুদিন বাদেই সরকারি ভাবে ভাংচুর বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ভাংচুর অব্যাহত রাখলেও আবার কিছু কিছু স্থাপনার ভাংচুর বন্ধ রয়েছে। থানার মোড় এলাকায় এসকেভেটরটি পড়ে আছে।
বৃহস্পতিবার রোদের দেখা মিললেও থানার মোড়ে বা সওদাগড় পাড়ায় কাজের পাশে পাওয়া যায়নি সরকারি কোন তদারক কর্মকর্তা বা কমর্ংচারীকে। সাধারণ জনগন আশংকা করছেন অনেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। জসিম মিয়া ও জাহিদ মাস্টার জানান, ভাংচুর শুরু করে আবার বন্ধ রাখা এতে করে আসলে কতখানি উচ্ছেদ অভিযান সফল হবে এ নিয়ে ভাবছেন তারা।
প্রশাসনের এই ভালো উদ্যোগটি অব্যাহত রেখে সীমানা নিধারণ করে দিলে কেউ পুনরায় দখল করতে পারবে না। সাধারণ মানুষের জোর দাবী এমন উদ্যোগ যেনো প্রভাবশালী বা কোন মাধ্যমে বন্ধ হয়ে না যায়। জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে আজ নদীটি রক্ষা হতে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকুক।
এসকেভটর চালক হৃদয় ভৌমিক জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টার হিসাবে পনেরোশ করে টাকা পায় তারা। ঠিকাদার বললে চালায়।
উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে নেত্রকোনা সদরের সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) বুলবুল আহমেদের সাথে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।