নেত্রকোনা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মুক্ত দিবস

  • আপডেট : ০৮:৩৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২০৩

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :

আজ ৮ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় দৌলতপুর।
তৎকালীন দৌলতপুর থানায় পাক হানাদারদের সঙ্গে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাঙগাড়ি মাঠে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। সেখানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং দুইজন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। এ যুদ্ধে ৩ শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়।

এরপর ২৬ নভেম্বর পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর মাঠে পাকহানাদারদের সঙ্গে আরেকটি বড় যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব শহীদ হন। এ যুদ্ধের পর পাকসেনা ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ে এবং দৌলতপুর থানার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয়। বাধ্যহয়ে ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকসেনারা পালিয়ে কুষ্টিয়ার শহরতলী জগতি ও বটতৈল এলাকায় আশ্রয় নেয়।

১৯৭১ এর আজকের এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দৌলতপুরকে শত্রæমুক্ত ঘোষণা করেন। দিবসটি উপলক্ষে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করেছে বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

আজ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর মুক্ত দিবস

আপডেট : ০৮:৩৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :

আজ ৮ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় দৌলতপুর।
তৎকালীন দৌলতপুর থানায় পাক হানাদারদের সঙ্গে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাঙগাড়ি মাঠে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। সেখানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং দুইজন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। এ যুদ্ধে ৩ শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়।

এরপর ২৬ নভেম্বর পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর মাঠে পাকহানাদারদের সঙ্গে আরেকটি বড় যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব শহীদ হন। এ যুদ্ধের পর পাকসেনা ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ে এবং দৌলতপুর থানার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয়। বাধ্যহয়ে ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকসেনারা পালিয়ে কুষ্টিয়ার শহরতলী জগতি ও বটতৈল এলাকায় আশ্রয় নেয়।

১৯৭১ এর আজকের এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দৌলতপুরকে শত্রæমুক্ত ঘোষণা করেন। দিবসটি উপলক্ষে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করেছে বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানিয়েছেন।