নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া :
আজ ৮ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় দৌলতপুর।
তৎকালীন দৌলতপুর থানায় পাক হানাদারদের সঙ্গে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাঙগাড়ি মাঠে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। সেখানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং দুইজন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। এ যুদ্ধে ৩ শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়।
এরপর ২৬ নভেম্বর পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর মাঠে পাকহানাদারদের সঙ্গে আরেকটি বড় যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব শহীদ হন। এ যুদ্ধের পর পাকসেনা ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে কোনঠাসা হয়ে পড়ে এবং দৌলতপুর থানার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয়। বাধ্যহয়ে ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকসেনারা পালিয়ে কুষ্টিয়ার শহরতলী জগতি ও বটতৈল এলাকায় আশ্রয় নেয়।
১৯৭১ এর আজকের এইদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দৌলতপুরকে শত্রæমুক্ত ঘোষণা করেন। দিবসটি উপলক্ষে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করেছে বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জানিয়েছেন।