নেত্রকোনা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খোকসায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ ,আহত ২০

  • আপডেট : ০৩:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৭৮

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া ঃ

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সভা স্থলের চেয়ার দখল কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০জন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের অংশ ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করে।
এ সময় হলুদ টি-শার্ট পরা এমপি সমর্থিত উপজেলা সভাপতি বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা টি-শার্ট পরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমর্থক মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। বৈঠা ও দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পরলে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়।

সভাস্থলে হামলায় আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান (২৮), জয়নাল মোল্লা (৫৫), শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৪৩), আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫), হজরত (৩২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্ণস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান। সম্মেলন কমিটির এক সদস্য জানান, হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে।

অপর দিকে উপজেলা সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলন স্থলে চারিদিকে সাদা পোশাকের পুলিশ রাখা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

খোকসায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ ,আহত ২০

আপডেট : ০৩:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া ঃ

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সভা স্থলের চেয়ার দখল কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০জন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের অংশ ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করে।
এ সময় হলুদ টি-শার্ট পরা এমপি সমর্থিত উপজেলা সভাপতি বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা টি-শার্ট পরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমর্থক মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। বৈঠা ও দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পরলে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়।

সভাস্থলে হামলায় আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান (২৮), জয়নাল মোল্লা (৫৫), শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৪৩), আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫), হজরত (৩২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্ণস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান। সম্মেলন কমিটির এক সদস্য জানান, হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে।

অপর দিকে উপজেলা সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলন স্থলে চারিদিকে সাদা পোশাকের পুলিশ রাখা হয়েছে।