নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া ঃ
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুর আগেই সভা স্থলের চেয়ার দখল কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০জন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন পয়েন্টে দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের অংশ ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করে।
এ সময় হলুদ টি-শার্ট পরা এমপি সমর্থিত উপজেলা সভাপতি বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা টি-শার্ট পরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমর্থক মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। বৈঠা ও দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পরলে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাবমোড়, তেল পাম্প, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে অবস্থান নেয়।
সভাস্থলে হামলায় আহত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান (২৮), জয়নাল মোল্লা (৫৫), শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল (৪৩), আকাশ (১৮), আছিব (১৬), উজ্জল (৪৮), সাগর (২৬), নয়ন (৩০), লিটন (৩০), জিহাদ (১৭), দুলাল (২৮), মতিন শেখ (৩৫), হজরত (৩২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্ণস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান। সম্মেলন কমিটির এক সদস্য জানান, হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে।
অপর দিকে উপজেলা সভাপতি বাবুল আক্তার জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সম্মেলন স্থলে চারিদিকে সাদা পোশাকের পুলিশ রাখা হয়েছে।