নেত্রকোনা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আটপাড়ায় চলছে রমরমা দাদন ব্যবসা, ভূক্তভোগীরা সর্বশান্ত

  • আপডেট : ০৬:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ১১৬০

মো: আসাদুজ্জামান খান সোহাগ:

নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলাটি জেলা সদরের সবচেয়ে নিকটবর্তী উপজেলা। উপজেলার সচ্ছল পরিবারের অনেকেই অবস্থান করেন জেলা শহরসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে। উপজেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের তেমন কোন সুযোগ না থাকলেও দাদন/ সুদের রমরমা ব্যবসা প্রচলিত রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। যা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

প্রবাদে আছে সুদের সাথে দৌঁড়ের ঘোরাও চলতে ব্যর্থ হয়। তারই বাস্তব প্রমাণ আটপাড়া উপজেলায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাওয়া তথাকথিত প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি। সুদের ব্যবসায়ীরা সাদা স্ট্যাম্পের উপর স্বাক্ষর নিয়ে ব্ল্যাকমেইল এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু স্ট্যাম্পেই থেমে নেই তারা ব্যাংকের চেক বই বন্ধক নিয়ে রমরমা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সুদসহ আসল দিতে না পেরে এখন পর্যন্ত অনেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কতিপয় মাতাব্বররূপী দালালদের মাধ্যমে তারা দরবার শালিস করে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে। উক্ত দরবার শালিসে দালালদেরও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ থাকে। আটপাড়ার সরকারি চাকুরীজীবী থেকে শুরু করে দরিদ্র কৃষক পর্যন্ত আজ সুদের ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছে।

ভূক্তভোগী পরিবারদের সাথে কথা বললে জানান, প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে আটপাড়া উপজেলার সুদের ব্যবসায়ীদের তালিকা অর্ন্তভূক্ত করে অভিযান পরিচালনা ও দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী রাখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

আটপাড়ায় চলছে রমরমা দাদন ব্যবসা, ভূক্তভোগীরা সর্বশান্ত

আপডেট : ০৬:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

মো: আসাদুজ্জামান খান সোহাগ:

নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলাটি জেলা সদরের সবচেয়ে নিকটবর্তী উপজেলা। উপজেলার সচ্ছল পরিবারের অনেকেই অবস্থান করেন জেলা শহরসহ বিভিন্ন বড় বড় শহরে। উপজেলায় ব্যবসা-বাণিজ্যের তেমন কোন সুযোগ না থাকলেও দাদন/ সুদের রমরমা ব্যবসা প্রচলিত রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। যা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

প্রবাদে আছে সুদের সাথে দৌঁড়ের ঘোরাও চলতে ব্যর্থ হয়। তারই বাস্তব প্রমাণ আটপাড়া উপজেলায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে যাওয়া তথাকথিত প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি। সুদের ব্যবসায়ীরা সাদা স্ট্যাম্পের উপর স্বাক্ষর নিয়ে ব্ল্যাকমেইল এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। শুধু স্ট্যাম্পেই থেমে নেই তারা ব্যাংকের চেক বই বন্ধক নিয়ে রমরমা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সুদসহ আসল দিতে না পেরে এখন পর্যন্ত অনেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কতিপয় মাতাব্বররূপী দালালদের মাধ্যমে তারা দরবার শালিস করে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে। উক্ত দরবার শালিসে দালালদেরও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ লভ্যাংশ থাকে। আটপাড়ার সরকারি চাকুরীজীবী থেকে শুরু করে দরিদ্র কৃষক পর্যন্ত আজ সুদের ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছে।

ভূক্তভোগী পরিবারদের সাথে কথা বললে জানান, প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে আটপাড়া উপজেলার সুদের ব্যবসায়ীদের তালিকা অর্ন্তভূক্ত করে অভিযান পরিচালনা ও দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী রাখেন।