নেত্রকোনা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে সীমান্তে আটকে থাকা এলসির পেঁয়াজ আসছে

  • আপডেট : ১০:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৮০

অবশেষে সীমান্তে আটকে থাকা পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে ভারত। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সনজিত্ মজুমদার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার থেকেও। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের অবৈধ মজুত ও কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। এসবের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ এলে দাম আরো কমে যাবে।

হাকিমপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন ও নাজমুল হক জানান, সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬০টি ট্রাকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অবশেষে পাঁচ দিন পর শুধু পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, গতকালই পেঁয়াজবোঝাই সব ট্রাক দেশে চলে আসার কথা।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক বন্যায় পেঁয়াজের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত।

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, পেঁয়াজের অবৈধ মজুত ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী স্থলবন্দরের বাইরে বালিয়াদিঘি এলাকার ১২টি পেঁয়াজের গুদামে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় দুটি গুদাম থেকে ২৮২ বস্তা পেঁয়াজ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের মধ্যে বাজারমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টি এম মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে সোনামসজিদ এলাকার সব কটি পেঁয়াজের গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আতাউরের দুটি গুদামে পেঁয়াজের সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযান শেষে আটক ২৮২ বস্তা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে বাজারমূল্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তাদের মধ্যে বিক্রি করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

অবশেষে সীমান্তে আটকে থাকা এলসির পেঁয়াজ আসছে

আপডেট : ১০:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০১৯

অবশেষে সীমান্তে আটকে থাকা পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দিয়েছে ভারত। ভারতের হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সনজিত্ মজুমদার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার থেকেও। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের অবৈধ মজুত ও কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। এসবের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ এলে দাম আরো কমে যাবে।

হাকিমপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে আসতে শুরু করে।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন ও নাজমুল হক জানান, সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬০টি ট্রাকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আটকে ছিল। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অবশেষে পাঁচ দিন পর শুধু পূর্বের এলসি করা পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, গতকালই পেঁয়াজবোঝাই সব ট্রাক দেশে চলে আসার কথা।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক বন্যায় পেঁয়াজের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত।

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, পেঁয়াজের অবৈধ মজুত ঠেকাতে গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী স্থলবন্দরের বাইরে বালিয়াদিঘি এলাকার ১২টি পেঁয়াজের গুদামে অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় দুটি গুদাম থেকে ২৮২ বস্তা পেঁয়াজ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের মধ্যে বাজারমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার টি এম মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে সোনামসজিদ এলাকার সব কটি পেঁয়াজের গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আতাউরের দুটি গুদামে পেঁয়াজের সন্ধান পাওয়া যায়। অভিযান শেষে আটক ২৮২ বস্তা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে বাজারমূল্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তাদের মধ্যে বিক্রি করা হয়।