নেত্রকোনা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূর্বধলায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, অত:পর মৃত্যু, আটক-১

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ইয়াসমিন আক্তার (২৪) নামের এক কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) মারা গেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত অপহরণকারী আলমগীরকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইয়াসমিন উপজেলার খামারহাটি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে ও নেত্রকোনা আবু আব্বাছ কলেজের ¯œাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

নিহতে পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে ওই ছাত্রী তার বাড়ী থেকে উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে বই-খাতা কিনতে যায়। এ সময় জেলার সদর উপজেলার বালি গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আলমগীর তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কতিপয় সঙ্গীদের নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে তাকে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায় আলমগীরের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।

সেখানে পানীয় দ্রব্যের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে আলমগীর। এক পর্যায়ে তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে পরের দিন (২২ আগস্ট) আলমগীর শ্যামগঞ্জ রেলক্রসিং এলাকায় ইয়াসমিনকে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৫ আগস্ট) সে মারা যায়।

এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা মোছা. নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে রবিবার রাতেই ধর্ষক আলমগীরের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে পূবর্ধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, নেত্রকোনা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় রবিবার রাতেই আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পূর্বধলা থানায় নিয়ে আসায় হয়। আজ সোমবার বিকেলে (২৬ আগস্ট) ধর্ষক আলমগীরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

পূর্বধলায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, অত:পর মৃত্যু, আটক-১

আপডেট : ০৩:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৯

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ইয়াসমিন আক্তার (২৪) নামের এক কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) মারা গেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত অপহরণকারী আলমগীরকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইয়াসমিন উপজেলার খামারহাটি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে ও নেত্রকোনা আবু আব্বাছ কলেজের ¯œাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

নিহতে পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে ওই ছাত্রী তার বাড়ী থেকে উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে বই-খাতা কিনতে যায়। এ সময় জেলার সদর উপজেলার বালি গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আলমগীর তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কতিপয় সঙ্গীদের নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে তাকে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায় আলমগীরের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।

সেখানে পানীয় দ্রব্যের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে আলমগীর। এক পর্যায়ে তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে পরের দিন (২২ আগস্ট) আলমগীর শ্যামগঞ্জ রেলক্রসিং এলাকায় ইয়াসমিনকে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৫ আগস্ট) সে মারা যায়।

এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা মোছা. নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে রবিবার রাতেই ধর্ষক আলমগীরের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে পূবর্ধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, নেত্রকোনা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় রবিবার রাতেই আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পূর্বধলা থানায় নিয়ে আসায় হয়। আজ সোমবার বিকেলে (২৬ আগস্ট) ধর্ষক আলমগীরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছে।