নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ইয়াসমিন আক্তার (২৪) নামের এক কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) মারা গেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত অপহরণকারী আলমগীরকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইয়াসমিন উপজেলার খামারহাটি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে ও নেত্রকোনা আবু আব্বাছ কলেজের ¯œাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
নিহতে পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে ওই ছাত্রী তার বাড়ী থেকে উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে বই-খাতা কিনতে যায়। এ সময় জেলার সদর উপজেলার বালি গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আলমগীর তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কতিপয় সঙ্গীদের নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে তাকে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলায় আলমগীরের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে পানীয় দ্রব্যের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে আলমগীর। এক পর্যায়ে তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে পরের দিন (২২ আগস্ট) আলমগীর শ্যামগঞ্জ রেলক্রসিং এলাকায় ইয়াসমিনকে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে দুদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৫ আগস্ট) সে মারা যায়।
এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা মোছা. নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে রবিবার রাতেই ধর্ষক আলমগীরের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে পূবর্ধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, নেত্রকোনা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় রবিবার রাতেই আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পূর্বধলা থানায় নিয়ে আসায় হয়। আজ সোমবার বিকেলে (২৬ আগস্ট) ধর্ষক আলমগীরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছে।