নেত্রকোনা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদে পূর্বধলায় তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল

  • আপডেট : ০৬:০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৮৩

হাবিবুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ইহুদীদের কালো হাত ভেঙে দাও, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, দালালের দালালি চলবে না চলবে না, মসজিদ ভেঙে মন্দির মানবো না মানবো না, এই শ্লোগান সামনে রেখে, ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদে পূর্বধলায় সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাদ জোহর পূর্বধলা জামে মসজিদ ইসলামিয়া মাদরাসা হতে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে আলোচনা করেন। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পূর্বধলা জামে মসজিদ ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাও: নূর মোহাম্মদ সাহেব।

মাওলানা নুরুল আমীনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মাও: সাদিকুল ইসলাম, মাও: আলমগীর হোসেন, মাও: বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের কোথাও মন্দির, গির্জা ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এমন নজির নেই। কিন্তু মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির নির্মাণ করার নজির সৃষ্টি হলো।

আমরা পেঁয়াজ, ক্যাসিনোসহ অন্য কোনো কিছুর কথা বলতে আসেনি। আমরা এসেছি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মসজিদ গুঁড়িয়ে মন্দির নির্মাণ রায় দেয়ার প্রতিবাদ জানাতে। আমরা প্রতিবেশী বন্ধু দেশের এমন আচরণ মানব না। বাংলাদেশের মুসলমান বিধর্মীদের কোনো চক্রান্ত মেনে নিবো না। আমাদের এই পর্যন্ত অনেকেই রক্ত দিয়েছে।

রক্ত লাগলে আমরা আরো দিব। কোরআন ও রাসূল (সাঃ)কে যারা অবমাননা করবে, তাদের জিভ আমরা টেনে ছিঁড়ে নিব।বক্তারা ভারত সরকারের কাছে জানিয়েছেন যাতে করে পুনরায় বাবরী মসজিদ ওই স্থানেই নির্মাণ করা হয়। তা না হলে বাংলার জমিনে কোন মন্দির খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় ছিলো। সমাবেশ চলাকালীন সময়ে পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদে পূর্বধলায় তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট : ০৬:০৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

হাবিবুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ইহুদীদের কালো হাত ভেঙে দাও, সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, দালালের দালালি চলবে না চলবে না, মসজিদ ভেঙে মন্দির মানবো না মানবো না, এই শ্লোগান সামনে রেখে, ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিবাদে পূর্বধলায় সর্বস্তরের তাওহীদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাদ জোহর পূর্বধলা জামে মসজিদ ইসলামিয়া মাদরাসা হতে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে আলোচনা করেন। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন পূর্বধলা জামে মসজিদ ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাও: নূর মোহাম্মদ সাহেব।

মাওলানা নুরুল আমীনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মাও: সাদিকুল ইসলাম, মাও: আলমগীর হোসেন, মাও: বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের কোথাও মন্দির, গির্জা ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এমন নজির নেই। কিন্তু মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির নির্মাণ করার নজির সৃষ্টি হলো।

আমরা পেঁয়াজ, ক্যাসিনোসহ অন্য কোনো কিছুর কথা বলতে আসেনি। আমরা এসেছি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মসজিদ গুঁড়িয়ে মন্দির নির্মাণ রায় দেয়ার প্রতিবাদ জানাতে। আমরা প্রতিবেশী বন্ধু দেশের এমন আচরণ মানব না। বাংলাদেশের মুসলমান বিধর্মীদের কোনো চক্রান্ত মেনে নিবো না। আমাদের এই পর্যন্ত অনেকেই রক্ত দিয়েছে।

রক্ত লাগলে আমরা আরো দিব। কোরআন ও রাসূল (সাঃ)কে যারা অবমাননা করবে, তাদের জিভ আমরা টেনে ছিঁড়ে নিব।বক্তারা ভারত সরকারের কাছে জানিয়েছেন যাতে করে পুনরায় বাবরী মসজিদ ওই স্থানেই নির্মাণ করা হয়। তা না হলে বাংলার জমিনে কোন মন্দির খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় ছিলো। সমাবেশ চলাকালীন সময়ে পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।