নেত্রকোনা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহনগঞ্জে শেওড়াতলী-ফেরিরচর সড়কের পাশে গাছ কাটার অভিযোগ

  • আপডেট : ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৫৭

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নে শেওড়াতলী-ফেরিরচর নির্মানাধীন এলজিইডির সড়কের পাশে নয়টি ১০/১২ বছর বয়সি অপ্রাপ্ত মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ফুটিউগা চারপাড়া বাজার এলাকায় সড়কের পাশে ৯টি গাছ মো. আ. কাদির ২০ হাজার টাকায় বিক্রি এবং তা কর্তন করা হয়েছে।  এ মর্মে উপজেলার এসিল্যান্ড বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা শেওড়াতলী গ্রামের মো. আব্দুস সালাম ও গোড়াউতরা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম মানিক।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সড়কের নির্মানাধীন সড়কের পাশে কর্তনকৃত গাছগুলো পড়ে রয়েছে। কিন্তু সড়কের গাছগুলির গুড়ি ও শিকড় কেটে পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে।  দেখে বুঝার উপায় নেই এখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে।  ডালপালা বিহীন গাছগুলো ওই ইউনিয়নের উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞায় নির্মানধীন সড়কে পড়ে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

অভিযোগকারী আব্দুল সালাম জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গাছের ডালাপালা মেম্বার রুবেলের সহায়তায় বিক্রি করে ফেলেছে এবং এখন গাছের গুড়িগুলো মাটি দিয়ে এমনভাবে ভরাট করে ফেলেছে যাতে করে বুঝার উপায় নেই গাছ কাটা হয়েছে।

আরেক অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম মানিক বলেন, ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মেম্বারের সহায়তায় মোতালিবের কাছে বিক্রি করেছে। এসিল্যান্ড বরাবরে অভিযোগ দিলে তারা আমাকে মারধর করতে আসলে কয়েকজন তা প্রতিহত করে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আ. কাদির বলেন, ক্ষেতের সীমানায় গাছগুলো আমি রোপন করেছি। সরকার যদি গাছ চায়, জেল জরিমানা যেটা দিবে সেটা তো আমার মেনে নিতে হবে।

ওই ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল মিয়ার কাছে আপনাকে অবগত করে কয়টি গাছ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে অবগত না করে নয়টি গাছ কাটা হয়েছে।  এ ব্যাপারে অভিযোগ পড়েছে এসিল্যান্ডের কাছে। নায়েব সাহেব গাছগুলো আমার জিম্মায় রেখেছেন।  সার্ভেয়ার মাপার পর বলা যাবে গাছগুলো সরকারি নাকি ব্যক্তি মালিকানার।

এব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজনীন সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সার্ভেয়ার পরিমাপ করার পর বলা যাবে গাছের মালিকানার বিষয়টি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

মোহনগঞ্জে শেওড়াতলী-ফেরিরচর সড়কের পাশে গাছ কাটার অভিযোগ

আপডেট : ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নে শেওড়াতলী-ফেরিরচর নির্মানাধীন এলজিইডির সড়কের পাশে নয়টি ১০/১২ বছর বয়সি অপ্রাপ্ত মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ফুটিউগা চারপাড়া বাজার এলাকায় সড়কের পাশে ৯টি গাছ মো. আ. কাদির ২০ হাজার টাকায় বিক্রি এবং তা কর্তন করা হয়েছে।  এ মর্মে উপজেলার এসিল্যান্ড বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা শেওড়াতলী গ্রামের মো. আব্দুস সালাম ও গোড়াউতরা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম মানিক।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সড়কের নির্মানাধীন সড়কের পাশে কর্তনকৃত গাছগুলো পড়ে রয়েছে। কিন্তু সড়কের গাছগুলির গুড়ি ও শিকড় কেটে পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে।  দেখে বুঝার উপায় নেই এখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে।  ডালপালা বিহীন গাছগুলো ওই ইউনিয়নের উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞায় নির্মানধীন সড়কে পড়ে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

অভিযোগকারী আব্দুল সালাম জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গাছের ডালাপালা মেম্বার রুবেলের সহায়তায় বিক্রি করে ফেলেছে এবং এখন গাছের গুড়িগুলো মাটি দিয়ে এমনভাবে ভরাট করে ফেলেছে যাতে করে বুঝার উপায় নেই গাছ কাটা হয়েছে।

আরেক অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম মানিক বলেন, ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মেম্বারের সহায়তায় মোতালিবের কাছে বিক্রি করেছে। এসিল্যান্ড বরাবরে অভিযোগ দিলে তারা আমাকে মারধর করতে আসলে কয়েকজন তা প্রতিহত করে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আ. কাদির বলেন, ক্ষেতের সীমানায় গাছগুলো আমি রোপন করেছি। সরকার যদি গাছ চায়, জেল জরিমানা যেটা দিবে সেটা তো আমার মেনে নিতে হবে।

ওই ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল মিয়ার কাছে আপনাকে অবগত করে কয়টি গাছ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে অবগত না করে নয়টি গাছ কাটা হয়েছে।  এ ব্যাপারে অভিযোগ পড়েছে এসিল্যান্ডের কাছে। নায়েব সাহেব গাছগুলো আমার জিম্মায় রেখেছেন।  সার্ভেয়ার মাপার পর বলা যাবে গাছগুলো সরকারি নাকি ব্যক্তি মালিকানার।

এব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজনীন সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সার্ভেয়ার পরিমাপ করার পর বলা যাবে গাছের মালিকানার বিষয়টি।