কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নে শেওড়াতলী-ফেরিরচর নির্মানাধীন এলজিইডির সড়কের পাশে নয়টি ১০/১২ বছর বয়সি অপ্রাপ্ত মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ফুটিউগা চারপাড়া বাজার এলাকায় সড়কের পাশে ৯টি গাছ মো. আ. কাদির ২০ হাজার টাকায় বিক্রি এবং তা কর্তন করা হয়েছে। এ মর্মে উপজেলার এসিল্যান্ড বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা শেওড়াতলী গ্রামের মো. আব্দুস সালাম ও গোড়াউতরা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম মানিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সড়কের নির্মানাধীন সড়কের পাশে কর্তনকৃত গাছগুলো পড়ে রয়েছে। কিন্তু সড়কের গাছগুলির গুড়ি ও শিকড় কেটে পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। দেখে বুঝার উপায় নেই এখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে। ডালপালা বিহীন গাছগুলো ওই ইউনিয়নের উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞায় নির্মানধীন সড়কে পড়ে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগকারী আব্দুল সালাম জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গাছের ডালাপালা মেম্বার রুবেলের সহায়তায় বিক্রি করে ফেলেছে এবং এখন গাছের গুড়িগুলো মাটি দিয়ে এমনভাবে ভরাট করে ফেলেছে যাতে করে বুঝার উপায় নেই গাছ কাটা হয়েছে।
আরেক অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম মানিক বলেন, ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে মেম্বারের সহায়তায় মোতালিবের কাছে বিক্রি করেছে। এসিল্যান্ড বরাবরে অভিযোগ দিলে তারা আমাকে মারধর করতে আসলে কয়েকজন তা প্রতিহত করে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আ. কাদির বলেন, ক্ষেতের সীমানায় গাছগুলো আমি রোপন করেছি। সরকার যদি গাছ চায়, জেল জরিমানা যেটা দিবে সেটা তো আমার মেনে নিতে হবে।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল মিয়ার কাছে আপনাকে অবগত করে কয়টি গাছ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে অবগত না করে নয়টি গাছ কাটা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পড়েছে এসিল্যান্ডের কাছে। নায়েব সাহেব গাছগুলো আমার জিম্মায় রেখেছেন। সার্ভেয়ার মাপার পর বলা যাবে গাছগুলো সরকারি নাকি ব্যক্তি মালিকানার।
এব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজনীন সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সার্ভেয়ার পরিমাপ করার পর বলা যাবে গাছের মালিকানার বিষয়টি।