গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ২১ আগস্ট (বুধবার) ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শালিহর গণহত্যা দিবস। ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে গিয়ে এদিন শালিহর গ্রামের ১৩ জনকে ব্রাস ফায়ারে হত্যা করে। এসময় ধরে নিয়ে যায় ছাবেদ আলী নামে স্থানীয় একজনকে এবং অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িতে।
গৌরীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম জানান, ১৯৭১’র ২১ আগস্ট পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা রেলযোগে গৌরীপুরে আসে। এদিন তারা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজতে গিয়ে পশ্চিম শালিহর গ্রামে হানা দিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হাসিমের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এসময় পাক বাহিনী ধরে নিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসিমের বাবা ছাবেদ আলীকে। তিনি আজো ফিরে আসেন নি।
তিনি আরো জানান, পাক বাহিনী অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে কান্ত হয়নি এ গ্রামের ১৩ জন নিরীহ মানুষকে ধরে এনে শালিহর কদমতলা নামক স্থানে ব্রাস ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে সেখানেই তাদেরকে কবর দেয়া হয়। পাক-বাহিনীর ব্রাস ফায়ারে গণশহীদরা হলেন- এ উপজেলার ২ নং গৌরীপুর ইউনিয়নের শালিহর গ্রামের মোহিনী কর, জ্ঞানেন্দ্র মোহন কর, যোগেশ চন্দ্র পন্ডিত, নবর আলী, কিরদা সুন্দরী, শচীন্দ্র চন্দ্র দাস, তাড়িনী মোহন দাস, কৈলাশ চন্দ্র দাস, শত্রেুাগ্ন দাস, রামেন্দ্র চন্দ্র দাস, কর মোহন সরকার, দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস ও কামিনী মোহন দাস।
আব্দুর রহিম বলেন, ২০০৮ ইং সনে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মরহুম ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ) মজিবুর রহমান ফকিরের হস্তক্ষেপে উল্লেখিত বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর ২১ আগস্ট উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা, বিভিন্ন সংগঠন ও স্থানীয় লোকজন গণশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এ স্মৃতিসৌধে।
শিরোনাম :
২১ আগস্ট গৌরীপুরে শালিহর গণহত্যা দিবস
জনপ্রিয়