নেত্রকোনা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৮ ফুট চওড়ায় উন্নীত হচ্ছে ফেনী সদর থেকে শান্তিরহাট মহাসড়ক

  • আপডেট : ০৯:৫০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৪১

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সীমান্ত হাট বসে। সীমান্ত হাট বসায় ফেনী সদর থেকে ছাগলনাইয়ার শান্তিরহাট পর্যন্ত জেলা মহাসড়কটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কটির কোথাও ১০ ফুট, আবার কোথাও ১২ ফুট চওড়া। সড়কটি সরু হওয়ায় দুটো গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করতে অসুবিধা হয়। তাই সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্তে উন্নীত ও মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

‘ফেনী (মাস্টারপাড়া)-আলোকদিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া (শান্তিরহাট) জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, এটি আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস হতে যাচ্ছে।

৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সুপারিশ করে বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ফেনী জেলার সদর উপজেলার সঙ্গে ছাগলনাইয়া উপজেলার উন্নত ও সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বলছে, ফেনী (মাস্টাপাড়া)-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া (শান্তিরহাট) জেলা মহাসড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। সড়কটি পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৮ কিলোমিটারে মাস্টারপাড়া পয়েন্ট থেকে আরম্ভ হয়ে সদর উপজেলার আলোকদিয়া, ভালুকিয়া, লস্করহাট হয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলার ভূঁইয়ারহাট নামক স্থানে মিলিত হয়েছে। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ১২৩ কিলোমিটার।

সড়কটি কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট চওড়া। সড়কটি সরু হওয়ায় দুটো গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করতে অসুবিধা হয়। এ মহাসড়কের শান্তিরহাট নামক স্থান থেকে ভারতের দূরুত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। দুদেশের সীমান্ত অঞ্চল ছাগলনাইয়ায় সীমান্ত হাট বসে বিধায় মহাসড়কটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এ লক্ষ্যে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্তে উন্নীতকরণ ও মজবুতীকরণ প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্ত ও মজবুত করা, বিদ্যমান পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ করা, সার্ফেসিং, একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ তিনটি, ব্রিক মেশিনারি টো-ওয়াল, গ্রাস টার্ফিং, সসার ড্রেন নির্মাণ, রোড মার্কিং, নির্মাণের সময় রক্ষণাবেক্ষণ, ইউটিলিটি স্থানান্তর, জেনারেল অ্যান্ড সাইট ফ্যাসিলিটিস, সাইন, সিগন্যাল, কিলোমিটার পোস্ট ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।

 

সূত্র: জাগো নিউজ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

১৮ ফুট চওড়ায় উন্নীত হচ্ছে ফেনী সদর থেকে শান্তিরহাট মহাসড়ক

আপডেট : ০৯:৫০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সীমান্ত হাট বসে। সীমান্ত হাট বসায় ফেনী সদর থেকে ছাগলনাইয়ার শান্তিরহাট পর্যন্ত জেলা মহাসড়কটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সড়কটির কোথাও ১০ ফুট, আবার কোথাও ১২ ফুট চওড়া। সড়কটি সরু হওয়ায় দুটো গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করতে অসুবিধা হয়। তাই সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্তে উন্নীত ও মজবুত করার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

‘ফেনী (মাস্টারপাড়া)-আলোকদিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া (শান্তিরহাট) জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, এটি আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাস হতে যাচ্ছে।

৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সুপারিশ করে বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ফেনী জেলার সদর উপজেলার সঙ্গে ছাগলনাইয়া উপজেলার উন্নত ও সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর বলছে, ফেনী (মাস্টাপাড়া)-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া (শান্তিরহাট) জেলা মহাসড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়ক। সড়কটি পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৮ কিলোমিটারে মাস্টারপাড়া পয়েন্ট থেকে আরম্ভ হয়ে সদর উপজেলার আলোকদিয়া, ভালুকিয়া, লস্করহাট হয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলার ভূঁইয়ারহাট নামক স্থানে মিলিত হয়েছে। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ১২৩ কিলোমিটার।

সড়কটি কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট চওড়া। সড়কটি সরু হওয়ায় দুটো গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করতে অসুবিধা হয়। এ মহাসড়কের শান্তিরহাট নামক স্থান থেকে ভারতের দূরুত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার। দুদেশের সীমান্ত অঞ্চল ছাগলনাইয়ায় সীমান্ত হাট বসে বিধায় মহাসড়কটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এ লক্ষ্যে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্তে উন্নীতকরণ ও মজবুতীকরণ প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্ত ও মজবুত করা, বিদ্যমান পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ করা, সার্ফেসিং, একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ তিনটি, ব্রিক মেশিনারি টো-ওয়াল, গ্রাস টার্ফিং, সসার ড্রেন নির্মাণ, রোড মার্কিং, নির্মাণের সময় রক্ষণাবেক্ষণ, ইউটিলিটি স্থানান্তর, জেনারেল অ্যান্ড সাইট ফ্যাসিলিটিস, সাইন, সিগন্যাল, কিলোমিটার পোস্ট ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।

 

সূত্র: জাগো নিউজ।