প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেছেন, সংবিধান আমাদের একটি অত্যান্ত শক্তিশালি পবিত্র গ্রন্থ এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানে আমাদের মুক্তিুদ্ধের মুল চেতনা নিহত আছে। আমাদের দেশ কি ভাবে পরিচালিত হবে সবকিছু আছে। আমাদের অধিকারের কথা বলা আছে, কর্তব্যে কথা বলা আছে। নাগরিকের অধিকারের কথা বলা আছে। সরকারী বেসকারী কর্মকতা ও কর্মচারীরা কি দায়িত্ব পালন করবেন আমাদের জনাতে হবে। কারণ বাংলাদেশ হলো একটি প্রজাতন্ত্র। প্রজান্তন্ত্রে জনগণকে প্রধান্য দিয়েছে। জনগনের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎসব। তাই জনগনকে ক্ষমতায়ন করতে হবে।
মৌলিক অধিকার অন্ত্র, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান। সরকারী বেসরকারী কর্তৃপক্ষ জনগণকে সকল অধিকার, তথ্য প্রদান বাধ্যতা মুলক। তারা কি সেবা দিবেন তা সব জানেন। কি ধরণের সেবা, কি ধরণের প্রশিক্ষণ, কি ধরণের উন্নয়নের কর্মসুচি ও কি ধরণের কর্তব্য ও কর্মকান্ড আছে এগুলি জানা জনগণের বাধ্য বাধকতা আছে। এই তথ্য অধিকার আইন, সেটি ২০০৯ সালে প্রণীত হয়েছে। এই তথ্যের অবাধ প্রবাহ রচনা করে জনগণের তথ্যের প্রবেশাধিকার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রীমঙ্গল অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলে আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলা প্রশাসন শ্রীমঙ্গল ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), শ্রীমঙ্গল এর আয়োজনে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) সার্বিক সহযোগিতায় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর বহুল প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সচেতন নাগনিক কমিটি সনাক শ্রীমঙ্গল এর সভাপতি সৈয়দ নেসার আহমদ। সনাক সদস্য শাহ আরিফ আলী নাসিম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, পিপিএম (বার), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় হবিগঞ্জ এর উপ-পচিালক কামরুজ্জামান, টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
প্রধান তথ্য কমিশনার আরো বলেন, বাক স্বাধিনতা, এটি মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকার বাস্তবায়িত হতে হলে তথ্যের আদান প্রদান শিশ্চিত করতে হবে। তথ্যের আদান প্রদান একটি অবিচ্ছেদ অংশ। আর এ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে।
দেশে যে ভাবে সম্পদ ও দেশি-বিদেশী অর্থ যে ভাবে ব্যায়িত হচ্ছে, সেটার জন্য স্বচ্ছতার দরকার, জবাবদিহিতার দরকার। আর সবচেয়ে বড় কথা, যেটা বলা হচ্ছে। দুর্নীতির কথা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কমিশনার আরো বলেন শিক্ষার্থীরা এখন থেকে তাই মিথ্যা কে মিথ্যা, সত্যকে সত্য, সাদা কে সাদা, কালো কে কালো বলতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামন বলেছেন, বর্তমান সরকার এখন পর্যন্ত যে সমস্ত আইন তৈরী করেছে, তার সবচেষ্ট আইন হলো ২০০৯ সালে প্রণীত তথ্য অধিকার আইন। এ আইনে জনগণকে অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ করে দিয়েছে।
দিনব্যাপি মেলায় সরকারি-বেসরকারি সেবাদানকারী ২৮ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও তথ্যমেলা উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা, দুর্নীতিবিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, তথ্য ভান্ডার উপস্থাপন, আরটিআই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং সর্ব শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।