নেত্রকোনা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদী পৌর বাজারে গণশৌচাগার না থাকায় ভোগান্তিত চরমে

  • আপডেট : ০১:৪১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২২২

আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) সংবাদদাতা:

শ্রীবরদী পৌর বাজারে গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে। বাধ্য হয়ে অনেকে সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করে। এতে নষ্ট হচ্ছে পৌর এলাকার পরিবেশ। এ অবস্থায় শহরে আসা লোকজনকে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রায়ই চোখে পড়ে দেয়ালে, ভবনের চিপায় বা ফুটপাথের উপরে মূত্র ত্যাগ করতে। কোথাও কোথাও আবার ফুটপাতের ওপরই মলত্যাগ করে যায়। ফলে, ওইসব জায়গা দিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সাধারণ মানুষ চলাচলের সময় চরম বিপত্তিতে পড়ে। দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটতে হয় তাদের।

প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফুটপাথের উপর বা রা¯তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করছে তারা কি ইচ্ছাকৃতভাবে করছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলছেন, নিতান্ত বাধ্য হয়েই রাস্তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই বলে দাবি তাদের। নারীদের এ ধরনের নাগরিক বিড়ম্বনা নিয়ে যথারীতি উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

শ্রীবরদী পৌর বাজারে মোট জনসংখ্যা দুই হাজার বসবাসরত এবং জরুরি প্রয়োজনে শহরে আসা মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন চার হাজার মানুষের সমাগত হলেও এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এই জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ প্রতিদিন মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হলে তাদের অনেককেই পড়তে হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণায়। পুরুষরা কোনোমতো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারলেও নারীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

বাসা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়ে আবার ফিরে না আসা পর্যšত প্রস্রাব-পায়খানা চেপে রাখতে হয় নারীদের।
এ অবস্থায় শহরে নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব, আধুনিক, মানসম্মত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। শহরে ফুটপাতে অবস্থানকারী, ভাসমান মানুষ, ফকির, পাগল, ভবঘুরে, কুলি-মজুর, রিক্সাচালকদের অনেকেই রাতের আঁধারে খোলা স্থানে এ কাজটি করছে। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই পৌর বাজারে আপাতত দুইটি গণশৌচাগার নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

কাঁচা বাজার বহুমূখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাজারে প্রায় ছোট বড় মিলে চার-পাঁচ শত দোকান আছে। এখানে প্রতিদিন স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ বাজার করতে আসে। টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত মানুষ বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছে।

শ্রীবরদীর পৌর মেয়র আবু সাঈদ বলেন, পাবলিক টয়লেট অবশ্যই প্রয়োজন। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাবলিক টয়লেটের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই দ্রæত সময়ের মধ্যে অন্তত দুটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

শ্রীবরদী পৌর বাজারে গণশৌচাগার না থাকায় ভোগান্তিত চরমে

আপডেট : ০১:৪১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) সংবাদদাতা:

শ্রীবরদী পৌর বাজারে গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে। বাধ্য হয়ে অনেকে সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করে। এতে নষ্ট হচ্ছে পৌর এলাকার পরিবেশ। এ অবস্থায় শহরে আসা লোকজনকে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রায়ই চোখে পড়ে দেয়ালে, ভবনের চিপায় বা ফুটপাথের উপরে মূত্র ত্যাগ করতে। কোথাও কোথাও আবার ফুটপাতের ওপরই মলত্যাগ করে যায়। ফলে, ওইসব জায়গা দিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সাধারণ মানুষ চলাচলের সময় চরম বিপত্তিতে পড়ে। দুর্গন্ধে নাক চেপে হাঁটতে হয় তাদের।

প্রশ্ন হচ্ছে, যারা ফুটপাথের উপর বা রা¯তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করছে তারা কি ইচ্ছাকৃতভাবে করছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলছেন, নিতান্ত বাধ্য হয়েই রাস্তার পাশে মল-মূত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই বলে দাবি তাদের। নারীদের এ ধরনের নাগরিক বিড়ম্বনা নিয়ে যথারীতি উদাসীন কর্তৃপক্ষ।

শ্রীবরদী পৌর বাজারে মোট জনসংখ্যা দুই হাজার বসবাসরত এবং জরুরি প্রয়োজনে শহরে আসা মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন চার হাজার মানুষের সমাগত হলেও এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এই জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ প্রতিদিন মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হলে তাদের অনেককেই পড়তে হচ্ছে তীব্র যন্ত্রণায়। পুরুষরা কোনোমতো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারলেও নারীদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

বাসা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়ে আবার ফিরে না আসা পর্যšত প্রস্রাব-পায়খানা চেপে রাখতে হয় নারীদের।
এ অবস্থায় শহরে নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব, আধুনিক, মানসম্মত পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। শহরে ফুটপাতে অবস্থানকারী, ভাসমান মানুষ, ফকির, পাগল, ভবঘুরে, কুলি-মজুর, রিক্সাচালকদের অনেকেই রাতের আঁধারে খোলা স্থানে এ কাজটি করছে। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই পৌর বাজারে আপাতত দুইটি গণশৌচাগার নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

কাঁচা বাজার বহুমূখী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাজারে প্রায় ছোট বড় মিলে চার-পাঁচ শত দোকান আছে। এখানে প্রতিদিন স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ বাজার করতে আসে। টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়ত মানুষ বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছে।

শ্রীবরদীর পৌর মেয়র আবু সাঈদ বলেন, পাবলিক টয়লেট অবশ্যই প্রয়োজন। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাবলিক টয়লেটের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই দ্রæত সময়ের মধ্যে অন্তত দুটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।