নেত্রকোনা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদীর দু’ইউনিয়ন ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা

  • আপডেট : ০৮:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩২৩

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

ভিক্ষুকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পূণর্বাসনের লক্ষে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ও ভেলুয়া ইউনিয়ন ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৯জন ভিক্ষুককে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দু’ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চান।

এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করার লক্ষে সমাজের পিছিয়ে পড়াদের জন্যে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভিক্ষুক পূণর্বাসন কর্মসূচীর অংশ হিসেব্ েআজ ভিক্ষুকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান প্রদান করা হচ্ছ্।ে তিনি আরো বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি নিকৃষ্টতম কাজ। আজ থেকে আপনারা কেউ ভিক্ষে করবেন না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভেলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিঞা মো: মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী লাল, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দিন ছালেম, আলহাজ্ব মো: আমিরুল ইসলাম, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শেখ শফিউল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন ও ভেলুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরজু প্রমূখ।

পরে খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নে ৩১জন ও ভেলুয়া ইউনিয়নে ২৮জন ভিক্ষুককে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার টাকা করে ঋণ সহায়তা, ৬ জনকে ওজন মাপার যন্ত্র , প্রত্যেকের মাঝে শাড়ী ও লুঙ্গি প্রদান করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

শ্রীবরদীর দু’ইউনিয়ন ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা

আপডেট : ০৮:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৯

মো. আব্দুল বাতেন, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:

ভিক্ষুকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে পূণর্বাসনের লক্ষে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ও ভেলুয়া ইউনিয়ন ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৯জন ভিক্ষুককে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দু’ইউনিয়নকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করে বক্তব্য রাখেন শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চান।

এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত করার লক্ষে সমাজের পিছিয়ে পড়াদের জন্যে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভিক্ষুক পূণর্বাসন কর্মসূচীর অংশ হিসেব্ েআজ ভিক্ষুকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও অনুদান প্রদান করা হচ্ছ্।ে তিনি আরো বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি নিকৃষ্টতম কাজ। আজ থেকে আপনারা কেউ ভিক্ষে করবেন না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভেলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিঞা মো: মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী লাল, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দিন ছালেম, আলহাজ্ব মো: আমিরুল ইসলাম, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শেখ শফিউল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন ও ভেলুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান আরজু প্রমূখ।

পরে খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নে ৩১জন ও ভেলুয়া ইউনিয়নে ২৮জন ভিক্ষুককে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার টাকা করে ঋণ সহায়তা, ৬ জনকে ওজন মাপার যন্ত্র , প্রত্যেকের মাঝে শাড়ী ও লুঙ্গি প্রদান করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।