নেত্রকোনা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে রসমালাই খেতে না পেয়ে আত্মহত্যা করল মায়া

  • আপডেট : ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ৩৩৯

সামসুল হক জুৃয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ মায়ার জন্মের একদিন না পেরুতেই বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে উভয়ে অন্যত্র বিবাহ করে।

তবে মায়ের সাথে নানার বাড়ীতেই থাকত মায়া(১০)। হতদরিদ্র মা কাজ করেন গার্মেন্টসে। মায়া রসমালাই খাওয়ার আবদার করে মায়ের কাছে।

সামনের বেতন পেয়ে রসমালাই কিনে দিবে বলে জানিয়েছিল মা। সকালে ঘরের পান্তা ভাত খেয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে মা চলে যায় কারখানায়।

সে রসমালাই খাওয়ার ইচ্ছেই কাল হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া মায়ার। রসমালাই খেতে না পেয়ে আম গাছে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মায়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির মেয়ে। সে ধনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মেনহাজ উদ্দিন জানান, স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নিহত মায়ার মা হালিমা খাতুন মায়াকে নিয়ে বাপের ভিটায় শৈলাট মেডিকেল মোড় এলাকায় থেকে জৈনা এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করতো। তবে এখানেও তিনি নতুন সংসার শুরু করেন।

গত কয়েকদিন ধরেই মায়া রসমালাই খাবে বলে মায়ের কাছে বায়না ধরে। এ নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে শিশু মায়া গত দুদিন ধরে কিছু খেতে চায়নি বলে জানা যায়। শনিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি আম গাছে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মায়া।

পরে স্থানীয়রা তার লাশ ঝুলতে দেখে আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করা হয়।

তবে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বাবা-মাকে হাজির করে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য এবং নিহত মায়ার বাবা-মার কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

শ্রীপুরে রসমালাই খেতে না পেয়ে আত্মহত্যা করল মায়া

আপডেট : ০৪:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সামসুল হক জুৃয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ মায়ার জন্মের একদিন না পেরুতেই বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে উভয়ে অন্যত্র বিবাহ করে।

তবে মায়ের সাথে নানার বাড়ীতেই থাকত মায়া(১০)। হতদরিদ্র মা কাজ করেন গার্মেন্টসে। মায়া রসমালাই খাওয়ার আবদার করে মায়ের কাছে।

সামনের বেতন পেয়ে রসমালাই কিনে দিবে বলে জানিয়েছিল মা। সকালে ঘরের পান্তা ভাত খেয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে মা চলে যায় কারখানায়।

সে রসমালাই খাওয়ার ইচ্ছেই কাল হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া মায়ার। রসমালাই খেতে না পেয়ে আম গাছে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মায়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির মেয়ে। সে ধনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মেনহাজ উদ্দিন জানান, স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নিহত মায়ার মা হালিমা খাতুন মায়াকে নিয়ে বাপের ভিটায় শৈলাট মেডিকেল মোড় এলাকায় থেকে জৈনা এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করতো। তবে এখানেও তিনি নতুন সংসার শুরু করেন।

গত কয়েকদিন ধরেই মায়া রসমালাই খাবে বলে মায়ের কাছে বায়না ধরে। এ নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে শিশু মায়া গত দুদিন ধরে কিছু খেতে চায়নি বলে জানা যায়। শনিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি আম গাছে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মায়া।

পরে স্থানীয়রা তার লাশ ঝুলতে দেখে আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করা হয়।

তবে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বাবা-মাকে হাজির করে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য এবং নিহত মায়ার বাবা-মার কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।