সামসুল হক জুৃয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ মায়ার জন্মের একদিন না পেরুতেই বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে উভয়ে অন্যত্র বিবাহ করে।
তবে মায়ের সাথে নানার বাড়ীতেই থাকত মায়া(১০)। হতদরিদ্র মা কাজ করেন গার্মেন্টসে। মায়া রসমালাই খাওয়ার আবদার করে মায়ের কাছে।
সামনের বেতন পেয়ে রসমালাই কিনে দিবে বলে জানিয়েছিল মা। সকালে ঘরের পান্তা ভাত খেয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে মা চলে যায় কারখানায়।
সে রসমালাই খাওয়ার ইচ্ছেই কাল হলো গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া মায়ার। রসমালাই খেতে না পেয়ে আম গাছে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় পুলিশ।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মায়া উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির মেয়ে। সে ধনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মেনহাজ উদ্দিন জানান, স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নিহত মায়ার মা হালিমা খাতুন মায়াকে নিয়ে বাপের ভিটায় শৈলাট মেডিকেল মোড় এলাকায় থেকে জৈনা এলাকার একটি কারখানায় চাকরি করতো। তবে এখানেও তিনি নতুন সংসার শুরু করেন।
গত কয়েকদিন ধরেই মায়া রসমালাই খাবে বলে মায়ের কাছে বায়না ধরে। এ নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে শিশু মায়া গত দুদিন ধরে কিছু খেতে চায়নি বলে জানা যায়। শনিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি আম গাছে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মায়া।
পরে স্থানীয়রা তার লাশ ঝুলতে দেখে আমাদের খবর দিলে ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
তবে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বাবা-মাকে হাজির করে তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান, ঘটনাটি সত্য এবং নিহত মায়ার বাবা-মার কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।