নেত্রকোনা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে “মা” ফাতেমা রানীর ২৪তম তীর্থ যাত্রা উৎসব ২৭ ও ২৮ অক্টোবর শুরু

  • আপডেট : ১২:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

তপু সরকার হারুনঃ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোল ঘেঁষে গারো পাহাড়ের শোভামণ্ডিত শেরপুরের নালিতাবাড়ী। এই উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারি গ্রামে পাহাড়ের ঢলে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ফাতেমা রানী তীর্থোৎসব ।,

ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের বাংলাদেশের বৃহত্তম তীর্থকেন্দ্র শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দুই দিনব্যাপী ”মা” ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর । খ্রীষ্টভক্তদের এ তীর্থোৎসবকে ঘিরে পাহাড়ি জনপদে চারদিকে চলছে পরিস্কার পরিছন্ন এবং নানা আয়োজন আর ব্যস্ততায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।,

ফাতেমা রানীর তীর্থ্ স্থানের ইতিহাস, ১৯১৭ খ্রিষ্টাদে মে মাস । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী দারুন উদ্বিগ্ন । সকলের মুখে একটিই প্রশ্ন কখন যুদ্ধ শেষ হবে ? এরুপ দূর্যোগপূর্ণ্ পরিস্থিতে পোপ পঞ্চাদশ বেনেডিক্ট গোটা বিশ্বের ছেলে মেয়েদের প্রতি আহ্ বান জানালেন” তোমরা ফাতেমা রানীর তীর্থ্ স্থানের ইতিহাস, ১৯১৭ খ্রিষ্টাদে মে মাস । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী দারুন উদ্বিগ্ন । সকলের মুখে একটিই প্রশ্ন কখন যুদ্ধ শেষ হবে ? এরুপ দূর্যোগপূর্ণ্ পরিস্থিতে পোপ পঞ্চাদশ বেনেডিক্ট গোটা বিশ্বের ছেলে মেয়েদের প্রতি আহ্ বান জানালেন” তোমরা সবাই শান্তির জন্য প্রাথর্না করো । সে বছর মে মাসের ১৩ তারিখে পূর্তুগাল দেশের লিসবন শহরের কাছে কবা দ্য আইরিয়া ফাতেমা নিকটবর্তি স্থানে লুশি (১১), ফ্রান্সিস (৯) ও তার ছোট বোন জসিন্তা যার বয়স মাত্র (৭) বছর একটি মাঠে ভেরা চলছিল ।,

সে দিন ঠিক দুপুর বেলা তারা যখন অন্যান্য দিনের মত রোজারী মালা প্রার্থ্ না শেষ করছে মাত্র । এমন সময় এক আশ্চার্য্ ঘটনা দেখলো । সূর্যের আলোর চাইতেও এক উজ্জল আলো বিদৎুতের ঝিলিক তারা আকাশে দেখতে পেলো ও “মা” মারিয়া তাদের কাছে দেখা দেন । পাপীদের মন পরি বতর্ন্ ও বিশ্ব শান্তির জন্য রোজারীমালা প্রার্থ্ না করার জন্য আহাবান করেন । ১৩ অক্টোবর ১৯১৭ খ্রিষ্টাদে প্রায় ৭০ হাজার কবা দ্য আইরিয়াতে সূর্যের আশ্চার্য্ কাজ দেখার জন্য সমবেত হন । এভাবে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হতে থাকে চারদিকে ।,

ঐতিহাসিক শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারোমারী ২০০০ সালের জুবলী বর্ষ্ পালনের প্রস্তুতি স্বরুপ ১৯৯৭ সালের মাঝামাঝি সময় কাল ধর্ম্ প্রদেশীয় পালকীয় পরিকল্পনা সাধারন সভায় প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গমেজ এর নেতৃত্বে বারমারী ধর্ম্ পল্লীতে ফাতেমা রানীর তীর্থ্ স্থান হিসেবে ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় । এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাদে জুবলী বর্ষের প্রস্তুতি স্বরুপ অক্টোবরের ২৯ তারিখ প্রথমবার তীর্থ্ যাত্রা শেরপুরের নালিতাবাড়ী পোরাগাওঁ ইউনিয়নের বারোমারী মিশনে আরম্ভ হয় । ময়মনসিংহ ধর্ম্ প্রদেশের বিশ্বাসী ভক্তজনগন ব্রতধারী- ব্রত ধারিনী ও যাজকগন অতি উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উক্ত তীর্থ্ যাত্রায় অংশগ্রহন করেন । ঐশ,কৃপা , আর্শীবাদ ও অনুগ্রহে প্রতি বছর জনগনের অংশগ্রহনে উওোরোওর বৃদ্ধি পেয়ে চলছে ।,

এরই ধারাবাহিকতায় তীর্থস্থানে মা-মারিয়ার ৪৫ ফুট উঁচু নতুন মূর্তির ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি
বারোমারী ধর্মপল্লী মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক ও সকল ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজক কমিটি এবং তীর্থোৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে বারোমারী ধর্মপল্লীর বর্ত্ মান পাল পুরোহিত ফাদার তরুন বনোয়ারী বলেন, প্রতিবছর পৃথক মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে এবারও তীর্থোৎসবের মূলসুর ঠিক করা হয়েছে- ‘শান্তি, মিলন ও ভালবাসার উৎস ফাতেমা রাণী মা-মারীয়া’।,

তিনি আরো বলেন, দিন দিন এই তীর্থ স্থানে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ বছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার খ্রীষ্টভক্ত তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবার প্রায় ১০-১২টি দেশ থেকে তীর্থযাত্রীরা আসার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা প্রদানে র্যা বের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়েজিত থাকবেন।,

তীর্থ উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭,২৮ অক্টোবর বিকেল তিনটায় পাপ স্বীকার এবং খ্রীষ্টযুগের (বিশেষ প্রার্থনা) মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুই দিনব্যাপী ”মা”ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। ২৮ অক্টোবর সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ ও মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্যদিয়ে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে।,

তীর্থোৎসব উদযাপন কমিটির লোকদের সাথে বলে জানাযায় দেশের ধর্মপ্রদেশের খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীগণ ‘মা মারিয়ার’ প্রতি অশেষ ভক্তি ওশ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য ১৯৯৭ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে ‘ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান স্থাপন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।,

নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী পোরা গাওঁ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি,বন্ধনা চাম্বুগং বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের পরপরই বারোমারী ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের দুই দিনব্যাপী তীর্থোৎসব। এ তীর্থোৎসবে অনেক বিদেশিরাও আসবেন। এ জন্য পুরো এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব, বিজিবি, দমকল বাহিনী, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, সাদা পোষাকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়েজিত থাকেন।,

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

শেরপুরে “মা” ফাতেমা রানীর ২৪তম তীর্থ যাত্রা উৎসব ২৭ ও ২৮ অক্টোবর শুরু

আপডেট : ১২:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

তপু সরকার হারুনঃ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কোল ঘেঁষে গারো পাহাড়ের শোভামণ্ডিত শেরপুরের নালিতাবাড়ী। এই উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারি গ্রামে পাহাড়ের ঢলে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ক্যাথলিক খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ফাতেমা রানী তীর্থোৎসব ।,

ক্যাথলিক খ্রীষ্টানদের বাংলাদেশের বৃহত্তম তীর্থকেন্দ্র শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দুই দিনব্যাপী ”মা” ‘ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর । খ্রীষ্টভক্তদের এ তীর্থোৎসবকে ঘিরে পাহাড়ি জনপদে চারদিকে চলছে পরিস্কার পরিছন্ন এবং নানা আয়োজন আর ব্যস্ততায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।,

ফাতেমা রানীর তীর্থ্ স্থানের ইতিহাস, ১৯১৭ খ্রিষ্টাদে মে মাস । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী দারুন উদ্বিগ্ন । সকলের মুখে একটিই প্রশ্ন কখন যুদ্ধ শেষ হবে ? এরুপ দূর্যোগপূর্ণ্ পরিস্থিতে পোপ পঞ্চাদশ বেনেডিক্ট গোটা বিশ্বের ছেলে মেয়েদের প্রতি আহ্ বান জানালেন” তোমরা ফাতেমা রানীর তীর্থ্ স্থানের ইতিহাস, ১৯১৭ খ্রিষ্টাদে মে মাস । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী দারুন উদ্বিগ্ন । সকলের মুখে একটিই প্রশ্ন কখন যুদ্ধ শেষ হবে ? এরুপ দূর্যোগপূর্ণ্ পরিস্থিতে পোপ পঞ্চাদশ বেনেডিক্ট গোটা বিশ্বের ছেলে মেয়েদের প্রতি আহ্ বান জানালেন” তোমরা সবাই শান্তির জন্য প্রাথর্না করো । সে বছর মে মাসের ১৩ তারিখে পূর্তুগাল দেশের লিসবন শহরের কাছে কবা দ্য আইরিয়া ফাতেমা নিকটবর্তি স্থানে লুশি (১১), ফ্রান্সিস (৯) ও তার ছোট বোন জসিন্তা যার বয়স মাত্র (৭) বছর একটি মাঠে ভেরা চলছিল ।,

সে দিন ঠিক দুপুর বেলা তারা যখন অন্যান্য দিনের মত রোজারী মালা প্রার্থ্ না শেষ করছে মাত্র । এমন সময় এক আশ্চার্য্ ঘটনা দেখলো । সূর্যের আলোর চাইতেও এক উজ্জল আলো বিদৎুতের ঝিলিক তারা আকাশে দেখতে পেলো ও “মা” মারিয়া তাদের কাছে দেখা দেন । পাপীদের মন পরি বতর্ন্ ও বিশ্ব শান্তির জন্য রোজারীমালা প্রার্থ্ না করার জন্য আহাবান করেন । ১৩ অক্টোবর ১৯১৭ খ্রিষ্টাদে প্রায় ৭০ হাজার কবা দ্য আইরিয়াতে সূর্যের আশ্চার্য্ কাজ দেখার জন্য সমবেত হন । এভাবে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হতে থাকে চারদিকে ।,

ঐতিহাসিক শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারোমারী ২০০০ সালের জুবলী বর্ষ্ পালনের প্রস্তুতি স্বরুপ ১৯৯৭ সালের মাঝামাঝি সময় কাল ধর্ম্ প্রদেশীয় পালকীয় পরিকল্পনা সাধারন সভায় প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গমেজ এর নেতৃত্বে বারমারী ধর্ম্ পল্লীতে ফাতেমা রানীর তীর্থ্ স্থান হিসেবে ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয় । এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাদে জুবলী বর্ষের প্রস্তুতি স্বরুপ অক্টোবরের ২৯ তারিখ প্রথমবার তীর্থ্ যাত্রা শেরপুরের নালিতাবাড়ী পোরাগাওঁ ইউনিয়নের বারোমারী মিশনে আরম্ভ হয় । ময়মনসিংহ ধর্ম্ প্রদেশের বিশ্বাসী ভক্তজনগন ব্রতধারী- ব্রত ধারিনী ও যাজকগন অতি উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উক্ত তীর্থ্ যাত্রায় অংশগ্রহন করেন । ঐশ,কৃপা , আর্শীবাদ ও অনুগ্রহে প্রতি বছর জনগনের অংশগ্রহনে উওোরোওর বৃদ্ধি পেয়ে চলছে ।,

এরই ধারাবাহিকতায় তীর্থস্থানে মা-মারিয়ার ৪৫ ফুট উঁচু নতুন মূর্তির ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি
বারোমারী ধর্মপল্লী মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক ও সকল ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজক কমিটি এবং তীর্থোৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে বারোমারী ধর্মপল্লীর বর্ত্ মান পাল পুরোহিত ফাদার তরুন বনোয়ারী বলেন, প্রতিবছর পৃথক মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে এবারও তীর্থোৎসবের মূলসুর ঠিক করা হয়েছে- ‘শান্তি, মিলন ও ভালবাসার উৎস ফাতেমা রাণী মা-মারীয়া’।,

তিনি আরো বলেন, দিন দিন এই তীর্থ স্থানে তীর্থযাত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ বছর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার খ্রীষ্টভক্ত তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবার প্রায় ১০-১২টি দেশ থেকে তীর্থযাত্রীরা আসার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা প্রদানে র্যা বের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়েজিত থাকবেন।,

তীর্থ উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭,২৮ অক্টোবর বিকেল তিনটায় পাপ স্বীকার এবং খ্রীষ্টযুগের (বিশেষ প্রার্থনা) মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুই দিনব্যাপী ”মা”ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। ২৮ অক্টোবর সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ ও মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্যদিয়ে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে।,

তীর্থোৎসব উদযাপন কমিটির লোকদের সাথে বলে জানাযায় দেশের ধর্মপ্রদেশের খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীগণ ‘মা মারিয়ার’ প্রতি অশেষ ভক্তি ওশ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য ১৯৯৭ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে ‘ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান স্থাপন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।,

নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী পোরা গাওঁ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি,বন্ধনা চাম্বুগং বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবের পরপরই বারোমারী ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের দুই দিনব্যাপী তীর্থোৎসব। এ তীর্থোৎসবে অনেক বিদেশিরাও আসবেন। এ জন্য পুরো এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব, বিজিবি, দমকল বাহিনী, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, সাদা পোষাকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়েজিত থাকেন।,