নেত্রকোনা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতার চাঁদাবাজির সত্যতা রয়েছে; দাবি ভাসমান দোকানদারদের

  • আপডেট : ০২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০
  • ১৬৯

রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটিতে গত ১৩ই জানুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব খাঁন শিবলু’র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার আওতাধীন ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন কে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

প্রতিবাদে সদ্য স্থায়ী বহিষ্কৃত হওয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন, অন্যায় এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে দাবি করে আব্দুল ওয়াহাব খান শিবলুর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করে। সংবাদ সম্মেলনে নাসির বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ‘যুবলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা ২২এর ক নম্বর ধারা অনুযায়ী বহিস্কারে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মানা হয়নি। তাছাড়া সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক আমাকে কোন ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমাকে বহিস্কারাদেশ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব খান কোন ধরণের সাংগঠনিক সভা না করে ও রেজুলেশ না করে এবং সভাপতি আবুল খায়ের রাফি‘র স্বাক্ষর ব্যাতীত একক সিদ্ধান্তে বহিস্কার করে। তিনি জেলা যুবলীগকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত করার অনুরোধ জানান।

সদ্য স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া যুবলীগ নেতা নাসিরকে বহিস্কারাদেশ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব খান প্রতিবেদককে জানান, যুবলীগ নেতা নাসিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে চাঁদাবাজির কারণে। তার বিরুদ্ধে বনরূপা এলাকায় বন বিভাগ সড়কে (ফরেষ্ট কলোনী কবরস্থানের সামনে) ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান হইতে জেলা যুবলীগের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবজির অভিযোগ দিয়েছে ফুটপাতের বিভিন্ন ভাসমান দোকানদারা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের রাফি‘র ও সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব খানসহ সংগঠনের ২০ থেকে ৩০জন নেতার উপস্থিতিতে বিভিন্ন দোকানদারে অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের রাফি শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে আহবায়ক ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। পরবর্তীতে আমরা তদন্ত করি বেশ কয়েক মাস যাবত। তদন্ত করে আমরা নাসিরের চাঁদাবাজির প্রমাণ পাই।

তিনি জানান, আমাদের পক্ষথেকে নাসিরকে কারণ দর্শানোর নটিশ দেওয়া হয়। নটিশের জবাব না পাওয়ায়, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সভা ও রেজুলেশ করে এবং সভাপতি আবুল খায়ের রাফি‘র নির্দেশক্রমে নাসিরকে বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগ নেতা নাসিরকে শাখা কমিটি কারণ দর্শানোর নটিশ দেয়নি তার এমন বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে সরেজমিনে ভাসমান দোকানদার মোঃ আমির উদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, আমি বনরূপা মসজিদের সামনের ফুটপাতে জুতার ক্ষুদ্র ব্যবসা করি। আমি আগে বনরূপা এলাকায় বন বিভাগ সড়কে (ফরেষ্ট কলোনী কবরস্থানের সামনে) ফুটপাতে জুতার ব্যবসা করতাম। সেখানে যুবলীগ নেতা নাসিরের কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। কারণ দোকান খোলার সময় নাসির আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ৭ হাজার টাকা তাকে প্রদান করি। কিন্তু বাকি ৩ হাজার টাকা বিভিন্ন সমস্যার কারণে দিতে পারিনি। তাই নাসির আমার নির্মাণধীন দোকান ভেঙ্গে দেয় এবং লুটপাট করে। পরে আমি আর ঐখানে ব্যবসা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে আমি শহর যুবলীগসহ বিভিন্ন নেতার বরারবর অভিযোগ করি।

আরেক কলা ব্যবসায়ী মোঃ রমজান আলী জানান, আমি যখন ফুটপাতে দোকান করি তখন আমার কাছ থেকে যুবলীগ নেতা ৫হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে দোকান করতে দিবে না বলে হুশিয়ারী দেন। তাই আমি বাধ্য হয়ে ৫হাজার টাকা নাসিরকে দেই। এছাড়াও প্রতিদিন ৩০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়েছে বলেও দাবি করে এই কলা বিক্রেতা।

আরেক ভাসমান দোকানদার মোঃ শাহেদ জানান, আমি দোকান করার সময় আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে যুবলীগ নেতা নাসির। টাকা না দিলে দোকান করতে দিবে না। তাই আমি তার চাপের মুখে ১০ হাজার টাকা দেই।

আরেক চায়ের দোকানদার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, আমার নাসির কিংবা কাউকে টাকা কোন দিতে হয়নি। কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে প্রতিদিন ৩০ টাকা করে দিতে হতো। কারেন্ট বিল ও নাইট গার্ড বাবদ। বর্তমানে কেউ কোন চাঁদা দাবি করে না বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত: রাঙামাটিতে গত ১৩ই জানুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব খাঁন শিবলু’র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার আওতাধীন ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন কে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মোঃ নাসির উদ্দিন আওয়ী-যুবলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়ম শৃঙ্খলা বর্হিভূত কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বনরূপা এলাকায় বন বিভাগ সড়কে (ফরেষ্ট কলোনী কবরস্থানের সামনে) ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান হইতে জেলা যুবলীগের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছেন। যাহা পৌর যুবলীগ’র একাধিক তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তাই নাসির উদ্দিনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভাবর্মূর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। ভবিষ্যতে মোঃ নাসির উদ্দিনের কোন অপকর্মের দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখা বহন করবে না বলেও জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতার চাঁদাবাজির সত্যতা রয়েছে; দাবি ভাসমান দোকানদারদের

আপডেট : ০২:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০

রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটিতে গত ১৩ই জানুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব খাঁন শিবলু’র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার আওতাধীন ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন কে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

প্রতিবাদে সদ্য স্থায়ী বহিষ্কৃত হওয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন, অন্যায় এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে দাবি করে আব্দুল ওয়াহাব খান শিবলুর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করে। সংবাদ সম্মেলনে নাসির বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ‘যুবলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা ২২এর ক নম্বর ধারা অনুযায়ী বহিস্কারে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মানা হয়নি। তাছাড়া সংগঠনের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক আমাকে কোন ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আমাকে বহিস্কারাদেশ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব খান কোন ধরণের সাংগঠনিক সভা না করে ও রেজুলেশ না করে এবং সভাপতি আবুল খায়ের রাফি‘র স্বাক্ষর ব্যাতীত একক সিদ্ধান্তে বহিস্কার করে। তিনি জেলা যুবলীগকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় তদন্ত করার অনুরোধ জানান।

সদ্য স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া যুবলীগ নেতা নাসিরকে বহিস্কারাদেশ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব খান প্রতিবেদককে জানান, যুবলীগ নেতা নাসিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে চাঁদাবাজির কারণে। তার বিরুদ্ধে বনরূপা এলাকায় বন বিভাগ সড়কে (ফরেষ্ট কলোনী কবরস্থানের সামনে) ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান হইতে জেলা যুবলীগের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবজির অভিযোগ দিয়েছে ফুটপাতের বিভিন্ন ভাসমান দোকানদারা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পৌর যুবলীগের সভাপতি আবুল খায়ের রাফি‘র ও সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব খানসহ সংগঠনের ২০ থেকে ৩০জন নেতার উপস্থিতিতে বিভিন্ন দোকানদারে অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের রাফি শাখা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে আহবায়ক ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়। পরবর্তীতে আমরা তদন্ত করি বেশ কয়েক মাস যাবত। তদন্ত করে আমরা নাসিরের চাঁদাবাজির প্রমাণ পাই।

তিনি জানান, আমাদের পক্ষথেকে নাসিরকে কারণ দর্শানোর নটিশ দেওয়া হয়। নটিশের জবাব না পাওয়ায়, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সভা ও রেজুলেশ করে এবং সভাপতি আবুল খায়ের রাফি‘র নির্দেশক্রমে নাসিরকে বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগ নেতা নাসিরকে শাখা কমিটি কারণ দর্শানোর নটিশ দেয়নি তার এমন বক্তব্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে সরেজমিনে ভাসমান দোকানদার মোঃ আমির উদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, আমি বনরূপা মসজিদের সামনের ফুটপাতে জুতার ক্ষুদ্র ব্যবসা করি। আমি আগে বনরূপা এলাকায় বন বিভাগ সড়কে (ফরেষ্ট কলোনী কবরস্থানের সামনে) ফুটপাতে জুতার ব্যবসা করতাম। সেখানে যুবলীগ নেতা নাসিরের কারণে ব্যবসা করতে পারিনি। কারণ দোকান খোলার সময় নাসির আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ৭ হাজার টাকা তাকে প্রদান করি। কিন্তু বাকি ৩ হাজার টাকা বিভিন্ন সমস্যার কারণে দিতে পারিনি। তাই নাসির আমার নির্মাণধীন দোকান ভেঙ্গে দেয় এবং লুটপাট করে। পরে আমি আর ঐখানে ব্যবসা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে আমি শহর যুবলীগসহ বিভিন্ন নেতার বরারবর অভিযোগ করি।

আরেক কলা ব্যবসায়ী মোঃ রমজান আলী জানান, আমি যখন ফুটপাতে দোকান করি তখন আমার কাছ থেকে যুবলীগ নেতা ৫হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে দোকান করতে দিবে না বলে হুশিয়ারী দেন। তাই আমি বাধ্য হয়ে ৫হাজার টাকা নাসিরকে দেই। এছাড়াও প্রতিদিন ৩০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়েছে বলেও দাবি করে এই কলা বিক্রেতা।

আরেক ভাসমান দোকানদার মোঃ শাহেদ জানান, আমি দোকান করার সময় আমার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে যুবলীগ নেতা নাসির। টাকা না দিলে দোকান করতে দিবে না। তাই আমি তার চাপের মুখে ১০ হাজার টাকা দেই।

আরেক চায়ের দোকানদার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, আমার নাসির কিংবা কাউকে টাকা কোন দিতে হয়নি। কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে প্রতিদিন ৩০ টাকা করে দিতে হতো। কারেন্ট বিল ও নাইট গার্ড বাবদ। বর্তমানে কেউ কোন চাঁদা দাবি করে না বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত: রাঙামাটিতে গত ১৩ই জানুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব খাঁন শিবলু’র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁদাবাজি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখার আওতাধীন ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন কে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মোঃ নাসির উদ্দিন আওয়ী-যুবলীগের গঠনতন্ত্রের নিয়ম শৃঙ্খলা বর্হিভূত কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বনরূপা এলাকায় বন বিভাগ সড়কে (ফরেষ্ট কলোনী কবরস্থানের সামনে) ফুটপাতের বিভিন্ন দোকান হইতে জেলা যুবলীগের বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি করে আসছেন। যাহা পৌর যুবলীগ’র একাধিক তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। তাই নাসির উদ্দিনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের ভাবর্মূর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো। ভবিষ্যতে মোঃ নাসির উদ্দিনের কোন অপকর্মের দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ, রাঙামাটি পৌর শাখা বহন করবে না বলেও জানানো হয়।