নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিয়ের ১০ দিন পরই শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধু হীরামনির লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। পাড়া প্রতিবেশী কনের বাড়িতে খবর দিলে তারা লাশ নিয়ে নেত্রকোনা মর্গে প্রহর গুনছে। স্বজনদের অভিযোগ বিয়ে বাড়িতে কিছু দেনা পাওনা নিয়ে কথাকাটি হয়েছিলো। এরই জেরে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মানসিরি পূর্বপাড়া গ্রামের কাজিম উদ্দিনের মেয়ে হীরামনি। গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘটা করে পাড়া পড়শি দাওয়াত করে মেয়েকে বিয়ে দেন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল আওয়ালের কাছে। কিন্তু বিয়ের ১০ দিনের মাথায় মেয়ের লাশ পৌঁছল তাদের কাছে। স্বজনরা রবিবার রাতে শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশি মারফত খবর পায় তাদের মেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এসে শুনেন তারা মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই জামাই শ্বশুর সহ সকলেই পলাতক রয়েছে। নিহতের মামা আবুল কাশেম, চাচা মো. জসিম উদ্দিন ও ভগ্নিপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, রবিবার রাতে মেয়েকে তারা অন্যের মুখে শুনে দেখতে যান। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কেউ তাদেরকে যানায়নি। ঘর থেকেও তারা লাশ বাহির করে রেখে দিয়েছে। মেয়ের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিয়ের দিনে বরের বাড়ির লোকজন জিনসি পত্র নিয়ে বথাকাটাকাটি করেছিলো। এরই জেরে তারা মেয়েটিকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবী করেন তারা।
এদিকে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ এখনো দেয়নি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবিারটিও মামলা করবে। আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিয়ের মাত্র ১০ দিনে এমন ঘটনা। এটিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে।