নেত্রকোনা ০১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহনগঞ্জে বিয়ের ১০ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিয়ের ১০ দিন পরই শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধু হীরামনির লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। পাড়া প্রতিবেশী কনের বাড়িতে খবর দিলে তারা লাশ নিয়ে নেত্রকোনা মর্গে প্রহর গুনছে। স্বজনদের অভিযোগ বিয়ে বাড়িতে কিছু দেনা পাওনা নিয়ে কথাকাটি হয়েছিলো। এরই জেরে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মানসিরি পূর্বপাড়া গ্রামের কাজিম উদ্দিনের মেয়ে হীরামনি। গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘটা করে পাড়া পড়শি দাওয়াত করে মেয়েকে বিয়ে দেন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল আওয়ালের কাছে। কিন্তু বিয়ের ১০ দিনের মাথায় মেয়ের লাশ পৌঁছল তাদের কাছে। স্বজনরা রবিবার রাতে শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশি মারফত খবর পায় তাদের মেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এসে শুনেন তারা মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই জামাই শ্বশুর সহ সকলেই পলাতক রয়েছে। নিহতের মামা আবুল কাশেম, চাচা মো. জসিম উদ্দিন ও ভগ্নিপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, রবিবার রাতে মেয়েকে তারা অন্যের মুখে শুনে দেখতে যান। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কেউ তাদেরকে যানায়নি। ঘর থেকেও তারা লাশ বাহির করে রেখে দিয়েছে। মেয়ের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিয়ের দিনে বরের বাড়ির লোকজন জিনসি পত্র নিয়ে বথাকাটাকাটি করেছিলো। এরই জেরে তারা মেয়েটিকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবী করেন তারা।

এদিকে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ এখনো দেয়নি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবিারটিও মামলা করবে। আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিয়ের মাত্র ১০ দিনে এমন ঘটনা। এটিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

মোহনগঞ্জে বিয়ের ১০ দিন পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

আপডেট : ০৬:২৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিয়ের ১০ দিন পরই শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধু হীরামনির লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। পাড়া প্রতিবেশী কনের বাড়িতে খবর দিলে তারা লাশ নিয়ে নেত্রকোনা মর্গে প্রহর গুনছে। স্বজনদের অভিযোগ বিয়ে বাড়িতে কিছু দেনা পাওনা নিয়ে কথাকাটি হয়েছিলো। এরই জেরে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার মানসিরি পূর্বপাড়া গ্রামের কাজিম উদ্দিনের মেয়ে হীরামনি। গত ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ঘটা করে পাড়া পড়শি দাওয়াত করে মেয়েকে বিয়ে দেন একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল আওয়ালের কাছে। কিন্তু বিয়ের ১০ দিনের মাথায় মেয়ের লাশ পৌঁছল তাদের কাছে। স্বজনরা রবিবার রাতে শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশি মারফত খবর পায় তাদের মেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এসে শুনেন তারা মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই জামাই শ্বশুর সহ সকলেই পলাতক রয়েছে। নিহতের মামা আবুল কাশেম, চাচা মো. জসিম উদ্দিন ও ভগ্নিপতি মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, রবিবার রাতে মেয়েকে তারা অন্যের মুখে শুনে দেখতে যান। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কেউ তাদেরকে যানায়নি। ঘর থেকেও তারা লাশ বাহির করে রেখে দিয়েছে। মেয়ের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিয়ের দিনে বরের বাড়ির লোকজন জিনসি পত্র নিয়ে বথাকাটাকাটি করেছিলো। এরই জেরে তারা মেয়েটিকে হত্যা করেছে। এই ঘটনার সুষ্টু বিচার দাবী করেন তারা।

এদিকে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ এখনো দেয়নি। লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবিারটিও মামলা করবে। আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। বিয়ের মাত্র ১০ দিনে এমন ঘটনা। এটিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে।